ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

‘এ যাত্রায় ঢাকা বেঁচে গেলো, তাও আল্লাহকে ভয় পায় না’

  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক:  শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আকস্মিক এই কম্পনে বহু মানুষ বাসা-বাড়ি ও অফিস থেকে আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন।

ভূমিকম্পের ঘটনায় গোটা দেশের মানুষ আতঙ্কিত। সামাজিকমাধ্যমেও অনেকেই ভয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। শোবিজ তারকারাও ছিলেন সেই তালিকায়।

নিজের ফেসবুকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল লিখেছেন, ‘আল্লাহ, জীবনে এত বড় ভূমিকম্প প্রথমবার অনুভব করলাম। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করো।’
অভিনেতা কচি খন্দকার লিখেছেন, ‘গভীর ঘুমে ছিলাম, ভূমিকম্প জাগিয়ে দিলো। ভূমিকম্পের ভয়াবহতার কথা শুনেছি, আজ সত্যিকারের উপলব্ধি হলো। মানুষের পাশে মানুষ থাকি—মানবিকতা জেগে উঠুক।’

এদিকে অভিনেতা আব্দুন নূর সজল লিখেছেন, ‘এটা কি? ভূমিকম্প! আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।’ রওনক হাসান লিখেছেন, ‘ওরে ঝাঁকি! এ কি ভূমিকম্প! সবাই ঠিক আছেন তো?’

অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, এ যাত্রায় ঢাকা শহর বেঁচে গেলো। বাসায় একা ছোটটা (ছোট ছেলে) পাশে ড্রইং স্কুলে, বড়টা (বড় ছেলে) স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। মেঝেতে বসে ছিলাম, হঠাৎ মনে হলো চারপাশ ভেঙে আসছে। নিচ থেকে ওপর দিকে টানা ঝাঁকুনি—চারপাশের কাঁচের ফিটিংস ও জিনিসপত্র ঝনঝন শব্দ করছে। একসময় মনে হলো আর বাচ্চাদের মুখ দেখা হবে না। ছয়তলা সিঁড়ি দৌড়ে নেমে রাস্তা ধরে ছোটটার স্কুলে ছুটলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ওরা সবাই ভালো আছে।

জামিল হোসেন লিখেছেন, ‘এত বড় ভূমিকম্প! আল্লাহ মাফ করো।’ অভিনেত্রী সামান্তা পারভেজ লিখেছেন, ‘তাও মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না, আল্লাহর গজবকে পাত্তা দেয় না। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঘোড়াশাল, নরসিংদী—আমার এলাকা।’

এদিকে জনপ্রিয় ব্যান্ডদল শিরোনামহীন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুকে লিখেছে, ‘প্রচণ্ড ভূমিকম্প। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন। তাঁর দয়া ছাড়া ঢাকাকে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে বেশি সময় লাগবে না।’

কুদ্দুস বয়াতি লিখেছেন, ‘এই প্রথম ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি অনুভব করলাম।’

ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘আমি থাকি ১৪ তলা ভবনের ৫ম তলায়। নাস্তা খেয়ে বসেছিলাম, হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি। পুরো বিল্ডিং কাঁপছে। জানালা দিয়ে দেখলাম পাশের বিল্ডিং দোলনার মতো দুলছে। মানুষজন চিৎকার করছে। আমরা রুমের আড়ার নিচে দাঁড়ালাম। মনে হচ্ছিল পুরো ভবন ভেঙে পড়বে। জীবনে ভূমিকম্প বহুবার অনুভব করেছি—কিন্তু এমন তীব্রতা কখনো পাইনি। সবাই ভালো থাকুন।’

অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত। না হলে আরও ৫–৬ সেকেন্ডে কী হতো! একদিন এমন এক জুম্মাবারে, এমন একটি ঝাঁকুনিতে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। সূরা যিলযালে আল্লাহ সেই দৃশ্যের ভয়াবহতা বলে দিয়েছেন। যারা উঁচু দালান থেকে ভূমিকম্প অনুভব করেছেন, তাঁরা ভালো টের পেয়েছেন। সেই দিন আসন্ন—অবশ্যই আসবে। ঠিক এমনই কোনো এক জুম্মাবারে।’

