ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসী নেওয়া বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের

  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান শিক্ষা, চাকরি ও উন্নত জীবনের খোঁজে। এবার সেই সব দেশের নাগরিকের জন্য অভিবাসন কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন তিনি।

দীর্ঘ সেই পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও জীবনমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে ‘সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের’ জন্য কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

শুধু তাই নয়; তিনি জানান, বাইডেন আমলে অনুমোদিত ‘মিলিয়ন সংখ্যক’ অভিবাসন অনুমতিও বাতিল করে দেবে তার প্রশাসন। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যারা ‘প্রয়োজনীয় নয়’ কিংবা ‘যুক্তরাষ্ট্রকে যারা ভালোবাসে না’, তাদের সবাইকে অপসারণ করা হবে।

এছাড়াও অভিবাসীদের  জন্য সকল সরকারি সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করার কথাও বলেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘ঘরোয়া শান্তি নষ্টকারী’ নাগরিকদের নাগরিকত্বও বাতিল করা হবে।

হোয়াইট হাউসের কাছে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের ওপর বন্দুকধারীর হামলার পরদিনই এই ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে বাইডেন আমলের ‘ভুল ভেটিং প্রক্রিয়া’র ফল বলে দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে, বিশ্বের ১৯ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের গ্রিনকার্ড পুনরায় যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান জোসেফ এডলো। তার ভাষ্য অনুযায়ী, যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে, সেসব দেশ থেকে আসা প্রতিটি বিদেশির গ্রিন কার্ড পূর্ণাঙ্গ ও কঠোরভাবে পুনঃপর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন দেশগুলো তালিকায় রয়েছে। তখন মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান হোয়াইট হাউজের জুন মাসের একটি ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করেন, যেখানে ১৯ টি দেশের নাম ছিল।

জুনের সেই ঘোষণার শিরোনাম ছিল – রেসট্রিক্টিং দ্য এন্ট্রি অফ ফরেন ন্যাশনালস্ টু প্রটেক্ট দ্য ইউনাইটেড স্টেটস্ ফ্রম ফরেন টেররিস্টস্ অ্যান্ড আদার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড পাবলিক সেফটি থ্রেটস্।

মানে, বিদেশি সন্ত্রাসী এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ।

সেখানে ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে ওপর বিধিনিষেধ পুরোপুরি আরোপের কথা বলা হয়েছিল। দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, বার্মা বা মিয়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।

আর ৭টি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো— বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।ৎ

সূত্র: রয়টার্স

ওআ/আপ্র/২৮/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসী নেওয়া বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৫:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান শিক্ষা, চাকরি ও উন্নত জীবনের খোঁজে। এবার সেই সব দেশের নাগরিকের জন্য অভিবাসন কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন তিনি।

দীর্ঘ সেই পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও জীবনমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে ‘সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের’ জন্য কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

শুধু তাই নয়; তিনি জানান, বাইডেন আমলে অনুমোদিত ‘মিলিয়ন সংখ্যক’ অভিবাসন অনুমতিও বাতিল করে দেবে তার প্রশাসন। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যারা ‘প্রয়োজনীয় নয়’ কিংবা ‘যুক্তরাষ্ট্রকে যারা ভালোবাসে না’, তাদের সবাইকে অপসারণ করা হবে।

এছাড়াও অভিবাসীদের  জন্য সকল সরকারি সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করার কথাও বলেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘ঘরোয়া শান্তি নষ্টকারী’ নাগরিকদের নাগরিকত্বও বাতিল করা হবে।

হোয়াইট হাউসের কাছে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের ওপর বন্দুকধারীর হামলার পরদিনই এই ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে বাইডেন আমলের ‘ভুল ভেটিং প্রক্রিয়া’র ফল বলে দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে, বিশ্বের ১৯ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের গ্রিনকার্ড পুনরায় যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান জোসেফ এডলো। তার ভাষ্য অনুযায়ী, যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে, সেসব দেশ থেকে আসা প্রতিটি বিদেশির গ্রিন কার্ড পূর্ণাঙ্গ ও কঠোরভাবে পুনঃপর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন দেশগুলো তালিকায় রয়েছে। তখন মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান হোয়াইট হাউজের জুন মাসের একটি ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করেন, যেখানে ১৯ টি দেশের নাম ছিল।

জুনের সেই ঘোষণার শিরোনাম ছিল – রেসট্রিক্টিং দ্য এন্ট্রি অফ ফরেন ন্যাশনালস্ টু প্রটেক্ট দ্য ইউনাইটেড স্টেটস্ ফ্রম ফরেন টেররিস্টস্ অ্যান্ড আদার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড পাবলিক সেফটি থ্রেটস্।

মানে, বিদেশি সন্ত্রাসী এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ।

সেখানে ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে ওপর বিধিনিষেধ পুরোপুরি আরোপের কথা বলা হয়েছিল। দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, বার্মা বা মিয়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।

আর ৭টি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো— বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।ৎ

সূত্র: রয়টার্স

ওআ/আপ্র/২৮/১১/২০২৫