ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

এবার মানুষকে হারিয়ে রোবটের বিশ্বরেকর্ড

  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: ব্যাডমিন্টন কোর্টে তুমুল উত্তেজনা। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা জমে উঠেছে। র‌্যাকেটের আঘাতে শাটলকক একজনের কোর্ট থেকে আরেকজনের কোর্টে উড়ে যাচ্ছে। তবে এই ব্যাডমিন্টন ম্যাচ অন্যান্য ম্যাচ থেকে একেবারেই আলাদা।

ম্যাচের একপক্ষের খেলোয়াড় মানুষ হলেও অন্যপক্ষের খেলোয়াড় একটি চার চাকার রোবট। তবে কি ব্যাডমিন্টন খেলায় রোবট মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে, জন্ম নিচ্ছে সেই প্রশ্নে।

মানুষে-রোবটে ব্যাডমিন্টন খেলার এ দৃশ্য দেখা গেছে চীনে। শুধু ব্যাডমিন্টন খেলে নয়; বরং দেশটির একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যাডমিন্টনখেলুড়ে রোবটটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েও গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে।

ব্যতিক্রমী এ ম্যাচের আয়োজন হয়েছে চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের শাওশিং শহরে। গিনেস রেকর্ডও সেখানেই হয়েছে। ম্যাচে চীনের কয়েকজন সেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রোবটটিকে কোর্টে সাহায্য করেন। ম্যাচে রোবটটি কয়েকজন মানব খেলোয়াড়ের বিপক্ষে টানা ১ হাজার ৪৫২ বার সফলভাবে শাটলকক ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। এটা কোনো মোবাইল (নড়াচড়া করতে সক্ষম) রোবটের বিরতিহীনভাবে টানা এতবার ‘কাউন্টার হিট’ করার নতুন রেকর্ড। রোবটটি তৈরি করেছে দ্য ঝেজিয়াং শেনচেন কাইডং টেকনোলজি কোম্পানি। গিনেস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এই রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আয়োজকেরা বলেছেন, রোবটটির নকশায় অত্যাধুনিক ভিশন সিস্টেম ও গতিনিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। রোবটটি শাটলককের গতি ও দিক শনাক্ত করে মুহূর্তের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি যাতে মিলিসেকেন্ড পর্যায়েও সময়ের হিসাব রাখা যায়।
রোবটটি যখন একের পর এক শট ফিরিয়ে দিচ্ছিল, তখন মানব খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সমন্বয় ছিল নজরকাড়া। দীর্ঘ সময় কোনো ভুল না করে সেটি শাটলকক ফেরত পাঠিয়েছে। ব্যাডমিন্টন কোর্টে মানুষের পাশে রোবটের এমন নিখুঁত উপস্থিতি প্রযুক্তির অগ্রগতির দিকটি আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। খেলাধুলায় মানুষ ও প্রযুক্তির এ মেলবন্ধন যে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন বিস্ময় উপহার দিতে চলেছে, এ রেকর্ড সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

সানা/এসি/আপ্র/২৯/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এবার মানুষকে হারিয়ে রোবটের বিশ্বরেকর্ড

আপডেট সময় : ০৫:২৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ব্যাডমিন্টন কোর্টে তুমুল উত্তেজনা। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা জমে উঠেছে। র‌্যাকেটের আঘাতে শাটলকক একজনের কোর্ট থেকে আরেকজনের কোর্টে উড়ে যাচ্ছে। তবে এই ব্যাডমিন্টন ম্যাচ অন্যান্য ম্যাচ থেকে একেবারেই আলাদা।

ম্যাচের একপক্ষের খেলোয়াড় মানুষ হলেও অন্যপক্ষের খেলোয়াড় একটি চার চাকার রোবট। তবে কি ব্যাডমিন্টন খেলায় রোবট মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে, জন্ম নিচ্ছে সেই প্রশ্নে।

মানুষে-রোবটে ব্যাডমিন্টন খেলার এ দৃশ্য দেখা গেছে চীনে। শুধু ব্যাডমিন্টন খেলে নয়; বরং দেশটির একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যাডমিন্টনখেলুড়ে রোবটটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েও গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে।

ব্যতিক্রমী এ ম্যাচের আয়োজন হয়েছে চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের শাওশিং শহরে। গিনেস রেকর্ডও সেখানেই হয়েছে। ম্যাচে চীনের কয়েকজন সেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রোবটটিকে কোর্টে সাহায্য করেন। ম্যাচে রোবটটি কয়েকজন মানব খেলোয়াড়ের বিপক্ষে টানা ১ হাজার ৪৫২ বার সফলভাবে শাটলকক ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। এটা কোনো মোবাইল (নড়াচড়া করতে সক্ষম) রোবটের বিরতিহীনভাবে টানা এতবার ‘কাউন্টার হিট’ করার নতুন রেকর্ড। রোবটটি তৈরি করেছে দ্য ঝেজিয়াং শেনচেন কাইডং টেকনোলজি কোম্পানি। গিনেস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এই রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আয়োজকেরা বলেছেন, রোবটটির নকশায় অত্যাধুনিক ভিশন সিস্টেম ও গতিনিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। রোবটটি শাটলককের গতি ও দিক শনাক্ত করে মুহূর্তের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি যাতে মিলিসেকেন্ড পর্যায়েও সময়ের হিসাব রাখা যায়।
রোবটটি যখন একের পর এক শট ফিরিয়ে দিচ্ছিল, তখন মানব খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সমন্বয় ছিল নজরকাড়া। দীর্ঘ সময় কোনো ভুল না করে সেটি শাটলকক ফেরত পাঠিয়েছে। ব্যাডমিন্টন কোর্টে মানুষের পাশে রোবটের এমন নিখুঁত উপস্থিতি প্রযুক্তির অগ্রগতির দিকটি আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। খেলাধুলায় মানুষ ও প্রযুক্তির এ মেলবন্ধন যে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন বিস্ময় উপহার দিতে চলেছে, এ রেকর্ড সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

সানা/এসি/আপ্র/২৯/১২/২০২৫