ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা পেলেন তাসনিম জারা

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় মেটাতে সমর্থকদের কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়ার মাত্র ২২ ঘণ্টার মধ্যেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।

এনসিপি নেত্রী জানান, এই সময়ের মধ্যে তিনি ৩৭ লাখ টাকার বেশি অনুদান পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তরুণ এই চিকিৎসক।

পোস্টে তাসনিম জারা লেখেন, ‘মাত্র ২২ ঘণ্টায় আপনারা ৩৭ লাখ টাকা ডোনেট করেছেন, ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার খুব কাছে আমরা। আপনাদের এই ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা: ৪৬,৯৩,৫৮০ টাকা। অর্থাৎ আর মাত্র ৯ লাখ টাকা সংগৃহীত হওয়া মাত্রই আমরা এই ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেব।’

তিনি লেখেন, ফান্ড সংগ্রহের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ক্যাশ ডোনেশন গ্রহণ করা হচ্ছে না। বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনুদান নেওয়া হচ্ছে, যাতে প্রতিটি লেনদেনের নির্ভরযোগ্য রেকর্ড থাকে। এসব তথ্য তাঁর টিম নয়, বরং বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংরক্ষিত হচ্ছে।

তাসনিম জারা আরও লেখেন, ‘এই রেকর্ড ভবিষ্যতে যাচাইযোগ্য থাকবে। আমরা নিয়মিত জানাচ্ছি এখন পর্যন্ত কত টাকা সংগ্রহ হয়েছে এবং কোন মাধ্যমে এসেছে। এসব ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে এবং তারা যাচাই করতে পারবেন। পাশাপাশি কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে, সেটিও আপনাদের জানানো হবে।’

সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতটা অভূতপূর্বভাবে আপনারা পাশে দাঁড়াবেন, তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অথবা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারেন। ঢাকা-৯ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার হওয়ায় বিধি অনুযায়ী তাঁর ব্যয়ের সীমা দাঁড়ায় ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। সে অনুযায়ীই ফান্ডরেইজিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা।

এনসিপি নেত্রী আরও জানান, রাত ২টার পর বিকাশের মাধ্যমে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম হওয়ায় আপাতত ওই মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনুদান নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য ভোটার, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন তাসনিম জারা।

ওআ/আপ্র/২৩/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা পেলেন তাসনিম জারা

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় মেটাতে সমর্থকদের কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়ার মাত্র ২২ ঘণ্টার মধ্যেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।

এনসিপি নেত্রী জানান, এই সময়ের মধ্যে তিনি ৩৭ লাখ টাকার বেশি অনুদান পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তরুণ এই চিকিৎসক।

পোস্টে তাসনিম জারা লেখেন, ‘মাত্র ২২ ঘণ্টায় আপনারা ৩৭ লাখ টাকা ডোনেট করেছেন, ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার খুব কাছে আমরা। আপনাদের এই ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা: ৪৬,৯৩,৫৮০ টাকা। অর্থাৎ আর মাত্র ৯ লাখ টাকা সংগৃহীত হওয়া মাত্রই আমরা এই ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেব।’

তিনি লেখেন, ফান্ড সংগ্রহের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ক্যাশ ডোনেশন গ্রহণ করা হচ্ছে না। বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনুদান নেওয়া হচ্ছে, যাতে প্রতিটি লেনদেনের নির্ভরযোগ্য রেকর্ড থাকে। এসব তথ্য তাঁর টিম নয়, বরং বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংরক্ষিত হচ্ছে।

তাসনিম জারা আরও লেখেন, ‘এই রেকর্ড ভবিষ্যতে যাচাইযোগ্য থাকবে। আমরা নিয়মিত জানাচ্ছি এখন পর্যন্ত কত টাকা সংগ্রহ হয়েছে এবং কোন মাধ্যমে এসেছে। এসব ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে এবং তারা যাচাই করতে পারবেন। পাশাপাশি কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে, সেটিও আপনাদের জানানো হবে।’

সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতটা অভূতপূর্বভাবে আপনারা পাশে দাঁড়াবেন, তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অথবা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারেন। ঢাকা-৯ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার হওয়ায় বিধি অনুযায়ী তাঁর ব্যয়ের সীমা দাঁড়ায় ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। সে অনুযায়ীই ফান্ডরেইজিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা।

এনসিপি নেত্রী আরও জানান, রাত ২টার পর বিকাশের মাধ্যমে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম হওয়ায় আপাতত ওই মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনুদান নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য ভোটার, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন তাসনিম জারা।

ওআ/আপ্র/২৩/১২/২০২৫