ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

এবার ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, আঘাত হানতে পারে কবে?

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া ডট কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানান, আশা করা যাচ্ছে ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে এবং কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।

রোববার (২৩ নভেম্বর)  বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দেওয়া দ্বিতীয় আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এই পোস্টে কৃষক ও জেলেদের জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছেন পলাশ।

ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) পাওয়া সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৬ বা ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। একটি ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এই বিষয়ে সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একমত হলেও সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে এই বিষয়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ভিন্ন ভিন্ন পূর্বাভাস দিচ্ছে।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পলাশ।

তিনি জানান, ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানবে।

কৃষকদের জন্য পরামর্শ

সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষিরা সম্ভব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত জন্য রৌদজ্জ্বলল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুরো দেশে।

সমুদ্রগামী জেলাদের জন্য পরামর্শ

ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরা সব ট্রলারকে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ আবহাওয়া পূর্বাভাস

ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর মাসের ১-৫ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

ওআ/আপ্র/২৩/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভক্তদের মারধরে আবেগঘন পোস্ট বাউল আবুল সরকারের মেয়ের

এবার ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, আঘাত হানতে পারে কবে?

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া ডট কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানান, আশা করা যাচ্ছে ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে এবং কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।

রোববার (২৩ নভেম্বর)  বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দেওয়া দ্বিতীয় আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এই পোস্টে কৃষক ও জেলেদের জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছেন পলাশ।

ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) পাওয়া সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৬ বা ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। একটি ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এই বিষয়ে সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একমত হলেও সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে এই বিষয়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ভিন্ন ভিন্ন পূর্বাভাস দিচ্ছে।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পলাশ।

তিনি জানান, ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানবে।

কৃষকদের জন্য পরামর্শ

সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষিরা সম্ভব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত জন্য রৌদজ্জ্বলল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুরো দেশে।

সমুদ্রগামী জেলাদের জন্য পরামর্শ

ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরা সব ট্রলারকে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ আবহাওয়া পূর্বাভাস

ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর মাসের ১-৫ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

ওআ/আপ্র/২৩/১১/২০২৫