ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

রাতে দীর্ঘ ভ্রমণে গেলে গাড়ির যেসব পরীক্ষা করা অপরিহার্য

  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রযুক্তি ডেস্ক: দীর্ঘ ভ্রমণে দিনের মতো রাতের যাত্রায় ঝুঁকিও থাকে বেশি। কম আলো, নিস্তব্ধ রাস্তা, দূরবর্তী লোকেশন সব মিলিয়ে সামান্য ত্রুটি থেকেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যাত্রার আগে গাড়ির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভালোভাবে পরীক্ষা করা অপরিহার্য।

গাড়ির যেসব পরীক্ষা করবেন-
১. হেডলাইট, ফগ লাইট ও টেইল লাইট পরীক্ষা
রাতে যাত্রার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আলো। হেডলাইটের উজ্জ্বলতা ঠিক আছে কি না, লো ও হাই বিম সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দেখে নিতে হবে। অনেক সময় বাল্ব পুড়ে যায় বা আলো কমে যায়, ফলে সামনে দেখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফগ লাইট থাকলে সেটিও পরীক্ষা করা জরুরি, কারণ কুয়াশাচ্ছন্ন বা ধুলোময় পরিবেশে এটি অনেক কাজে আসে। এছাড়া টেইল লাইট ও ব্রেক লাইট কাজ করছে কি না দেখে নিতে হবে, যাতে পেছনের গাড়িগুলো সহজেই আপনার উপস্থিতি বুঝতে পারে।

২. ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক কানেকশন চেক
রাতে গাড়ির ব্যাটারি যদি হঠাৎ ডাউন হয়ে যায়, তবে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যাত্রার আগে ব্যাটারির ভোল্টেজ, কানেকশন টার্মিনাল ও তারগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। ব্যাটারি টার্মিনালে মরিচা বা ঢিলা কানেকশন থাকলে ঠিক করে নিতে হবে। প্রয়োজনে জাম্প স্টার্ট কেবল বা পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখা ভালো।

৩. ইঞ্জিন অয়েল ও কুল্যান্ট লেভেল
দীর্ঘ যাত্রায় ইঞ্জিন ক্রমাগত কাজ করে, ফলে গরম হয়ে ওঠে। ইঞ্জিন অয়েল ও কুল্যান্ট পর্যাপ্ত না থাকলে ওভারহিট হতে পারে। তাই ডিপস্টিক দিয়ে অয়েল লেভেল চেক করা এবং কুল্যান্ট রিজার্ভ ট্যাঙ্কে পর্যাপ্ত লিকুইড আছে কি না তা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজনে অল্প অয়েল বা কুল্যান্ট বাড়িয়ে নিতে হবে।

৪. টায়ার প্রেশার ও স্পেয়ার টায়ার
দীর্ঘ রাস্তায় হঠাৎ টায়ার পাংচার বা ব্লাস্ট হলে যাত্রা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই চারটি টায়ারের প্রেশার সঠিক আছে কিনা, টায়ারে কাট, ফাটল বা ক্ষয় আছে কিনা ভালোভাবে দেখা দরকার। স্পেয়ার টায়ারও ফুলানো অবস্থায় আছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় টুল যেমন জ্যাক ও হুইল রেঞ্চ ঠিকঠাক আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে।

৫. ব্রেক সিস্টেম ও ব্রেক অয়েল
রাতে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য ব্রেক সিস্টেম ঠিক আছে কি না তা দেখা জরুরি। ব্রেক প্যাড বেশি ক্ষয় হলে বা ব্রেক অয়েল লেভেল কমে গেলে দ্রুত ঠিক করে নিতে হবে। প্রয়োজনে টেস্ট ড্রাইভ দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে ব্রেক যথেষ্ট কার্যকর কি না।

৬. ফুয়েল ও জরুরি সরঞ্জাম
দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রার মাঝপথে পেট্রোল পাম্প না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই যথেষ্ট ফুয়েল ভর্তি আছে কি না দেখে নিতে হবে। পাশাপাশি টর্চলাইট, রিফ্লেক্টর, ফার্স্ট এইড কিট, মোবাইল চার্জার, অতিরিক্ত ফিউজ, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ইনস্যুরেন্স কপি) সঙ্গে রাখা উচিত।

৭. উইন্ডশিল্ড ও ওয়াইপার
রাতে চলার সময় ধুলা, কুয়াশা বা বৃষ্টি গাড়ির দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেয়। তাই উইন্ডশিল্ড গ্লাস পরিষ্কার রাখা এবং ওয়াইপার সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দেখা জরুরি। ওয়াশার ফ্লুইড ট্যাঙ্কে পানি বা ক্লিনার ভর্তি আছে কি না সেটিও পরীক্ষা করতে হবে।

 

