ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটে রেলপথে অবরোধকারীদের অবস্থান, ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সংবাদদাতা: সিলেট-কক্সবাজার ও সিলেট-ঢাকা রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সিলেট বিভাগের সব রেলপথে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

সকাল থেকে সিলেটের বিভাগের বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা রেললাইনে অবস্থান করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিকে সিলেট রেলস্টেশনে ট্রেন যাত্রায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি স্টেশনে দেরিতে আসায় দুপুর ১২টায় ছেড়ে গেছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের রেলসেবা অবহেলিত। রেললাইন জরাজীর্ণ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিত্যদিনের ঘটনা। একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

আন্দোলনকারীদের ৮ দফা দাবি হলো, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন নির্মাণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্তত একটি লোকাল ট্রেন ও সব বন্ধ স্টেশন চালু করা, কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার, যাত্রী অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।

ঢাকাগামী যাত্রী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার দুপুর ১২টার ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে সব ট্রেন বন্ধ। কেউ বলতে পারছে না কখন ছাড়বে। জরুরি কাজে যেতে না পেরে এখন বিপাকে পড়েছি।

আরেক যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, প্রতিবারই দেখি এই রেলপথের সমস্যা। কখনো লাইন খারাপ, কখনো ট্রেন দেরি। এখন আবার অবরোধ। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অবরোধের প্রভাব সিলেট রেলস্টেশনে পড়েনি।সকালের কালনী ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আবার চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেন দেরিতে স্টেশনে আসায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। ১২টার জয়ন্তিকা ট্রেন একটু দেরিতে ছাড়বে। তবে অন্যকোনো স্টেশনে ট্রেন আটকা পড়লে শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও জানান তিনি।

এসি/আপ্র/০১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

সিলেটে রেলপথে অবরোধকারীদের অবস্থান, ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব

আপডেট সময় : ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

সিলেট সংবাদদাতা: সিলেট-কক্সবাজার ও সিলেট-ঢাকা রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সিলেট বিভাগের সব রেলপথে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

সকাল থেকে সিলেটের বিভাগের বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা রেললাইনে অবস্থান করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিকে সিলেট রেলস্টেশনে ট্রেন যাত্রায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি স্টেশনে দেরিতে আসায় দুপুর ১২টায় ছেড়ে গেছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের রেলসেবা অবহেলিত। রেললাইন জরাজীর্ণ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিত্যদিনের ঘটনা। একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

আন্দোলনকারীদের ৮ দফা দাবি হলো, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন নির্মাণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্তত একটি লোকাল ট্রেন ও সব বন্ধ স্টেশন চালু করা, কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার, যাত্রী অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।

ঢাকাগামী যাত্রী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার দুপুর ১২টার ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে সব ট্রেন বন্ধ। কেউ বলতে পারছে না কখন ছাড়বে। জরুরি কাজে যেতে না পেরে এখন বিপাকে পড়েছি।

আরেক যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, প্রতিবারই দেখি এই রেলপথের সমস্যা। কখনো লাইন খারাপ, কখনো ট্রেন দেরি। এখন আবার অবরোধ। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অবরোধের প্রভাব সিলেট রেলস্টেশনে পড়েনি।সকালের কালনী ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আবার চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেন দেরিতে স্টেশনে আসায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। ১২টার জয়ন্তিকা ট্রেন একটু দেরিতে ছাড়বে। তবে অন্যকোনো স্টেশনে ট্রেন আটকা পড়লে শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও জানান তিনি।

এসি/আপ্র/০১/১১/২০২৫