হিলি সংবাদদাতা: আমদানির অনুমতির খবরে সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সরবরাহের এমন ধারা অব্যাহত থাকলে ও ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি দোকানেই আগের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের ভালো সরববাহ লক্ষ্য করা গেছে। এতে পণ্যটির দাম কমতির দিকে। একদিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই পেঁয়াজ বর্তমানে কমে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল লতিফ বলেন, পেঁয়াজের দাম গত কয়েকদিন ধরেই ওঠানামা করছে। কখনও বাড়ছে তো আবার কমছে। আমরা যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম সেটি হঠাৎ দাম বাড়তে বাড়তে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। সরকার যেই আমদানির অনুমতির কথা বলেছে, তখন আবারো কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছিল। কিন্তু দাম কমার দুই দিন পরই আবারো দাম বেড়ে ১০০ টাকায় উঠে যায়। এই যে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে, এগুলো ব্যবসায়ীদের কারসাজি। বাজারে তো পেঁয়াজ আছেই, তারপরও কেন বাড়ছে। আমরা চাই পেঁয়াজের দাম যেন ৫০ টাকায় নেমে আসে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় হঠাৎ সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। মোকামে প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়ছিল। কিছু দিন আগে যে পেঁয়াজ আমরা ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলাম সেটি বাড়তে বাড়তে ১০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। সম্প্রতি সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছেন। এতে কৃষকরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় মোকামে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা বাড়ায় দাম কমতির দিকে আসছিল। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় আবারো দাম বাড়তে শুরু করে। সম্প্রতি আবারো দাম বাড়লে আমদানির অনুমতি দেওয়ার হবে হবে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। এতে আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে- এরপর দাম কিছুটা কমে।
এসি/আপ্র/১৫/১১/২০২৫




















