ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

মায়ের শেখানো সেলাইয়ের কাজ দিয়েই উদ্যোক্তা দীপা

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

শিরীন সুলতানা অরুণা : দীপা চাকমার জন্ম রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার পাহাড়ি এক গ্রামে। পড়াশুনা ও বেড়ে ওঠা রাঙামাটি জেলাতেই। বিএ শেষের পর মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন তিনি। এছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি দীপা একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা। আর এই পরিচয়টা দিতেই তিনি খুবই গর্ববোধ করেন। বর্তমানে উদ্যোক্তা জীবন ও পড়ালেখার কারণে ঢাকা এবং রাঙামাটি দুই জায়গাতেই তার বসবাস।
অনলাইনে ফেসবুক পেজ ‘সিলুম হাবর’-এর মাধ্যমে ব্যবসা করছেন তৈরি পোশাক নিয়ে। যেখানে সব ড্রেসেই থাকবে ট্র্যাডিশনাল ছোঁয়া। যেমন মেয়েদের কূর্তি, থ্রি পিস, আর ছেলেদের জন্যে পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি।
ছোটবেলা থেকেই বা যখন থেকে বুঝতে শিখেছেন, তখন থেকেই মার্কেট বা দোকানের বানানো জামার প্রতি আগ্রহ কম ছিল দীপার। কারণ, তারা দুই বোনই গজ কাপড় কিনে নিজেদের ড্রেস নিজেরা ডিজাইন করে সেলাই করে পরতেন। সেলাই টুকটাক জানতেন। কারণ, ছোটবেলা থেকেই তাদের মা শিখিয়েছিলেন। এমনকি তাদের দুই বোনেরই ইচ্ছে ছিলো ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়শোনা করার। ড্রেসের ডিজাইন ও ড্রেস নিয়ে কাজ করবেন বলেই অনলাইনে এমন ব্যবসাকে বেছে নিয়েছেন দীপা।
নিজের উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে দীপা চাকমা বলেন, পুজি না থাকার কারণে ব্যবসার শুরুটা খুব বেশি সহজ ছিল না। পরিবারে ও মায়ের সহযোগিতায় ২০১৬ সালে শখের বসে দুই বোন মিলে অনলাইনে পেজ খুলেছিলাম। তখন এতো পেজ বা গ্রুপ ছিলো না এখনকার মতো। তখন দুই বোনে নিজেরাই কিছু কাপড় কিনে নিজেরা ডিজাইন করে ড্রেস সেলাই করে পোস্ট দিতাম। টুকটাক অফলাইনেই বিক্রি হয়েছিলো ড্রেসগুলো। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ব্যবসাটা আর সিরিয়াসলি করা হয়নি। এভাবেই চলে গেছে মাঝখানের বছরগুলো। পুনরায় ২০১৯ সালের শেষে আবার শুরু করেছিলাম বিদেশি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে। আমার উদ্দেশ্য ছিলো এভাবে বিক্রি করে লাভের টাকাগুলো জমিয়ে পুজি জমা করবো এবং নিজের একটি ব্র্যান্ড গড়ে তুলবো যেখানে শুধু আমার নিজস্ব ডিজাইনে বানানো সব দেশীয় পোশাক তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন- আমি জানি না কতটা সফল হতে পেরেছি এখনো, তবে চলছে মোটামুটি। মায়ের অবদানের পাশাপাশি আমার উদ্যোগের অংশীদার মানে আমার কাস্টমার, তাদের ভূমিকাও অতুলনীয়। আমার সফলতা আমার কাস্টমারদের সুন্দর সুন্দর রিভিউতে। উদ্যোগের শুরুর তুলনায় এখন অনেক বেশি বিক্রি বেড়েছে। নিজস্ব নতুন ডিজাইন করা ড্রেস আনলে বেশি সময় ধরে স্টক থাকে না শেষ হয়ে যায়। ব্যবসার সময়কাল বেশ কয়েকবছর হলেও বিগত দুই বছরে নিজেকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ই- কমার্স ব্যবসায়। আজীবন পর্যন্ত এই ব্যবসাটাকেই ধরে রাখতে চান দীপা চাকমা। তার এই উদ্যোগকেই একদিন বড় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চান তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছিনতাইয়ের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাসায় আসামির ছেলে

