প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকস্থলীর ক্যানসারকে অনেককে বদহজমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। তাই উপসর্গ দেখা দিলেও উপেক্ষা করেন। আর এ কারণেই বেশির ভাগ সময়ে দেরিতে ধরা পড়ে এই ক্যানসার। পাকস্থলীর সঙ্গে যেহেতু খাবার ও হজমের সম্পর্ক রয়েছে, সেহেতু খাদ্যাভ্যাসই এ ক্যানসারের জন্য দায়ী। তাই আগে জানা জরুরি পাকস্থলী ক্যানসার হয়েছে কি না এবং এর কারণ কী। তা হলো-
পাকস্থলী ক্যানসারের কারণ
ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া: পাকস্থলী ক্যানসারের মূল কারণ খাদ্যাভ্যাস। প্রথমত, যারা অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খান তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এমন খাবারে নাইট্রোসামাইন যৌগ থাকে, যা কার্সিনোজেনিক। এছাড়া যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে সেগুলোও পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: যারা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্টিকের সমস্যায় ভুগেও সারানোর চেষ্টা করছেন না, তাদের পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বেশি হয়। আর এই অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণ পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটিও পাকস্থলী ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান: যে কোনো ক্যানসারের সঙ্গেই ধূমপান এবং মদ্যপানের সম্পর্ক রয়েছে। পাকস্থলী ক্যানসারের ক্ষেত্রেও এই দুটি অভ্যাস ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে জিনগত কারণেও পাকস্থলী ক্যানসার হতে পারে। তবে মূলত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণেই এ ক্যানসার বেশি হয়ে থাকে।
পাকস্থলী ক্যানসারের উপসর্গ
অল্পতেই পেট ভরা লাগা: অল্প খাবার খেলেই পেটে ভরে যাওয়া, খিদে না লাগা, পেট ভারী লাগা ইত্যাদি যদি সব সময় হয়; তাহলে সেটি হজমের সমস্যা নয়, বরং পাকস্থলীর ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে।
পেটে অস্বাভাবিক ফোলাভাব: হালকা খাবারের খেলেও যদি পেটে গ্যাস জমে থাকে, কোনোভাবেই স্বস্তি না মেলে, পেটে টনটনে ব্যথা হয়; তাহলে সতর্ক হোন। হতে পারে এটি পাকস্থলী ক্যানসারের লক্ষণ।
মলের রং বা গঠন বদলে যাওয়া: যদি দেখেন, মলের রং ধীরে ধীরে গাঢ় হতে শুরু করেছে বা এতে রক্তের উপস্থিতি দেখা দিয়েছে, তাহলে উপেক্ষা করবেন না। এটি শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণের লক্ষণ হতে পারে।
বমিভাব বা বমি হওয়া: কোনো ভারী খাবার না খেলেও যদি ঘন ঘন গা গুলাতে থাকে বা বমি হয়, তাহলে সেটি পাকস্থলী ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
এসব লক্ষণ অনেকসময় সাধারণ গ্যাস বা হজমের সমস্যার মতো মনে হতে পারে। তবে এগুলো যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ























