ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

১৩ তারিখের ‘ঢাকা লকডাউন’ সফলে বোম ফারুক পেয়েছিলেন ৫ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ফরিদপুর সংবাদদাতা: ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেন ওরফে বোম ফারুককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার  (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ১৩ তারিখের ‘ঢাকা লকডাউন’ সফলে তিনি ৫ লাখ টাকা পেয়েছিলেন বলে এসপি জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে যুব মহিলা লীগের সদস্য নাসরিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, আগামী ১৩ তারিখ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ সফল করতে যুবলীগের শীর্ষ এক নেতা ফারুক হোসেনকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিল। যার মধ্যে তিনি চার লাখ টাকা খরচ করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর ভোরে ফরিদপুর শহরের সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে ১৩ তারিখে ঢাকায় লকডাউন সফল করতে সংক্ষিপ্ত একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে লকডাউন সফলে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। সেই মিছিলে যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাসরিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। সেই মিছিলের সূত্র ধরে মাঠে নামে পুলিশ। এরপর নানা গোয়েন্দা সূত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সোমবার শহরের ঝিলটুলী এলাকার নুরজাহান টাওয়ারের একটি ফ্লাট থেকে গ্রেফতার করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে।

পুলিশ সুপার জানান, ফারুক হোসেনের নামে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থাকায় চারটি এবং রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় দুটিসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে।

ফারুক হোসেনের নামের সঙ্গে বোম শব্দ যোগ হওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি ইয়াসিন কলেজের ভিপি ছিলেন। ওই সময়ে ছাত্রদলের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের সময় বোমাটি ফারুক হোসেনের হাতে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল উড়ে যায়। সেই সময় থেকেই ফারুক হোসেনের নামের সঙ্গে বোম যোগ হয়ে যায়। তিনি ফরিদপুরে বোম ফারুক নামেই বেশি পরিচিত।

তিনি জানান, তার সঙ্গে আটক হওয়া নারী মহিলা যুবলীগের সদস্য, তবে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার রটনা সত্য নয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হবে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সুপার জানান, আগামী ১৩ তারিখের ‘ঢাকার লকডাউনে’ নাশকতা রোধে ফরিদপুর জেলাসহ বিভিন্ন থানা এলাকা হতে গত তিন দিনে ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে আওয়ামী যুবলীগ নেতা রয়েছে। গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।

ওআ/আপ্র/১১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

১৩ তারিখের ‘ঢাকা লকডাউন’ সফলে বোম ফারুক পেয়েছিলেন ৫ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর সংবাদদাতা: ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেন ওরফে বোম ফারুককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার  (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ১৩ তারিখের ‘ঢাকা লকডাউন’ সফলে তিনি ৫ লাখ টাকা পেয়েছিলেন বলে এসপি জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে যুব মহিলা লীগের সদস্য নাসরিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, আগামী ১৩ তারিখ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ সফল করতে যুবলীগের শীর্ষ এক নেতা ফারুক হোসেনকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিল। যার মধ্যে তিনি চার লাখ টাকা খরচ করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর ভোরে ফরিদপুর শহরের সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে ১৩ তারিখে ঢাকায় লকডাউন সফল করতে সংক্ষিপ্ত একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে লকডাউন সফলে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। সেই মিছিলে যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাসরিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। সেই মিছিলের সূত্র ধরে মাঠে নামে পুলিশ। এরপর নানা গোয়েন্দা সূত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সোমবার শহরের ঝিলটুলী এলাকার নুরজাহান টাওয়ারের একটি ফ্লাট থেকে গ্রেফতার করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে।

পুলিশ সুপার জানান, ফারুক হোসেনের নামে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থাকায় চারটি এবং রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় দুটিসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে।

ফারুক হোসেনের নামের সঙ্গে বোম শব্দ যোগ হওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি ইয়াসিন কলেজের ভিপি ছিলেন। ওই সময়ে ছাত্রদলের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের সময় বোমাটি ফারুক হোসেনের হাতে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল উড়ে যায়। সেই সময় থেকেই ফারুক হোসেনের নামের সঙ্গে বোম যোগ হয়ে যায়। তিনি ফরিদপুরে বোম ফারুক নামেই বেশি পরিচিত।

তিনি জানান, তার সঙ্গে আটক হওয়া নারী মহিলা যুবলীগের সদস্য, তবে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার রটনা সত্য নয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হবে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সুপার জানান, আগামী ১৩ তারিখের ‘ঢাকার লকডাউনে’ নাশকতা রোধে ফরিদপুর জেলাসহ বিভিন্ন থানা এলাকা হতে গত তিন দিনে ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে আওয়ামী যুবলীগ নেতা রয়েছে। গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।

ওআ/আপ্র/১১/১১/২০২৫