নারী ও শিশু ডেস্ক: দেশ-বিদেশের দৌড় প্রতিযোগিতায় একের পর এক সাফল্য ধরে রেখেছেন বাংলাদেশি অ্যাথলেট হামিদা আক্তার জেবা। সর্বশেষ নেপালের কাঠমান্ডু ম্যারাথনের ১৭তম আসরে ১৩০ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে পূর্ণ দূরত্বের ম্যারাথনে নারীদের বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জেবার ম্যারাথন দৌড়ে আসা ছিল পুরোপুরিই কাকতালীয়। ক্লাস শেষে কার্জন হলের দিকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেখে থেমে যান। তিনি জানতে পারেন, ছেলেদের পাঁচ কিলোমিটার দৌড় হলেও মেয়েদের জন্য সর্বোচ্চ ৪০০ মিটার। ম্যারাথন দৌড়াতে চাওয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে। আর ওই মন্তব্যই জেবার জন্য হয়ে ওঠে আত্মপ্রত্যয়ের শুরু।
ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা জেবা আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ার সময় হ্যান্ডবলে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সুফিয়া কামাল হলের ভলিবল, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবলসহ বিভিন্ন দলে যোগ দেন। ২০২০ সালে অ্যাথলেটিকে হল চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
ম্যারাথনে যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ কিলোমিটার দৌড় দিয়ে। এরপর একে একে বাড়তে থাকে দূরত্ব। ‘দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান’-এর ১০ কিলোমিটার দৌড় সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বান্দরবানে পাহাড়ি পথে ২১ কিলোমিটারের ব্যান্ড্রাথন ম্যারাথনে নারীদের মধ্যে প্রথম হন জেবা।
২০১৯ সালে ভারতের মেঘালয়ে মাওকিরওয়াত ট্রেইল আলট্রা রেসে ৪৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের গাজীপুরে ৫০ কিলোমিটারের আলট্রা ম্যারাথন সফলভাবে শেষ করেন। ২০২১ সালে ঢাকা ম্যারাথনে নারীদের মধ্যে প্রথম হয়ে পান পাঁচ লাখ টাকার পুরস্কার। ২০২২ সালে ভারতের লাদাখ ম্যারাথনে নারীদের বিভাগে পঞ্চম হন তিনি।
সবশেষে নেপালের কাঠমান্ডু ম্যারাথনে পূর্ণ দূরত্বে দৌড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পতাকা উঁচু করেছেন জেবা। দেশ–বিদেশের প্রতিযোগিতায় তার অবিচ্ছিন্ন সাফল্য তাকে এনে দিয়েছে লাখ লাখ টাকার পুরস্কার, আর বাংলাদেশকে দিয়েছে নতুন এক সম্ভাবনাময় ম্যারাথন তারকা।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ






















