ক্রীড়া ডেস্ক: মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ আজ এক উজ্জ্বল দিনে ছাপ ফেলেছে। দিনের শুরুতে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর সেই পথ অনুসরণ করেছেন আরেক অভিজ্ঞ তারকা লিটন দাস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ মাসের দীর্ঘ বিরতির পর লিটন দাস ফিরে এসেছে ম্যাজিক ফিগার হাতে।
লিটনের ব্যাটে জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশের সংগ্রহকে ৪০০ রানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাটসম্যানের ধারাবাহিক ও সাহসী ইনিংসের কারণে স্বাগতিকরা ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮৩ রান সংগ্রহ করেছে। মিরপুরের ব্যাটিং পিচে লিটন দাসের প্রমাণিত দৃঢ়তা ও মেন্টাল স্ট্যামিনা স্পষ্ট। বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণের চাপ সামলাতে লিটন পুরো ইনিংসে দায়িত্ব নিয়েছেন।
লিটন দাসের এই সেঞ্চুরি কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নয়, দলের মানসিকতাকেও অনেক উত্সাহ যোগ করেছে। দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা ব্যাটসম্যানের জন্য এটি নতুন আত্মবিশ্বাসের বার্তা। বাংলাদেশের ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লিটনের ব্যাটিং ফর্ম দলকে বড় স্কোরের দিকে ধাবিত করতে সাহায্য করবে।
দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি বাংলাদেশের ইনিংসে দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তার অভিজ্ঞতা, সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এবং ক্রমাগত রান সংগ্রহের দক্ষতা লিটনের ইনিংসকে আরও শক্তিশালী করেছে। লিটন ও মুশফিকুর জুটি আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলেছে।
ক্রিকেট প্রেমীদের মতে, এই জোড়া সেঞ্চুরি দলের মনোবল বৃদ্ধি করেছে। এই জয়ের পথে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের মনোযোগ, ধৈর্য এবং ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে পারার দক্ষতা আজকের ইনিংসে স্পষ্ট।
বাংলাদেশ দলকে একটি বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য লিটনের ধারাবাহিক ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চারশ’র পথে থাকা সংগ্রহ দলের জন্য নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং ব্যাকবোন হিসেবে কাজ করছে।
লিটনের এই সেঞ্চুরি শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থক নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। তার ব্যাটিং শৈলী ও মাঠে ধৈর্য প্রদর্শনের ক্ষমতা আজকের ইনিংসকে বিশেষ করে তুলেছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দলের জয়লাভে কীভাবে অবদান রাখতে পারে, তা আজ স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে।
চলতি টেস্ট ম্যাচে লিটন দাসের সেঞ্চুরি বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেবে এবং প্রতিপক্ষকে চাপে রাখবে। দলের বোলাররা কৌশলগত সুবিধা পাবেন এবং বড় সংগ্রহের ফলে রানের চাপ প্রতিপক্ষের উপর থাকবে।
মিরপুর স্টেডিয়ামের ভক্তরা লিটনের ব্যাটিং পারফরম্যান্স উপভোগ করছেন। এই ধরনের ইনিংস বাংলাদেশের ক্রিকেট ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লিটন দাসের ১৪ মাস পর সেঞ্চুরি শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত রেকর্ড নয়, দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
এসি/আপ্র/২০/১১/২০২৫





















