ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে হামলায় সরকার সংশ্লিষ্টতা দেখছেন নূরুল কবীর

  • আপডেট সময় : ১০:০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

শনিবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের কোনো না কোনো অংশ প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় ও ছায়ানট ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটতে দিয়েছে বলে মনে করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীয় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয়। সংহতি জানাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গেলে একই রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনেও অতিথির বক্তব্যে ঘুরেফিরে এই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর বলেন ‘পরিষ্কারভাবে আমরা জানি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার, ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক দিন আগে, দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কারা ঘোষণা দিয়েছে, এ দেশের সব মানুষ জানে, সরকারও জানে। বাংলাদেশের যেকোনো আইনে…ফৌজদারি অপরাধ। সরকার তো তাদের গ্রেফতার করে নাই আগেই প্রিভেন্ট করার করার জন্য। তারা তো আগেই ঘোষণা দিয়েছে-এগুলোকে ধ্বংস করা হবে। এ কারণেই আমরা বলেছি সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটা ঘটতে দিয়েছে।…তাহলে সংগঠিত একটি শক্তি ওইখানে গিয়ে এই কাজ করেছে। ইতিমধ্যে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পরিষ্কারভাবে রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে পাওয়া গেছে।’

সাংবাদিক শাহনাজ শারমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কলসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসির উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজিসির ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের এ দেশীয় প্রতিনিধি মো. আল মামুন, সাংবাদিক তালাত মামুন, ইলিয়াস হোসেন, মিল্টন আনোয়ার।

সানা/আপ্র/২৭/১২/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শীতে কাঁপছে দেশ, জনজীবনে স্থবিরতা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে হামলায় সরকার সংশ্লিষ্টতা দেখছেন নূরুল কবীর

আপডেট সময় : ১০:০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের কোনো না কোনো অংশ প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় ও ছায়ানট ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটতে দিয়েছে বলে মনে করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীয় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয়। সংহতি জানাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গেলে একই রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনেও অতিথির বক্তব্যে ঘুরেফিরে এই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর বলেন ‘পরিষ্কারভাবে আমরা জানি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার, ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক দিন আগে, দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কারা ঘোষণা দিয়েছে, এ দেশের সব মানুষ জানে, সরকারও জানে। বাংলাদেশের যেকোনো আইনে…ফৌজদারি অপরাধ। সরকার তো তাদের গ্রেফতার করে নাই আগেই প্রিভেন্ট করার করার জন্য। তারা তো আগেই ঘোষণা দিয়েছে-এগুলোকে ধ্বংস করা হবে। এ কারণেই আমরা বলেছি সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটা ঘটতে দিয়েছে।…তাহলে সংগঠিত একটি শক্তি ওইখানে গিয়ে এই কাজ করেছে। ইতিমধ্যে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পরিষ্কারভাবে রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে পাওয়া গেছে।’

সাংবাদিক শাহনাজ শারমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কলসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসির উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজিসির ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের এ দেশীয় প্রতিনিধি মো. আল মামুন, সাংবাদিক তালাত মামুন, ইলিয়াস হোসেন, মিল্টন আনোয়ার।

সানা/আপ্র/২৭/১২/২০২৫