ক্রীড়া ডেস্ক : ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাত আর ওমানে আয়োজন করা হয়েছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই ক্ষতি পোষাতে তারা ঘরের মাঠে আরো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে চায়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সৌরভের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। এর ফলে ভবিষ্যতে বেশির ভাগ আইসিসি ইভেন্ট ভারতের মাটিতে দেখা যেতে পারে। ২০২১ সালের বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ায় বিসিসিআইয়ের কাছে বিশ্বকাপ আয়োজনের একটা স্বত্ব আছে। তাই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে বিশ্বকাপের ঘোষণার আগেই বিসিসিআই আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের স্থান হিসেবে সংযুক্তর আরব আমিরাতকে বেছে নেয়। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পরে হতে চলা বেশির ভাগ টুর্নামেন্ট ভারতের আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই। এই মর্মে কাজও শুরু হয়েছে। আগামী আট বছরে হতে চলা তিনটি বড় ইভেন্টের স্বত্ব নেওয়ার ব্যাপারে বিসিসিআই প্রস্তুতি শুরু করেছে।
সূত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে আরো বেশি করে আইসিসি ইভেন্ট করার কথা ভাবছি। আমাদের পরিকল্পনা হল দেশে আরো বেশি করে আইসিসি টুর্নামেন্ট আনা। এর জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। একবার আমাদের পরিকল্পনা সামনে এলে, আমরা সেটা আইসিসির সামনে রাখব। আমরা আশাবাদী যে ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টগুলো আমরা দেশে আনতে পারব।’ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতে ক্রিকেট ভক্তের সংখ্যা অন্য দেশের থেকে সবচেয়ে বেশি। তাই ভারতে ক্রিকেটের ইভেন্ট হলে জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক থেকেও বোর্ড লাভবান হবে। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। এর আগে ১৯৯৬ ও ২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। এদিকে আইসিসি চেষ্টা চালাচ্ছে ক্রিকেটকে আরো বিভিন্ন দেশের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু সব টুর্নামেন্ট ভারতকেন্দ্রিক হয়ে গেলে সেই উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে?
বেশির ভাগ আইসিসি ইভেন্ট দখলের চেষ্টা করছে বিসিসিআই
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