ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

একতরফা নির্বাচন করলে দেশের ভালো হবে না: কাদের সিদ্দিকী

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল, তার সঙ্গে ভালো থাকুক, খারাপ থাকুক প্রচুর মানুষ আছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন করলে বাংলাদেশের ভালো হবে না। সামনে নির্বাচনটা চাই, সব মানুষের অংশগ্রহণে। মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। যে কোনো মানুষ যেন বলতে পারে আমি ভোট দিয়েছি।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটীতে কারামুক্ত সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার সব সময় একপাক্ষিক কাজ করেছে। দুই-তিনমাস মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু তারপর যা করছে সেটা সম্পূর্ণ একপাক্ষিক। জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা মানায় না, বঙ্গবন্ধুর ঘর-বাড়ি ভাঙা এটা মানায় না। বঙ্গবন্ধুর ট্যাচু ভাঙা তার জন্য সরকারিভাবে কোনো প্রতিকার করেন নেই। সরকারিভাবে এটা কি একতরফা না হয়ে কি দুতরফা বলা যায়? সরকার একতরফাভাবে কাজ করে চলছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। এই জন্য ধন্যবাদ, তিনি আমাদের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে চিনেছেন। আমরা অধ্যাপক ইউনূসকে চিন্তে পারি নাই, আমরা অনেক পরে চিনলাম। আমি অধ্যাপক ইউনূসের জন্য যথেষ্টা পরিশ্রম করেছি। যখন ২০১২ সালের দিকে তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা উঠে ছিল। তখন আমি যদি তার পাশে না দাঁড়াতাম, আমরা যদি না দাঁড়াতাম তাহলে অনেক গ্রামীণ ব্যাংকের স্থাপনা থাকতো না। এবং আমার মনে হয় পরবর্তীতে এই স্থাপনা থাকবে না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজকে প্রায় ১৫ মাস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ সম্পর্কে কথা বলতে একবারের জন্য আমাদের ডাকে নাই। গতকালকে চিঠি পেলাম, একবার ভেবেছিলাম সরকারের ডাক এসেছে এটা। পরে চিঠি দেখলাম সরকার না, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। সরকার ডাকলে যেতাম না। নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তাদের এইকথা গুলো ওখানে গিয়ে বলে আসব।

তিনি বলেন, আন্তরিকভাবে কাজ করলে কোনো ঝুঁকি নাই। কিন্তু যদি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়, নিজেদের ইচ্ছেমতো কোনো ফলাফল বের করবেন। তাহলে প্রচুর ঝুঁকি আছে। সে ঝুঁকি নিয়ে টিকতে পারবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক এমপি লাইলা সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ বীরপ্রতিক, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, কালিহাতী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, সখীপুর কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি ইতহার সিদ্দিকী প্রমুখ।

ওআ/আপ্র/১৪/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

একতরফা নির্বাচন করলে দেশের ভালো হবে না: কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল, তার সঙ্গে ভালো থাকুক, খারাপ থাকুক প্রচুর মানুষ আছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন করলে বাংলাদেশের ভালো হবে না। সামনে নির্বাচনটা চাই, সব মানুষের অংশগ্রহণে। মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। যে কোনো মানুষ যেন বলতে পারে আমি ভোট দিয়েছি।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটীতে কারামুক্ত সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার সব সময় একপাক্ষিক কাজ করেছে। দুই-তিনমাস মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু তারপর যা করছে সেটা সম্পূর্ণ একপাক্ষিক। জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা মানায় না, বঙ্গবন্ধুর ঘর-বাড়ি ভাঙা এটা মানায় না। বঙ্গবন্ধুর ট্যাচু ভাঙা তার জন্য সরকারিভাবে কোনো প্রতিকার করেন নেই। সরকারিভাবে এটা কি একতরফা না হয়ে কি দুতরফা বলা যায়? সরকার একতরফাভাবে কাজ করে চলছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। এই জন্য ধন্যবাদ, তিনি আমাদের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে চিনেছেন। আমরা অধ্যাপক ইউনূসকে চিন্তে পারি নাই, আমরা অনেক পরে চিনলাম। আমি অধ্যাপক ইউনূসের জন্য যথেষ্টা পরিশ্রম করেছি। যখন ২০১২ সালের দিকে তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা উঠে ছিল। তখন আমি যদি তার পাশে না দাঁড়াতাম, আমরা যদি না দাঁড়াতাম তাহলে অনেক গ্রামীণ ব্যাংকের স্থাপনা থাকতো না। এবং আমার মনে হয় পরবর্তীতে এই স্থাপনা থাকবে না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজকে প্রায় ১৫ মাস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ সম্পর্কে কথা বলতে একবারের জন্য আমাদের ডাকে নাই। গতকালকে চিঠি পেলাম, একবার ভেবেছিলাম সরকারের ডাক এসেছে এটা। পরে চিঠি দেখলাম সরকার না, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। সরকার ডাকলে যেতাম না। নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তাদের এইকথা গুলো ওখানে গিয়ে বলে আসব।

তিনি বলেন, আন্তরিকভাবে কাজ করলে কোনো ঝুঁকি নাই। কিন্তু যদি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়, নিজেদের ইচ্ছেমতো কোনো ফলাফল বের করবেন। তাহলে প্রচুর ঝুঁকি আছে। সে ঝুঁকি নিয়ে টিকতে পারবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক এমপি লাইলা সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ বীরপ্রতিক, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, কালিহাতী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, সখীপুর কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি ইতহার সিদ্দিকী প্রমুখ।

ওআ/আপ্র/১৪/১১/২০২৫