মায়ের শেখানো সেলাইয়ের কাজ দিয়েই উদ্যোক্তা দীপা

আপডেট সময় : ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

শিরীন সুলতানা অরুণা : দীপা চাকমার জন্ম রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার পাহাড়ি এক গ্রামে। পড়াশুনা ও বেড়ে ওঠা রাঙামাটি জেলাতেই। বিএ শেষের পর মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন তিনি। এছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি দীপা একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা। আর এই পরিচয়টা দিতেই তিনি খুবই গর্ববোধ করেন। বর্তমানে উদ্যোক্তা জীবন ও পড়ালেখার কারণে ঢাকা এবং রাঙামাটি দুই জায়গাতেই তার বসবাস।
অনলাইনে ফেসবুক পেজ ‘সিলুম হাবর’-এর মাধ্যমে ব্যবসা করছেন তৈরি পোশাক নিয়ে। যেখানে সব ড্রেসেই থাকবে ট্র্যাডিশনাল ছোঁয়া। যেমন মেয়েদের কূর্তি, থ্রি পিস, আর ছেলেদের জন্যে পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি।
ছোটবেলা থেকেই বা যখন থেকে বুঝতে শিখেছেন, তখন থেকেই মার্কেট বা দোকানের বানানো জামার প্রতি আগ্রহ কম ছিল দীপার। কারণ, তারা দুই বোনই গজ কাপড় কিনে নিজেদের ড্রেস নিজেরা ডিজাইন করে সেলাই করে পরতেন। সেলাই টুকটাক জানতেন। কারণ, ছোটবেলা থেকেই তাদের মা শিখিয়েছিলেন। এমনকি তাদের দুই বোনেরই ইচ্ছে ছিলো ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়শোনা করার। ড্রেসের ডিজাইন ও ড্রেস নিয়ে কাজ করবেন বলেই অনলাইনে এমন ব্যবসাকে বেছে নিয়েছেন দীপা।
নিজের উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে দীপা চাকমা বলেন, পুজি না থাকার কারণে ব্যবসার শুরুটা খুব বেশি সহজ ছিল না। পরিবারে ও মায়ের সহযোগিতায় ২০১৬ সালে শখের বসে দুই বোন মিলে অনলাইনে পেজ খুলেছিলাম। তখন এতো পেজ বা গ্রুপ ছিলো না এখনকার মতো। তখন দুই বোনে নিজেরাই কিছু কাপড় কিনে নিজেরা ডিজাইন করে ড্রেস সেলাই করে পোস্ট দিতাম। টুকটাক অফলাইনেই বিক্রি হয়েছিলো ড্রেসগুলো। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ব্যবসাটা আর সিরিয়াসলি করা হয়নি। এভাবেই চলে গেছে মাঝখানের বছরগুলো। পুনরায় ২০১৯ সালের শেষে আবার শুরু করেছিলাম বিদেশি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে। আমার উদ্দেশ্য ছিলো এভাবে বিক্রি করে লাভের টাকাগুলো জমিয়ে পুজি জমা করবো এবং নিজের একটি ব্র্যান্ড গড়ে তুলবো যেখানে শুধু আমার নিজস্ব ডিজাইনে বানানো সব দেশীয় পোশাক তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন- আমি জানি না কতটা সফল হতে পেরেছি এখনো, তবে চলছে মোটামুটি। মায়ের অবদানের পাশাপাশি আমার উদ্যোগের অংশীদার মানে আমার কাস্টমার, তাদের ভূমিকাও অতুলনীয়। আমার সফলতা আমার কাস্টমারদের সুন্দর সুন্দর রিভিউতে। উদ্যোগের শুরুর তুলনায় এখন অনেক বেশি বিক্রি বেড়েছে। নিজস্ব নতুন ডিজাইন করা ড্রেস আনলে বেশি সময় ধরে স্টক থাকে না শেষ হয়ে যায়। ব্যবসার সময়কাল বেশ কয়েকবছর হলেও বিগত দুই বছরে নিজেকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ই- কমার্স ব্যবসায়। আজীবন পর্যন্ত এই ব্যবসাটাকেই ধরে রাখতে চান দীপা চাকমা। তার এই উদ্যোগকেই একদিন বড় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চান তিনি।