এসি/আপ্র/১০/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রাতে দীর্ঘ ভ্রমণে গেলে গাড়ির যেসব পরীক্ষা করা অপরিহার্য

আপডেট সময় : ০৫:০৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: দীর্ঘ ভ্রমণে দিনের মতো রাতের যাত্রায় ঝুঁকিও থাকে বেশি। কম আলো, নিস্তব্ধ রাস্তা, দূরবর্তী লোকেশন সব মিলিয়ে সামান্য ত্রুটি থেকেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যাত্রার আগে গাড়ির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভালোভাবে পরীক্ষা করা অপরিহার্য।

গাড়ির যেসব পরীক্ষা করবেন-
১. হেডলাইট, ফগ লাইট ও টেইল লাইট পরীক্ষা
রাতে যাত্রার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আলো। হেডলাইটের উজ্জ্বলতা ঠিক আছে কি না, লো ও হাই বিম সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দেখে নিতে হবে। অনেক সময় বাল্ব পুড়ে যায় বা আলো কমে যায়, ফলে সামনে দেখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফগ লাইট থাকলে সেটিও পরীক্ষা করা জরুরি, কারণ কুয়াশাচ্ছন্ন বা ধুলোময় পরিবেশে এটি অনেক কাজে আসে। এছাড়া টেইল লাইট ও ব্রেক লাইট কাজ করছে কি না দেখে নিতে হবে, যাতে পেছনের গাড়িগুলো সহজেই আপনার উপস্থিতি বুঝতে পারে।

২. ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক কানেকশন চেক
রাতে গাড়ির ব্যাটারি যদি হঠাৎ ডাউন হয়ে যায়, তবে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যাত্রার আগে ব্যাটারির ভোল্টেজ, কানেকশন টার্মিনাল ও তারগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। ব্যাটারি টার্মিনালে মরিচা বা ঢিলা কানেকশন থাকলে ঠিক করে নিতে হবে। প্রয়োজনে জাম্প স্টার্ট কেবল বা পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখা ভালো।

৩. ইঞ্জিন অয়েল ও কুল্যান্ট লেভেল
দীর্ঘ যাত্রায় ইঞ্জিন ক্রমাগত কাজ করে, ফলে গরম হয়ে ওঠে। ইঞ্জিন অয়েল ও কুল্যান্ট পর্যাপ্ত না থাকলে ওভারহিট হতে পারে। তাই ডিপস্টিক দিয়ে অয়েল লেভেল চেক করা এবং কুল্যান্ট রিজার্ভ ট্যাঙ্কে পর্যাপ্ত লিকুইড আছে কি না তা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজনে অল্প অয়েল বা কুল্যান্ট বাড়িয়ে নিতে হবে।

৪. টায়ার প্রেশার ও স্পেয়ার টায়ার
দীর্ঘ রাস্তায় হঠাৎ টায়ার পাংচার বা ব্লাস্ট হলে যাত্রা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই চারটি টায়ারের প্রেশার সঠিক আছে কিনা, টায়ারে কাট, ফাটল বা ক্ষয় আছে কিনা ভালোভাবে দেখা দরকার। স্পেয়ার টায়ারও ফুলানো অবস্থায় আছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় টুল যেমন জ্যাক ও হুইল রেঞ্চ ঠিকঠাক আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে।

৫. ব্রেক সিস্টেম ও ব্রেক অয়েল
রাতে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য ব্রেক সিস্টেম ঠিক আছে কি না তা দেখা জরুরি। ব্রেক প্যাড বেশি ক্ষয় হলে বা ব্রেক অয়েল লেভেল কমে গেলে দ্রুত ঠিক করে নিতে হবে। প্রয়োজনে টেস্ট ড্রাইভ দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে ব্রেক যথেষ্ট কার্যকর কি না।

৬. ফুয়েল ও জরুরি সরঞ্জাম
দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রার মাঝপথে পেট্রোল পাম্প না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই যথেষ্ট ফুয়েল ভর্তি আছে কি না দেখে নিতে হবে। পাশাপাশি টর্চলাইট, রিফ্লেক্টর, ফার্স্ট এইড কিট, মোবাইল চার্জার, অতিরিক্ত ফিউজ, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ইনস্যুরেন্স কপি) সঙ্গে রাখা উচিত।

৭. উইন্ডশিল্ড ও ওয়াইপার
রাতে চলার সময় ধুলা, কুয়াশা বা বৃষ্টি গাড়ির দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেয়। তাই উইন্ডশিল্ড গ্লাস পরিষ্কার রাখা এবং ওয়াইপার সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দেখা জরুরি। ওয়াশার ফ্লুইড ট্যাঙ্কে পানি বা ক্লিনার ভর্তি আছে কি না সেটিও পরীক্ষা করতে হবে।

 

এসি/আপ্র/১০/১১/২০২৫