ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

ডিএনএ’র গঠন আবিষ্কারক জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন

  • আপডেট সময় : ০২:০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন। ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াটসনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি, যেখানে তিনি বহু দশক ধরে কাজ ও গবেষণা করেছেন।

১৯৫৩ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ডিএনএ (ডি-অক্সি রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) অণুর ডাবল হেলিক্স গঠন আবিষ্কার করেন, যা ২০শ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত। এই আবিষ্কার পরবর্তী সময়ে আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে।

১৯৬২ সালে ওয়াটসন, ক্রিক ও মরিস উইলকিনস ডিএনএ-এর গঠন আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। তবে ডিএনএ-র এক্স-রে চিত্র যিনি প্রথম ধারণ করেছিলেন, সেই রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের অবদান তখন স্বীকৃতি পায়নি।

তবে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। তিনি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের গড় বুদ্ধিমত্তা জিনগতভাবে আলাদা। তার ওই বক্তব্য পরে বৈজ্ঞানিক মহল তীব্রভাবে নাকচ করে।

২০০৭ সালে ওয়াটসন আফ্রিকানদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর চাকরি হারান। ২০১৯ সালে একই ধরনের বক্তব্য পুনরাবৃত্তির পর তাকে ল্যাবরেটরির সব ধরনের সম্মানসূচক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।

ওয়াটসন ১৯২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়সে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সময় ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে যৌথভাবে ডিএনএ-এর মডেল নির্মাণে যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি হার্ভার্ডে অধ্যাপনা করেন এবং কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিকে বিশ্বসেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।

এসি/আপ্র/০৮/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ডিএনএ’র গঠন আবিষ্কারক জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন

আপডেট সময় : ০২:০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াটসনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি, যেখানে তিনি বহু দশক ধরে কাজ ও গবেষণা করেছেন।

১৯৫৩ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ডিএনএ (ডি-অক্সি রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) অণুর ডাবল হেলিক্স গঠন আবিষ্কার করেন, যা ২০শ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত। এই আবিষ্কার পরবর্তী সময়ে আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে।

১৯৬২ সালে ওয়াটসন, ক্রিক ও মরিস উইলকিনস ডিএনএ-এর গঠন আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। তবে ডিএনএ-র এক্স-রে চিত্র যিনি প্রথম ধারণ করেছিলেন, সেই রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের অবদান তখন স্বীকৃতি পায়নি।

তবে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। তিনি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের গড় বুদ্ধিমত্তা জিনগতভাবে আলাদা। তার ওই বক্তব্য পরে বৈজ্ঞানিক মহল তীব্রভাবে নাকচ করে।

২০০৭ সালে ওয়াটসন আফ্রিকানদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর চাকরি হারান। ২০১৯ সালে একই ধরনের বক্তব্য পুনরাবৃত্তির পর তাকে ল্যাবরেটরির সব ধরনের সম্মানসূচক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।

ওয়াটসন ১৯২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়সে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সময় ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে যৌথভাবে ডিএনএ-এর মডেল নির্মাণে যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি হার্ভার্ডে অধ্যাপনা করেন এবং কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিকে বিশ্বসেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।

এসি/আপ্র/০৮/১১/২০২৫