ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

জর্জিয়ায় বিধ্বস্ত তুর্কি বিমানে থাকা ২০ জনই নিহত

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

জর্জিয়ার সিগনাগি মিউনিসিপ্যালিটিতে বিধ্বস্ত তুর্কি সামরিক পরিবহন বিমানের দুর্ঘটনাস্থলে ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে- ছবি এপি

প্রত্যাশা ডেস্ক: জর্জিয়া-আজারবাইজান সীমান্তের কাছে তুরস্কের সামরিক কার্গো বিমান সি-১৩০ বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানে থাকা ২০ জন সেনার সবাই নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার(১১ নভেম্বর) আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং সিগনাঘি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

বুধবার (১২ নভেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার নিহত সেনাদের শহিদ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তুরস্ক ও জর্জিয়ার যৌথ তদন্ত দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের নির্মাতা মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি লকহিড মার্টিন এ ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ তৈরি করে মাটিতে বিধ্বস্ত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ।

সামরিক কার্গো বিমানের এ ঘটনাটি ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক দুর্ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।

এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাতার, ইরান, মিশরসহ বিভিন্ন দেশ ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে দুর্ঘটনার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, লকহিড মার্টিন নির্মিত সি-১৩০ চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান যা বিশ্বের বহু দেশের সেনাবাহিনীতে মালামাল ও সৈন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।

সূত্র : আল-জাজিরা

ওআ/আপ্র/১২/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জর্জিয়ায় বিধ্বস্ত তুর্কি বিমানে থাকা ২০ জনই নিহত

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: জর্জিয়া-আজারবাইজান সীমান্তের কাছে তুরস্কের সামরিক কার্গো বিমান সি-১৩০ বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানে থাকা ২০ জন সেনার সবাই নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার(১১ নভেম্বর) আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং সিগনাঘি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

বুধবার (১২ নভেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার নিহত সেনাদের শহিদ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তুরস্ক ও জর্জিয়ার যৌথ তদন্ত দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের নির্মাতা মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি লকহিড মার্টিন এ ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ তৈরি করে মাটিতে বিধ্বস্ত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ।

সামরিক কার্গো বিমানের এ ঘটনাটি ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক দুর্ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।

এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাতার, ইরান, মিশরসহ বিভিন্ন দেশ ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে দুর্ঘটনার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, লকহিড মার্টিন নির্মিত সি-১৩০ চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান যা বিশ্বের বহু দেশের সেনাবাহিনীতে মালামাল ও সৈন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।

সূত্র : আল-জাজিরা

ওআ/আপ্র/১২/১১/২০২৫