ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

চড়া সবজির দাম, ক্রেতারা অস্বস্তিতে

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে ফের বেড়েছে সবজির দাম। কয়েক সপ্তাহ আগে দাম কমলেও এখন প্রতি কেজি সবজিতেই দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বিক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন লকডাউনের প্রভাবে সবজির দাম বেড়েছে। আর ১২০ টাকা উঠা পেঁয়াজের বাজারও এখনো কমেনি৷

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বিজয় সরণীর কলমিলতা, মহাখালীর বউবাজার ও শেওড়াপাড়ার ইব্রাহিমপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ এখন ১ ১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল সর্বোচ্চ ৮০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে আসা চলতি মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ কলির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

এদিকে, বাজারে শীতের সবজি উঠছে কয়েক মাস ধরেই। শিমের পর এ তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে ফুলকপি, পাতাকপি ও মুলা। এ চারটি সবজির দাম আগের থেকে কমলেও ফের বেড়েছে। এরমধ্যে শিম ৫০ টাকা কেজি নেমে গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। ছোট আকারের ফুলকপি ও পাতাকপি বিক্রি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

বাজারে দেখা গেছে, কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে। ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে৷ ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা ও পটল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, করলা ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজয়স্মরণীর কলমিলতা বাজারের সবজি বিক্রেতা হাছান মিয়া বলেন, ‘অনেক সবজির দাম কমে গিয়েছিল। এখন আবার বেড়েছে। লকডাউনের কারণে সবজির সরবরাহ কম। আর শিমের দাম কমার পর বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে।’

ইব্রাহিমপুরের সবজি বিক্রেতা সজীব বলেন, ‘গেল দুই সপ্তাহে শীতের প্রচুর সবজি এসেছে। তবে আজ কম। তাই সবজির দাম আবারও বেড়েছে। কমবেশি সব সবজির দামই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।’

এদিকে, বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগিও ২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকায় উঠেছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে গরু ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি ও খাসি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ওআ/আপ্র/১৪/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চড়া সবজির দাম, ক্রেতারা অস্বস্তিতে

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে ফের বেড়েছে সবজির দাম। কয়েক সপ্তাহ আগে দাম কমলেও এখন প্রতি কেজি সবজিতেই দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বিক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন লকডাউনের প্রভাবে সবজির দাম বেড়েছে। আর ১২০ টাকা উঠা পেঁয়াজের বাজারও এখনো কমেনি৷

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বিজয় সরণীর কলমিলতা, মহাখালীর বউবাজার ও শেওড়াপাড়ার ইব্রাহিমপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ এখন ১ ১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল সর্বোচ্চ ৮০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে আসা চলতি মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ কলির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

এদিকে, বাজারে শীতের সবজি উঠছে কয়েক মাস ধরেই। শিমের পর এ তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে ফুলকপি, পাতাকপি ও মুলা। এ চারটি সবজির দাম আগের থেকে কমলেও ফের বেড়েছে। এরমধ্যে শিম ৫০ টাকা কেজি নেমে গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। ছোট আকারের ফুলকপি ও পাতাকপি বিক্রি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

বাজারে দেখা গেছে, কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে। ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে৷ ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা ও পটল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, করলা ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজয়স্মরণীর কলমিলতা বাজারের সবজি বিক্রেতা হাছান মিয়া বলেন, ‘অনেক সবজির দাম কমে গিয়েছিল। এখন আবার বেড়েছে। লকডাউনের কারণে সবজির সরবরাহ কম। আর শিমের দাম কমার পর বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে।’

ইব্রাহিমপুরের সবজি বিক্রেতা সজীব বলেন, ‘গেল দুই সপ্তাহে শীতের প্রচুর সবজি এসেছে। তবে আজ কম। তাই সবজির দাম আবারও বেড়েছে। কমবেশি সব সবজির দামই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।’

এদিকে, বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগিও ২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকায় উঠেছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে গরু ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি ও খাসি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ওআ/আপ্র/১৪/১১/২০২৫