ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

দাউদের মাদক পার্টিতে যেতেন নোরা ফাতেহি, তীব্র প্রতিক্রিয়া অভিনেত্রীর

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক: মুম্বাই পুলিশের তদন্তে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যুক্ত একটি বিশাল মাদক পার্টির নেটওয়ার্ক প্রকাশ্যে আসার পর চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। মুম্বাইয়ের অভিজাত মহল থেকে দুবাই পর্যন্ত বিস্তৃত এই চক্রের সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর, নোর ফাতেহি এবং দাউদ ভাইপো আলিশাহ পার্কারের মতো হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মামলাটি এখন শিরোনামে।

তদন্ত প্রতিবেদনে নাম আসার খবর প্রকাশিত হবার পরপরই অভিনেত্রী নোরি ফাতেহি প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনিই প্রথম পরিচিত মুখ, যিনি এই ঘটনায় তাঁর নাম ব্যবহার করার কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে এই মামলার সঙ্গে তাঁর যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং প্রমাণ ছাড়া তাঁর নাম ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে নোরা ফাতেহি ইনস্টাগ্রামে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি এমন কোনো পার্টিতে যান না, বা এমন মহলে মেলামেশা করেন না যেখানে এই ধরনের কার্যকলাপ ঘটে।

তিনি লেখেন, আমি পার্টিতে যাই না; আমি সব সময় ফ্লাইটে থাকি। আমি একজন কর্মঠ মানুষ, আমার কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই; আমি ওই ধরনের মানুষের সাথে নিজেকে জড়াই না এবং আমার ছুটির দিনে আমি দুবাইয়ের কোনো সৈকতে বসে থাকি অথবা আমার স্কুল বন্ধুদের সাথে সময় কাটাই।

তিনি আরও যোগ করেন, আমি আমার প্রতিটা দিন আর রাতকে আমার স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করে কাটাই। যা পড়ছেন তা বিশ্বাস করবেন না। মনে হচ্ছে আমার নাম একটি সহজ নিশানা। কিন্তু এইবার আমি তা হতে দেব না। একবার এর আগে এমনটা হয়েছে, আপনারা মিথ্যা দিয়ে আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা কাজ করেনি। সবাই যখন আমার নাম কালিমালিপ্ত করতে, আমার খ্যাতি নষ্ট করতে ব্যস্ত ছিলেন, আমি চুপচাপ দেখেছিলাম। যে পরিস্থিতির সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, সেখানে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি- এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।

তার এই বিবৃতি দ্রুত ভাইরাল হয়, যা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা এবং সেলিব্রিটি হয়রানি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তদন্ত অনুযায়ী, এই মাদক নেটওয়ার্কটি দুবাই থেকে পরিচালিত হত বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুসারে, দুবাই নিবাসী সেলিম নামের এক ব্যক্তি এই কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সেলিমের ছেলে তাহের, যাকে আগস্ট মাসে আমিরতা থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়েছিলো, তিনি তদন্ত দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাদকচক্র কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেলিম দাবি করেন, তিনি চলচ্চিত্র, ফ্যাশন এবং সঙ্গীত জগতের লোকজন এবং আলিশাহ পার্কারসহ বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে হাই-প্রোফাইল পার্টির আয়োজন করতেন। এই দাবিগুলো এখন ডিজিটাল প্রমাণ ও রিমান্ড নথির মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে।

মুম্বাই পুলিশ মনে করে এই সিন্ডিকেট ভারত ও বিদেশে এক্সক্লুসিভ পার্টির আয়োজন করত, যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা যোগ দিতেন। এই অপারেশনের ব্যাপ্তি এবং জড়িত নামগুলো মামলাটিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে, যা অভিজাত মহলের মধ্যে মাদক নেটওয়ার্কের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

ওআ/আপ্র/১৬/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দাউদের মাদক পার্টিতে যেতেন নোরা ফাতেহি, তীব্র প্রতিক্রিয়া অভিনেত্রীর

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: মুম্বাই পুলিশের তদন্তে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যুক্ত একটি বিশাল মাদক পার্টির নেটওয়ার্ক প্রকাশ্যে আসার পর চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। মুম্বাইয়ের অভিজাত মহল থেকে দুবাই পর্যন্ত বিস্তৃত এই চক্রের সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর, নোর ফাতেহি এবং দাউদ ভাইপো আলিশাহ পার্কারের মতো হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মামলাটি এখন শিরোনামে।

তদন্ত প্রতিবেদনে নাম আসার খবর প্রকাশিত হবার পরপরই অভিনেত্রী নোরি ফাতেহি প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনিই প্রথম পরিচিত মুখ, যিনি এই ঘটনায় তাঁর নাম ব্যবহার করার কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে এই মামলার সঙ্গে তাঁর যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং প্রমাণ ছাড়া তাঁর নাম ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে নোরা ফাতেহি ইনস্টাগ্রামে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি এমন কোনো পার্টিতে যান না, বা এমন মহলে মেলামেশা করেন না যেখানে এই ধরনের কার্যকলাপ ঘটে।

তিনি লেখেন, আমি পার্টিতে যাই না; আমি সব সময় ফ্লাইটে থাকি। আমি একজন কর্মঠ মানুষ, আমার কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই; আমি ওই ধরনের মানুষের সাথে নিজেকে জড়াই না এবং আমার ছুটির দিনে আমি দুবাইয়ের কোনো সৈকতে বসে থাকি অথবা আমার স্কুল বন্ধুদের সাথে সময় কাটাই।

তিনি আরও যোগ করেন, আমি আমার প্রতিটা দিন আর রাতকে আমার স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করে কাটাই। যা পড়ছেন তা বিশ্বাস করবেন না। মনে হচ্ছে আমার নাম একটি সহজ নিশানা। কিন্তু এইবার আমি তা হতে দেব না। একবার এর আগে এমনটা হয়েছে, আপনারা মিথ্যা দিয়ে আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা কাজ করেনি। সবাই যখন আমার নাম কালিমালিপ্ত করতে, আমার খ্যাতি নষ্ট করতে ব্যস্ত ছিলেন, আমি চুপচাপ দেখেছিলাম। যে পরিস্থিতির সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, সেখানে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি- এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।

তার এই বিবৃতি দ্রুত ভাইরাল হয়, যা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা এবং সেলিব্রিটি হয়রানি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তদন্ত অনুযায়ী, এই মাদক নেটওয়ার্কটি দুবাই থেকে পরিচালিত হত বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুসারে, দুবাই নিবাসী সেলিম নামের এক ব্যক্তি এই কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সেলিমের ছেলে তাহের, যাকে আগস্ট মাসে আমিরতা থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়েছিলো, তিনি তদন্ত দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাদকচক্র কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেলিম দাবি করেন, তিনি চলচ্চিত্র, ফ্যাশন এবং সঙ্গীত জগতের লোকজন এবং আলিশাহ পার্কারসহ বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে হাই-প্রোফাইল পার্টির আয়োজন করতেন। এই দাবিগুলো এখন ডিজিটাল প্রমাণ ও রিমান্ড নথির মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে।

মুম্বাই পুলিশ মনে করে এই সিন্ডিকেট ভারত ও বিদেশে এক্সক্লুসিভ পার্টির আয়োজন করত, যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা যোগ দিতেন। এই অপারেশনের ব্যাপ্তি এবং জড়িত নামগুলো মামলাটিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে, যা অভিজাত মহলের মধ্যে মাদক নেটওয়ার্কের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

ওআ/আপ্র/১৬/১১/২০২৫