ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

স্বল্প সময়ে কোরআন হেফজ দুই শিক্ষার্থীর, সুযোগ পেলো ওমরাহ পালনের

  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে পবিত্র কোরআন হেফজ করা দুই কৃতী শিক্ষার্থী পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছে। জেলা শহরের আল কলম হেফজ মাদরাসার এই দুই শিক্ষার্থী বিশেষ কৃতিত্বের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মাদরাসা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই কৃতী শিক্ষার্থীসহ মোট ৫ জন হিফজ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। আল কলম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

দুই কৃতি শিক্ষার্থী হলো- মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা (১১) ও তানভীর মাহমুদ ইফাদ (১১)।

মাদরাসার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা মাগুরার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উপশহর পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা মিয়া মোহাম্মদ হাসান জাকির পেশায় ব্যবসায়ী। গত বছরের মে মাসে শিক্ষার্থী মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা ঝিনাইদহের আল-কলম হেফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়। ভর্তির পর অসুস্থতা জনিত কারণে চার মাস বিরতি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে সে।

অপর শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ ইফাদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের কে এম তিতুর ছেলে। সেও একই মাদরাসায় থেকে মাত্র ১৬ মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে।

এদিকে দুই শিক্ষার্থীর অসামান্য কৃতিত্ব উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ আল কলম মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের সনদ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো কোরআন হেফজ করা অত্যন্ত কঠিন ও বিরল অর্জন। এই দুই শিক্ষার্থীর অধ্যবসায় ও মনোযোগ অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মাদরাসার পরিচালক শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদরাসার পক্ষ থেকে ওমরায় পাঠানো হবে, যাতে তারা আল্লাহর ঘরে গিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে পারে। এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, দুই কৃতী শিক্ষার্থী অল্প সময়ের ভেতরে মহান আল্লাহ রহমত ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছে। এটি অত্যন্ত কৃতিত্বের বিষয়। পড়াশোনায় মনোযোগী হলে সম্মান, সফলতা ও কৃতিত্ব অর্জন হবে। সকল শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষিত নাগরিক দেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

এসি/আপ্র/০৪/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

স্বল্প সময়ে কোরআন হেফজ দুই শিক্ষার্থীর, সুযোগ পেলো ওমরাহ পালনের

আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে পবিত্র কোরআন হেফজ করা দুই কৃতী শিক্ষার্থী পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছে। জেলা শহরের আল কলম হেফজ মাদরাসার এই দুই শিক্ষার্থী বিশেষ কৃতিত্বের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মাদরাসা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই কৃতী শিক্ষার্থীসহ মোট ৫ জন হিফজ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। আল কলম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

দুই কৃতি শিক্ষার্থী হলো- মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা (১১) ও তানভীর মাহমুদ ইফাদ (১১)।

মাদরাসার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা মাগুরার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উপশহর পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা মিয়া মোহাম্মদ হাসান জাকির পেশায় ব্যবসায়ী। গত বছরের মে মাসে শিক্ষার্থী মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা ঝিনাইদহের আল-কলম হেফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়। ভর্তির পর অসুস্থতা জনিত কারণে চার মাস বিরতি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে সে।

অপর শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ ইফাদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের কে এম তিতুর ছেলে। সেও একই মাদরাসায় থেকে মাত্র ১৬ মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে।

এদিকে দুই শিক্ষার্থীর অসামান্য কৃতিত্ব উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ আল কলম মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের সনদ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো কোরআন হেফজ করা অত্যন্ত কঠিন ও বিরল অর্জন। এই দুই শিক্ষার্থীর অধ্যবসায় ও মনোযোগ অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মাদরাসার পরিচালক শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদরাসার পক্ষ থেকে ওমরায় পাঠানো হবে, যাতে তারা আল্লাহর ঘরে গিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে পারে। এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, দুই কৃতী শিক্ষার্থী অল্প সময়ের ভেতরে মহান আল্লাহ রহমত ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছে। এটি অত্যন্ত কৃতিত্বের বিষয়। পড়াশোনায় মনোযোগী হলে সম্মান, সফলতা ও কৃতিত্ব অর্জন হবে। সকল শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষিত নাগরিক দেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

এসি/আপ্র/০৪/১১/২০২৫