ওআ/আপ্র/২১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

‘এ যাত্রায় ঢাকা বেঁচে গেলো, তাও আল্লাহকে ভয় পায় না’

আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক:  শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আকস্মিক এই কম্পনে বহু মানুষ বাসা-বাড়ি ও অফিস থেকে আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন।

ভূমিকম্পের ঘটনায় গোটা দেশের মানুষ আতঙ্কিত। সামাজিকমাধ্যমেও অনেকেই ভয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। শোবিজ তারকারাও ছিলেন সেই তালিকায়।

নিজের ফেসবুকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল লিখেছেন, ‘আল্লাহ, জীবনে এত বড় ভূমিকম্প প্রথমবার অনুভব করলাম। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করো।’
অভিনেতা কচি খন্দকার লিখেছেন, ‘গভীর ঘুমে ছিলাম, ভূমিকম্প জাগিয়ে দিলো। ভূমিকম্পের ভয়াবহতার কথা শুনেছি, আজ সত্যিকারের উপলব্ধি হলো। মানুষের পাশে মানুষ থাকি—মানবিকতা জেগে উঠুক।’

এদিকে অভিনেতা আব্দুন নূর সজল লিখেছেন, ‘এটা কি? ভূমিকম্প! আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।’ রওনক হাসান লিখেছেন, ‘ওরে ঝাঁকি! এ কি ভূমিকম্প! সবাই ঠিক আছেন তো?’

অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, এ যাত্রায় ঢাকা শহর বেঁচে গেলো। বাসায় একা ছোটটা (ছোট ছেলে) পাশে ড্রইং স্কুলে, বড়টা (বড় ছেলে) স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। মেঝেতে বসে ছিলাম, হঠাৎ মনে হলো চারপাশ ভেঙে আসছে। নিচ থেকে ওপর দিকে টানা ঝাঁকুনি—চারপাশের কাঁচের ফিটিংস ও জিনিসপত্র ঝনঝন শব্দ করছে। একসময় মনে হলো আর বাচ্চাদের মুখ দেখা হবে না। ছয়তলা সিঁড়ি দৌড়ে নেমে রাস্তা ধরে ছোটটার স্কুলে ছুটলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ওরা সবাই ভালো আছে।

জামিল হোসেন লিখেছেন, ‘এত বড় ভূমিকম্প! আল্লাহ মাফ করো।’ অভিনেত্রী সামান্তা পারভেজ লিখেছেন, ‘তাও মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না, আল্লাহর গজবকে পাত্তা দেয় না। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঘোড়াশাল, নরসিংদী—আমার এলাকা।’

এদিকে জনপ্রিয় ব্যান্ডদল শিরোনামহীন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুকে লিখেছে, ‘প্রচণ্ড ভূমিকম্প। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন। তাঁর দয়া ছাড়া ঢাকাকে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে বেশি সময় লাগবে না।’

কুদ্দুস বয়াতি লিখেছেন, ‘এই প্রথম ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি অনুভব করলাম।’

ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘আমি থাকি ১৪ তলা ভবনের ৫ম তলায়। নাস্তা খেয়ে বসেছিলাম, হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি। পুরো বিল্ডিং কাঁপছে। জানালা দিয়ে দেখলাম পাশের বিল্ডিং দোলনার মতো দুলছে। মানুষজন চিৎকার করছে। আমরা রুমের আড়ার নিচে দাঁড়ালাম। মনে হচ্ছিল পুরো ভবন ভেঙে পড়বে। জীবনে ভূমিকম্প বহুবার অনুভব করেছি—কিন্তু এমন তীব্রতা কখনো পাইনি। সবাই ভালো থাকুন।’

অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত। না হলে আরও ৫–৬ সেকেন্ডে কী হতো! একদিন এমন এক জুম্মাবারে, এমন একটি ঝাঁকুনিতে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। সূরা যিলযালে আল্লাহ সেই দৃশ্যের ভয়াবহতা বলে দিয়েছেন। যারা উঁচু দালান থেকে ভূমিকম্প অনুভব করেছেন, তাঁরা ভালো টের পেয়েছেন। সেই দিন আসন্ন—অবশ্যই আসবে। ঠিক এমনই কোনো এক জুম্মাবারে।’

ওআ/আপ্র/২১/১১/২০২৫