ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক সংলাপে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না, স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, তা স্বীকার করেই তিনি বলেছেন, কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায়, তাহলে কী হবে, সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল বাংলাদেশে যদি রাস্তায় নামে এগুলোর প্রতিবাদে, সংঘর্ষ হবে। এ জন্য কি আমরা শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি?

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে আমীর খসরু এ কথাগুলো বলেন। বিএনপি নেতা কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে গণভোট আগে করাসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সেই আন্দোলনেক নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছেন বিএনপির নেতারা।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদকে পাশে রেখে আমীর খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ‘অবসেসড’ হয়ে গেছে। কিছু কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যে এ ধরনের মনমানসিকতা তৈরি হয়েছে।
আমীর খসরু আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার গত ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। আমরা মনে করি যে আমার দফা, আমার দাবি, আমার চিন্তা না থাকলে এটাকে গ্রহণ করা যাবে না।
যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হবে বলেন আমীর খসরু। যেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন তিনি। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান এই নেতা।
গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে। সেই সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুসারে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংসদে পাস করার পরে সেই বিষয়গুলো গণভোটে যেতে পারে। এসব করে অনেকে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু। চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। আয়োজনটির সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।
সানা/আপ্র/০৮/১১/২০২৫

সানা/এসি/আপ্র/০৮/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপে ডেটা সেন্টার বানাবে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল

কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু

আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না, স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, তা স্বীকার করেই তিনি বলেছেন, কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায়, তাহলে কী হবে, সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল বাংলাদেশে যদি রাস্তায় নামে এগুলোর প্রতিবাদে, সংঘর্ষ হবে। এ জন্য কি আমরা শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি?

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে আমীর খসরু এ কথাগুলো বলেন। বিএনপি নেতা কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে গণভোট আগে করাসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সেই আন্দোলনেক নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছেন বিএনপির নেতারা।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদকে পাশে রেখে আমীর খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ‘অবসেসড’ হয়ে গেছে। কিছু কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যে এ ধরনের মনমানসিকতা তৈরি হয়েছে।
আমীর খসরু আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার গত ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। আমরা মনে করি যে আমার দফা, আমার দাবি, আমার চিন্তা না থাকলে এটাকে গ্রহণ করা যাবে না।
যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হবে বলেন আমীর খসরু। যেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন তিনি। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান এই নেতা।
গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে। সেই সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুসারে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংসদে পাস করার পরে সেই বিষয়গুলো গণভোটে যেতে পারে। এসব করে অনেকে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু। চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। আয়োজনটির সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।
সানা/আপ্র/০৮/১১/২০২৫

সানা/এসি/আপ্র/০৮/১১/২০২৫