ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
ডিসেম্বরে আরো ভয়াবহ আকার ধারণের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে

  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার ৬০২ জন এবং মারা গেছেন ৩৬৭ জন। জানুয়ারি থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৯৪৯ জন।

শীত আসতে শুরু করলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। একটি অনলাইন সংবাদসংস্থার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

দেখা গেছে, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলতি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৪০ জন। অক্টোবর মাসে ভর্তি হয়েছিলেন ২২ হাজার ৫২০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭০১ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন।
একইভাবে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। নভেম্বর মাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জন। অক্টোবর মাসে ছিল ৮০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৭৩ জন, আগস্ট মাসে ৩৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, জুনে ১৯ জন, মে মাসে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং জানুয়ারিতে ১০ জন।

আক্রান্তের সংখ্যার ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষরা নারীর তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পুরুষ আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং নারী আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজের প্রয়োজনে পুরুষরা বাইরে বেশি থাকেন, তাই তাদের আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি।

এ বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন পুরুষ ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। একইভাবে মৃত্যুর সংখ্যাতেও ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যাই বেশি।

বিভাগীয় এবং সিটি করপোরেশনভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ভর্তি হয়েছে ২০ হাজার ৩০৬ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ হাজার ৯৪১ জন। ঢাকা বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৫ হাজার ৬৪০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪ হাজার ৪০৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরপোরেশনে ১৩ হাজার ৬০ জন, খুলনা বিভাগে ৪ হাজার ৮৬৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ হাজার ৬১০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ হাজার ৩৯৫ জন, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩৫৭ জন। এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। বরিশাল বিভাগে মারা গেছে ৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৬৭ জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন এবং সিলেটে ২ জন।

ডেঙ্গু সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখিতার বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং জানুয়ারিতে কিছুটা কমতে পারে। এডিস মশা বিস্তারের পেছনে ঢাকা শহরের উঁচু ভবনের নিচতলার বেসমেন্ট ও পার্কিং এলাকাগুলো বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। যেখানে প্রায়ই এডিস লার্ভা পাওয়া যায়। পানি সংকট রয়েছে, এমন এলাকায় বিভিন্ন পাত্রে পানি জমিয়ে রাখলেও মশা জন্মায়। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতেও লার্ভা পাওয়া যায়।’’

তিনি বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও কোথাও যেন পানি জমতে না পারে-সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখনও অনেক এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। লার্ভার ঘনত্ব ও অনুকূল পরিবেশ একসাথে থাকায় মশা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। ডিসেম্বর মাসে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলেও তিনি জানান। তবে নতুন বছরে ডেঙ্গুর সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৬ বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের। ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২২ সালে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন, মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়-সে বছর আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের।

২০২৫ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯১ হাজার ৬০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের।

সানা/ওআ/আপ্র/২৬/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বরে আরো ভয়াবহ আকার ধারণের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৯:১৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার ৬০২ জন এবং মারা গেছেন ৩৬৭ জন। জানুয়ারি থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৯৪৯ জন।

শীত আসতে শুরু করলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। একটি অনলাইন সংবাদসংস্থার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

দেখা গেছে, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলতি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৪০ জন। অক্টোবর মাসে ভর্তি হয়েছিলেন ২২ হাজার ৫২০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭০১ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন।
একইভাবে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। নভেম্বর মাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জন। অক্টোবর মাসে ছিল ৮০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৭৩ জন, আগস্ট মাসে ৩৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, জুনে ১৯ জন, মে মাসে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং জানুয়ারিতে ১০ জন।

আক্রান্তের সংখ্যার ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষরা নারীর তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পুরুষ আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং নারী আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজের প্রয়োজনে পুরুষরা বাইরে বেশি থাকেন, তাই তাদের আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি।

এ বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন পুরুষ ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। একইভাবে মৃত্যুর সংখ্যাতেও ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যাই বেশি।

বিভাগীয় এবং সিটি করপোরেশনভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ভর্তি হয়েছে ২০ হাজার ৩০৬ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ হাজার ৯৪১ জন। ঢাকা বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৫ হাজার ৬৪০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪ হাজার ৪০৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরপোরেশনে ১৩ হাজার ৬০ জন, খুলনা বিভাগে ৪ হাজার ৮৬৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ হাজার ৬১০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ হাজার ৩৯৫ জন, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩৫৭ জন। এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। বরিশাল বিভাগে মারা গেছে ৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৬৭ জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন এবং সিলেটে ২ জন।

ডেঙ্গু সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখিতার বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং জানুয়ারিতে কিছুটা কমতে পারে। এডিস মশা বিস্তারের পেছনে ঢাকা শহরের উঁচু ভবনের নিচতলার বেসমেন্ট ও পার্কিং এলাকাগুলো বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। যেখানে প্রায়ই এডিস লার্ভা পাওয়া যায়। পানি সংকট রয়েছে, এমন এলাকায় বিভিন্ন পাত্রে পানি জমিয়ে রাখলেও মশা জন্মায়। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতেও লার্ভা পাওয়া যায়।’’

তিনি বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও কোথাও যেন পানি জমতে না পারে-সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখনও অনেক এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। লার্ভার ঘনত্ব ও অনুকূল পরিবেশ একসাথে থাকায় মশা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। ডিসেম্বর মাসে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলেও তিনি জানান। তবে নতুন বছরে ডেঙ্গুর সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৬ বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের। ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২২ সালে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন, মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়-সে বছর আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের।

২০২৫ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯১ হাজার ৬০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের।

সানা/ওআ/আপ্র/২৬/১১/২০২৫