ক্রীড়া ডেস্ক: ঘরের মাঠে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতের মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল হারমানপ্রীত কৌরের দল। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পর চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। আর প্রথমবার ফাইনালে উঠে আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়ল প্রোটিয়ারা।
রোববার (২ নভেম্বর) নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
ইতিহাস গড়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন দীপ্তি শর্মা। বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। যার মধ্যে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের নায়ক লরা উলভার্টের মূল্যবান উইকেট। যিনি ১০১ রানের লড়াইয়ে আশার সঞ্চার করছিলেন। দলের ২২০ রানে তার আউটের পরই ধসে পরে দলটির ইনিংস। ব্যাট হাতে দাপট দেখানোর পর বল হাতেও দুই উইকেট নেওয়ায় ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন শেফালি।
এর আগে বৃষ্টির কারণে দুই ঘণ্টা পর গড়ায় খেলা। ওভার যদিও কাটা যায়নি। তাতে শুরুতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। যারা টুর্নামেন্টে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে নামে।
শেফালি বর্মার ৭৮ বলে ঝড়ো ৮৭ রানের ইনিংসের পর দীপ্তি শর্মা ও ঋচা ঘোষের ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারত সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ২৯৮রান। দীপ্তির ৫৮ রানের ইনিংসটি ছিল ৬০ বলের। তাতে ছিল ৩ চার, ১ ছক্কা। ঋচা ২৪ বলে খেলেছেন ৩৪ রানের ইনিংস। তাতে ছিল ৩ চার, ২ ছক্কা। দীপ্তি-ঋচা ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৩৫ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
শুরুতে স্মৃতি মান্ধানাকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ১০৪ রান যোগ করেন শেফালি। স্মৃতি ৪৫ রানে আউট হল ভাঙে শুরুর জুটি। দলের ১৬৬ রানে শেফালিকে আউট করে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন খাকা। তাতে শতরান থেকে বঞ্চিত হন ভারতীয় ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের নায়ক জেমিমাহ রদ্রিগেজ এবারও লম্বা ইনিংসের পথে ছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক লরা ভলভার্টের দুর্দান্ত ক্যাচে তার ২৪ রানের ইনিংস থামে ৩০তম ওভারে। এরপর হারমানপ্রীতের ওপর নির্ভর করছিল সব কিছু। দীপ্তির সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়লেও পরে ছন্দ হারান অধিনায়ক। ৩৯তম ওভারে ননকুলুলেকো ম্লাবার বলে ২০ রানে ক্লিন বোল্ড হন তিনি।
তারপর অমানজোত কৌর (১২) ও দীপ্তির জুটি বড় কিছু করতে পারেনি। নাদিন ডি ক্লার্কের এক অসাধারণ ক্যাচে শেষ হয় অমানজোতের ইনিংস। তার পর মূলত দীপ্তি-ঋচা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর চড়াও হয়ে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছেন।
এসি/আপ্র/০৩/১১/২০২৫


























