ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

২৬০০ কোটিতে বিক্রি রহস্যময় এই চিত্রকর্ম

  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: কয়েক দশক ধরে সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে ছিল অস্ট্রিয়ান শিল্পী গুস্তাভ ক্লিম্টের আঁকা একটি রহস্যময় ছবি। সম্প্রতি সেই চিত্রকর্মটি প্রকাশ্যে এসেছে; উঠেছে নিলামেও। শুধু তাই নয়, নিলামে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এই চিত্রকর্মটি।

ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসেছে এই তথ্য। ‘পোর্ট্রেট অফ এলিজাবেথ লেডারের’- নামের এই চিত্রকর্মটিকে গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নিউইয়র্কের বিখ্যাত নিলাম সংস্থা সথেবিস এটিকে কিনে নেয়। যা হাকানো হয় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত। ছবিটি নিলাম সংস্থাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কাজ হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

এর আগে ক্লিম্টেরই আঁকা ‘লেডি উইথ আ ফ্যান’ ছবিটি ২০২৩ সালে ১০ কোটি ৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে ইউরোপে রেকর্ড গড়েছিল। তবে ‘পোর্ট্রেট অফ এলিজাবেথ লেডারের’ এই ছবিটি এবার সেই আগের রেকর্ডকে অনেক সহজে ছাড়িয়ে গেল। শুধু তাই নয়, এই বিক্রির মাধ্যমে ক্লিম্টের এই ক্যানভাসটি নিলামে বিক্রি হওয়া দ্বিতীয় সবচেয়ে দামি শিল্পকর্ম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

কেন ছবিটি এত মূল্যবান?

এলিজাবেথ লেডারের ছিলেন ভিয়েনার এক ধনী ইহুদি পরিবারের মেয়ে, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে অস্ট্রিয়ান শিল্পী গুস্তাভ ক্লিম্টের প্রতিকৃতিতে পরিচিতি লাভ করেন। ২০ বছর বয়সী এই তরুণীর প্রায় ২ মিটার (৬ ফুট ৬ ইঞ্চি) লম্বা প্রতিকৃতিটি কেন এত দামে বিক্রি হলো, সেই প্রশ্ন এখন শিল্প জগতে আলোচনায়।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, এই ছবিটি ১৯১৪ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে আঁকা। ক্লিম্টের বিখ্যাত কাজগুলো যেমন সোনা আর জাঁকজমকে ভরা ছিল, এই ছবিতে সে রকমই কিছু রয়েছে। এছাড়াও ১.৮ মিটার লম্বা চিত্রকর্মে তার পোশাক ও ভঙ্গি প্রাচ্য সাম্রাজ্যের শোভা প্রতিফলিত করে।

নিলামের আগে চিত্রকর্মটি বিলিয়নিয়ার লেনার্ড এ লডারের ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল; যিনি চলতি বছর মৃত্যুবরণ করেছেন। লডারের সংগ্রহ থেকে আরও পাঁচটি ক্লিম্ট চিত্রকর্ম বিক্রি হয়, যা সব মিলিয়ে নিলামে মোট ৩৯২ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ছবির বিশেষ সৌন্দর্য, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং বাজারে এমন বিরল কাজের চরম চাহিদাই এটিকে এত দামি হওয়ার প্রধান কারণ।

ওআ/আপ্র/১৯/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

২৬০০ কোটিতে বিক্রি রহস্যময় এই চিত্রকর্ম

আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: কয়েক দশক ধরে সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে ছিল অস্ট্রিয়ান শিল্পী গুস্তাভ ক্লিম্টের আঁকা একটি রহস্যময় ছবি। সম্প্রতি সেই চিত্রকর্মটি প্রকাশ্যে এসেছে; উঠেছে নিলামেও। শুধু তাই নয়, নিলামে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এই চিত্রকর্মটি।

ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসেছে এই তথ্য। ‘পোর্ট্রেট অফ এলিজাবেথ লেডারের’- নামের এই চিত্রকর্মটিকে গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নিউইয়র্কের বিখ্যাত নিলাম সংস্থা সথেবিস এটিকে কিনে নেয়। যা হাকানো হয় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত। ছবিটি নিলাম সংস্থাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কাজ হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

এর আগে ক্লিম্টেরই আঁকা ‘লেডি উইথ আ ফ্যান’ ছবিটি ২০২৩ সালে ১০ কোটি ৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে ইউরোপে রেকর্ড গড়েছিল। তবে ‘পোর্ট্রেট অফ এলিজাবেথ লেডারের’ এই ছবিটি এবার সেই আগের রেকর্ডকে অনেক সহজে ছাড়িয়ে গেল। শুধু তাই নয়, এই বিক্রির মাধ্যমে ক্লিম্টের এই ক্যানভাসটি নিলামে বিক্রি হওয়া দ্বিতীয় সবচেয়ে দামি শিল্পকর্ম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

কেন ছবিটি এত মূল্যবান?

এলিজাবেথ লেডারের ছিলেন ভিয়েনার এক ধনী ইহুদি পরিবারের মেয়ে, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে অস্ট্রিয়ান শিল্পী গুস্তাভ ক্লিম্টের প্রতিকৃতিতে পরিচিতি লাভ করেন। ২০ বছর বয়সী এই তরুণীর প্রায় ২ মিটার (৬ ফুট ৬ ইঞ্চি) লম্বা প্রতিকৃতিটি কেন এত দামে বিক্রি হলো, সেই প্রশ্ন এখন শিল্প জগতে আলোচনায়।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, এই ছবিটি ১৯১৪ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে আঁকা। ক্লিম্টের বিখ্যাত কাজগুলো যেমন সোনা আর জাঁকজমকে ভরা ছিল, এই ছবিতে সে রকমই কিছু রয়েছে। এছাড়াও ১.৮ মিটার লম্বা চিত্রকর্মে তার পোশাক ও ভঙ্গি প্রাচ্য সাম্রাজ্যের শোভা প্রতিফলিত করে।

নিলামের আগে চিত্রকর্মটি বিলিয়নিয়ার লেনার্ড এ লডারের ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল; যিনি চলতি বছর মৃত্যুবরণ করেছেন। লডারের সংগ্রহ থেকে আরও পাঁচটি ক্লিম্ট চিত্রকর্ম বিক্রি হয়, যা সব মিলিয়ে নিলামে মোট ৩৯২ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ছবির বিশেষ সৌন্দর্য, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং বাজারে এমন বিরল কাজের চরম চাহিদাই এটিকে এত দামি হওয়ার প্রধান কারণ।

ওআ/আপ্র/১৯/১১/২০২৫