নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে ঈদ উপহার হিসেবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায়। আমাদের সকলের চেষ্টা হচ্ছে কীভাবে আমরা এই দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াব এবং আমরা সেই প্রচে’া চালিয়ে যাচ্ছি।
‘যখন সারা বিশ্ব আক্রান্ত, খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রায় সব কিছুতেই একটা ভাটা পড়ে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত দেশই হিমশিম খাচ্ছে। সেখানেও আমরা প্রচে’া চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা ছোট ভূ-খ-ে অধিক জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যাকে কীভাবে একদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া, অপরদিকে তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা.. তাদের জীবনটাকে সচল রাখার ব্যবস্থা সেটা কীভাবে করা যায়, আমরা সেই প্রচে’াই চালিয়ে যাচ্ছি এবং সেই কারণেই অসহায় বঞ্চিত মানুষের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় দেশের কল্যাণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া নানা উদ্যোগের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনগণের দাবির মুখে দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এক রকম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমি দেশে ফিরে আসি। যেখানে স্বাধীনতাবিরোধী, যাদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমার বাবা শুরু করেছিলেন তারা, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের খুনি যাদের ইনডেমনিটি দিয়ে তাদেরকে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল সেই খুনিরা এবং এরাই ..এদেরই ছিল রাজস্ব। ওই পরিস্থিতিতে আমি ফিরে এসেছিলাম। শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়ার পথে যথেষ্ঠ বাধা ছিল এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পদে পদে বাধার সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় উদ্বোধনের দিনে ২২ হাজার ৮৯৫ জন সুবিধাভোগী মোবাইল পরিষেবার মাধ্যমে সহায়তা পান। তিন দিনে সাড়ে ৩৬ লাখ মানুষ এ সহায়তা পাবেন। দ্বিতীয়বারের মতো হাতে নেওয়া এই সহায়তা জন্য ৯১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রান্ত থেকে স্থানীয় সংসদ,জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ






















