ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বাক্যদূষণ মহামারির পর্যায়ে: রিজভী

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ঘাড়ের ওপর দৈত্যের মতো চেপে বসা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বাক্যদূষণ ইদানীং মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘গোড়ায় গলদ’। নিশিরাতের গর্ভে জন্ম নেওয়া এ সরকারেরও গোড়ায় গলদ আছে। তিনি বলেন, বেপরোয়া দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুন, লুটপাট, অর্থ পাচার করতে করতে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন তারা। কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তাদের নেত্রীকে তুষ্ট করতে, একটু কৃপার লোভে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অশোভন ভাষায় বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে সীমালংঘন করে চলেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় তিনি দলীয় কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন। সুস্থ হয়ে কার্যালয়ে ফেরার দিনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। রিজভী বলেন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতি করে জন্ম নেওয়ায় সরকারকে ঘিরে রয়েছে লুটেরা, চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও চাপাবাজ গোষ্ঠী। নিশিরাতের এ সরকারের দিবানিদ্রায় থাকায় বেয়াদবি, মিথ্যাচার, অপপ্রচার এখন তাদের মজ্জাগত হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়েও এমপি, মন্ত্রী হওয়ায় তাদের অনেকেই রাজনীতি বোঝেন না। বোঝেন না শিষ্টাচার, ভদ্রতা, আচার-আচরণও। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। রাতে ব্যালটে সিল মারা অটো ভোটের বিতর্কিত প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের মতো কুৎসা রটাচ্ছেন। ভোট ডাকাতদের মুখেই এ ধরনের কথা মানায়। তিনি বলেন, যারা তার এ বক্তব্য শুনেছেন, তারা হতবাক হয়েছেন। এটা কোনো সভ্য দেশের মন্ত্রীর মুখের ভাষা হতে পারে না। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, এ ধরনের লোকরাও এখন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। একজন মন্ত্রীর কথাবার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তাদের কাছে নতুন প্রজন্ম শালীন ও শিষ্টাচার, উদাহরণমূলক আচরণ ও কথাবার্তা শুনতে চায়। রিজভী বলেন, ক্ষমতা কারও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। এ দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। সরকারকে বলবো, এসব গালাগালি মিথ্যাচার, হুমকি-ধামকি রেখে আগামীদিনের কথা চিন্তা করুন। আজ হোক, কাল হোক জনগণের মুখোমুখি হতেই হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, তাদের অধীনে অতীতের সব নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। ফলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। আইন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে হলে, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বাক্যদূষণ মহামারির পর্যায়ে: রিজভী

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ঘাড়ের ওপর দৈত্যের মতো চেপে বসা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বাক্যদূষণ ইদানীং মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘গোড়ায় গলদ’। নিশিরাতের গর্ভে জন্ম নেওয়া এ সরকারেরও গোড়ায় গলদ আছে। তিনি বলেন, বেপরোয়া দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুন, লুটপাট, অর্থ পাচার করতে করতে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন তারা। কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তাদের নেত্রীকে তুষ্ট করতে, একটু কৃপার লোভে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অশোভন ভাষায় বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে সীমালংঘন করে চলেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় তিনি দলীয় কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন। সুস্থ হয়ে কার্যালয়ে ফেরার দিনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। রিজভী বলেন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতি করে জন্ম নেওয়ায় সরকারকে ঘিরে রয়েছে লুটেরা, চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও চাপাবাজ গোষ্ঠী। নিশিরাতের এ সরকারের দিবানিদ্রায় থাকায় বেয়াদবি, মিথ্যাচার, অপপ্রচার এখন তাদের মজ্জাগত হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়েও এমপি, মন্ত্রী হওয়ায় তাদের অনেকেই রাজনীতি বোঝেন না। বোঝেন না শিষ্টাচার, ভদ্রতা, আচার-আচরণও। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। রাতে ব্যালটে সিল মারা অটো ভোটের বিতর্কিত প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের মতো কুৎসা রটাচ্ছেন। ভোট ডাকাতদের মুখেই এ ধরনের কথা মানায়। তিনি বলেন, যারা তার এ বক্তব্য শুনেছেন, তারা হতবাক হয়েছেন। এটা কোনো সভ্য দেশের মন্ত্রীর মুখের ভাষা হতে পারে না। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, এ ধরনের লোকরাও এখন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। একজন মন্ত্রীর কথাবার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তাদের কাছে নতুন প্রজন্ম শালীন ও শিষ্টাচার, উদাহরণমূলক আচরণ ও কথাবার্তা শুনতে চায়। রিজভী বলেন, ক্ষমতা কারও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। এ দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। সরকারকে বলবো, এসব গালাগালি মিথ্যাচার, হুমকি-ধামকি রেখে আগামীদিনের কথা চিন্তা করুন। আজ হোক, কাল হোক জনগণের মুখোমুখি হতেই হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, তাদের অধীনে অতীতের সব নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। ফলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। আইন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে হলে, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।