ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

চেয়ারম্যানের স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

আজকের প্রত্যাশা

সুজাউদ্দৌলা সুজন, জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (৯নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো: আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের নামে ভিজিডি কার্ডের সন্ধান পাওয়া গেছে। কার্ডে স্বামীর নাম গোপন করে পিতার নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে । তবে এ বিষয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রবিবার দুপুর দেড়টায় জানিয়েছেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর।

জানা গেছে, বিধবা/স্বামী পরিত্যক্তা/স্বামী অসুস্থ বা পঙ্গু এবং ২০-৫০ বছরের মধ্যে যে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বেলায় খাবার খেতে পারে না তাদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি গ্রহণ করে। আর এ কর্মসুচিতে মেলান্দহ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুন নাহার এর সহযোগিতায় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে নানা অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ৩৫৬ জন সুবিধাভোগী তালিকা করেন ারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। সেখানে ২০০ নাম্বার সিরিয়ালে স্বামীর নাম গোপন করে পিতা আব্দুল হামিদের পরিচয় রেখে ভিজিডি কার্ড পান চেয়ারম্যানের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন। এ বিষয়টি ইউপি সদস্যরা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে ইউনিয়নের প্রতিটি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট বাজার পর্যন্ত চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ।

ইউপি সদস্যরা এবং স্থানীয় নাগরিকরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ আইন অমান্য করে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ ও ইউপি সদস্য পদ হারানোর কাজ করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই। এর পাশাপাশি তাকে দ্রুত অব্যাহতি প্রদান করা হোক।

এ বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন জনপ্রতিনিধি তার পরিবারের কারো নামেই সুবিধা নিতে পারে না, কোন সুযোগো নেই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (৯নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো: আমিনুল ইসলাম প্রথমে মিথ্যা দাবি করলেও প্রশ্নের মুখে পরে সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমার একটা ফুফাত বোন প্রতিবন্ধী পাগুনী বুঝছেন। এ কারণে আমার স্ত্রী নামে কার্ড বানিয়ে প্রতিবন্ধী ফুফাত বোনকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি ।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুন নাহার জানান, আপনি অফিসে আসেন এ বিষয়ে পরে কথা হবে ।

এ বিষয়ে জামালপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মঞ্জুর আলম জানান, এভাবে কার্ড নেওয়ার সুযোগ নেই। আপনি বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। বিষয়টি আমিও দেখছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আলমগীর জানান, আমার জানা ছিল না। মাত্র শুনলাম। আমি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড নিতে পারে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কখনোই পারে না ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চেয়ারম্যানের স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

সুজাউদ্দৌলা সুজন, জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (৯নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো: আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের নামে ভিজিডি কার্ডের সন্ধান পাওয়া গেছে। কার্ডে স্বামীর নাম গোপন করে পিতার নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে । তবে এ বিষয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রবিবার দুপুর দেড়টায় জানিয়েছেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর।

জানা গেছে, বিধবা/স্বামী পরিত্যক্তা/স্বামী অসুস্থ বা পঙ্গু এবং ২০-৫০ বছরের মধ্যে যে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বেলায় খাবার খেতে পারে না তাদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি গ্রহণ করে। আর এ কর্মসুচিতে মেলান্দহ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুন নাহার এর সহযোগিতায় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে নানা অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ৩৫৬ জন সুবিধাভোগী তালিকা করেন ারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। সেখানে ২০০ নাম্বার সিরিয়ালে স্বামীর নাম গোপন করে পিতা আব্দুল হামিদের পরিচয় রেখে ভিজিডি কার্ড পান চেয়ারম্যানের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন। এ বিষয়টি ইউপি সদস্যরা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে ইউনিয়নের প্রতিটি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট বাজার পর্যন্ত চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ।

ইউপি সদস্যরা এবং স্থানীয় নাগরিকরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ আইন অমান্য করে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ ও ইউপি সদস্য পদ হারানোর কাজ করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই। এর পাশাপাশি তাকে দ্রুত অব্যাহতি প্রদান করা হোক।

এ বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন জনপ্রতিনিধি তার পরিবারের কারো নামেই সুবিধা নিতে পারে না, কোন সুযোগো নেই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (৯নং ওয়ার্ডের সদস্য) মো: আমিনুল ইসলাম প্রথমে মিথ্যা দাবি করলেও প্রশ্নের মুখে পরে সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমার একটা ফুফাত বোন প্রতিবন্ধী পাগুনী বুঝছেন। এ কারণে আমার স্ত্রী নামে কার্ড বানিয়ে প্রতিবন্ধী ফুফাত বোনকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি ।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুন নাহার জানান, আপনি অফিসে আসেন এ বিষয়ে পরে কথা হবে ।

এ বিষয়ে জামালপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মঞ্জুর আলম জানান, এভাবে কার্ড নেওয়ার সুযোগ নেই। আপনি বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। বিষয়টি আমিও দেখছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আলমগীর জানান, আমার জানা ছিল না। মাত্র শুনলাম। আমি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড নিতে পারে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কখনোই পারে না ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