ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির ঘরে

  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ১৪ ডিগ্রির ঘরে। এতে বেড়েছে শীতের আমেজ। কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ভোরের দিকে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুক্রবার থেকে টানা পাঁচ দিন ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রেকর্ড করা হচ্ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে শীত অনুভূত হচ্ছে ও রাতভর হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় ঠান্ডার অনুভূতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের কারণে গরম অনুভূত হয়। কদিন ধরেই দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০-৩১ ডিগ্রি।

এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী শীতজনিত কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোনের বলেন, শীতের শুরুর দিকে প্রতি বছর শীতজনিত কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এবারও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। আমরা সচেতনের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭০ শতাংশ। কয়েকদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্য ওঠানামা করছে। চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এসি/আপ্র/১৮/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির ঘরে

আপডেট সময় : ১১:৫০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ১৪ ডিগ্রির ঘরে। এতে বেড়েছে শীতের আমেজ। কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ভোরের দিকে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুক্রবার থেকে টানা পাঁচ দিন ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রেকর্ড করা হচ্ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে শীত অনুভূত হচ্ছে ও রাতভর হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় ঠান্ডার অনুভূতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের কারণে গরম অনুভূত হয়। কদিন ধরেই দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০-৩১ ডিগ্রি।

এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী শীতজনিত কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোনের বলেন, শীতের শুরুর দিকে প্রতি বছর শীতজনিত কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এবারও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। আমরা সচেতনের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭০ শতাংশ। কয়েকদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্য ওঠানামা করছে। চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এসি/আপ্র/১৮/১১/২০২৫