ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপে ডেটা সেন্টার বানাবে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল

  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রযুক্তি ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির পর দেশটির ছোট এক ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপে নতুন এআই ডেটা সেন্টার তৈরি করতে যাচ্ছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল।

রয়টার্সের দেখা নথি ও এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার অনুসারে, বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে এক ক্লাউড চুক্তিতে সই করার পর দেশটির প্রত্যন্ত ভারত মহাসাগরের ‘ক্রিসমাস’ দ্বীপে বড় এক এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি।

ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ছোট দ্বীপে ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা আগে জানা যায়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদনেই প্রথম উঠে এল এ তথ্য। এ পরিকল্পনার আকার, খরচ ও সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কিত অনেক তথ্য এখনও গোপনই রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সুবিধা দ্বীপটিতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের দৃষ্টিতে এ দ্বীপটিকে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভারত মহাসাগরে চীনা সাবমেরিন ও অন্যান্য নৌসামরিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

‘ক্রিসমাস আইল্যান্ড শায়ার’-এর কর্মকর্তারা কাউন্সিলের বৈঠকের নথি দেখিয়ে রয়টার্সকে বলেছেন, দ্বীপের বিমানবন্দরের কাছাকাছি জমি লিজ নিয়ে ডেটা হাব নির্মাণের জন্য ফলপ্রসূ আলোচনা করছে তারা। এ জন্য স্থানীয় এক খনি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে কোম্পানিটি, যা তাদের শক্তির চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেবে।

অ্যালফাবেট মালিকানাধীন গুগল বলেছে, অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাবমেরিন কেবল অবকাঠামো সরবরাহের কাজের অংশ ছিল এ প্রকল্প, যার আকার বা পরিধি কমিয়ে আনা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে কোম্পানিটি। এ বিষয়ে রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগল বলেছে, আমরা ক্রিসমাস দ্বীপে ‘বড় এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ডেটা সেন্টার’ নির্মাণ করছি না। এ নিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য তারা শিগরিরই প্রকাশ করার কথাও বলেছেন এক গুগল মুখপাত্র। এ পরিকল্পনার নথি বলছে, ভবিষ্যতে ক্রিসমাস দ্বীপ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ‘অতিরিক্ত সাবমেরিন কেবল বসানোর পরিকল্পনাও করছে’ গুগল।

ক্রিসমাস দ্বীপের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছে, ৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার এক ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শক্তি সরবরাহ চুক্তির আবেদন করেছে গুগল, যেখানে ডিজেল ও পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহার করবে তারা। তবে নিজেদের বিদ্যুতের চাহিদার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি গুগল।

অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো বিভাগ নিশ্চিত করেছে, গুগলের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ক্রিসমাস দ্বীপে ডেটা সেন্টার নির্মাণ এবং দ্বীপটিকে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন অঞ্চলের রাজধানী শহর ডারউইনের সঙ্গে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সংযোগের পরিকল্পনা। অবকাঠামো বিভাগ রয়টার্সকে বলেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিদ্যুৎ চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে তা নিশ্চিত করতে গুগলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন কোম্পানির সরবরাহে কোনো প্রভাব না পড়ে। তবে এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ।

সানা/ওআ/আপ্র/০৯/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

৩,৮০০ শিশুর জীবন বাঁচিয়ে রেকর্ড গড়লেন সংগীতশিল্পী

অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপে ডেটা সেন্টার বানাবে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল

আপডেট সময় : ০৭:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির পর দেশটির ছোট এক ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপে নতুন এআই ডেটা সেন্টার তৈরি করতে যাচ্ছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল।

রয়টার্সের দেখা নথি ও এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার অনুসারে, বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে এক ক্লাউড চুক্তিতে সই করার পর দেশটির প্রত্যন্ত ভারত মহাসাগরের ‘ক্রিসমাস’ দ্বীপে বড় এক এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি।

ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ছোট দ্বীপে ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা আগে জানা যায়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদনেই প্রথম উঠে এল এ তথ্য। এ পরিকল্পনার আকার, খরচ ও সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কিত অনেক তথ্য এখনও গোপনই রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সুবিধা দ্বীপটিতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের দৃষ্টিতে এ দ্বীপটিকে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভারত মহাসাগরে চীনা সাবমেরিন ও অন্যান্য নৌসামরিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

‘ক্রিসমাস আইল্যান্ড শায়ার’-এর কর্মকর্তারা কাউন্সিলের বৈঠকের নথি দেখিয়ে রয়টার্সকে বলেছেন, দ্বীপের বিমানবন্দরের কাছাকাছি জমি লিজ নিয়ে ডেটা হাব নির্মাণের জন্য ফলপ্রসূ আলোচনা করছে তারা। এ জন্য স্থানীয় এক খনি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে কোম্পানিটি, যা তাদের শক্তির চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেবে।

অ্যালফাবেট মালিকানাধীন গুগল বলেছে, অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাবমেরিন কেবল অবকাঠামো সরবরাহের কাজের অংশ ছিল এ প্রকল্প, যার আকার বা পরিধি কমিয়ে আনা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে কোম্পানিটি। এ বিষয়ে রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগল বলেছে, আমরা ক্রিসমাস দ্বীপে ‘বড় এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ডেটা সেন্টার’ নির্মাণ করছি না। এ নিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য তারা শিগরিরই প্রকাশ করার কথাও বলেছেন এক গুগল মুখপাত্র। এ পরিকল্পনার নথি বলছে, ভবিষ্যতে ক্রিসমাস দ্বীপ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ‘অতিরিক্ত সাবমেরিন কেবল বসানোর পরিকল্পনাও করছে’ গুগল।

ক্রিসমাস দ্বীপের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছে, ৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার এক ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শক্তি সরবরাহ চুক্তির আবেদন করেছে গুগল, যেখানে ডিজেল ও পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহার করবে তারা। তবে নিজেদের বিদ্যুতের চাহিদার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি গুগল।

অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো বিভাগ নিশ্চিত করেছে, গুগলের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ক্রিসমাস দ্বীপে ডেটা সেন্টার নির্মাণ এবং দ্বীপটিকে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন অঞ্চলের রাজধানী শহর ডারউইনের সঙ্গে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সংযোগের পরিকল্পনা। অবকাঠামো বিভাগ রয়টার্সকে বলেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিদ্যুৎ চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে তা নিশ্চিত করতে গুগলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন কোম্পানির সরবরাহে কোনো প্রভাব না পড়ে। তবে এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ।

সানা/ওআ/আপ্র/০৯/১১/২০২৫