নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসহ আটটি দল নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নির্বাচন ভবনের সামনে ও মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে মার্কেট সংলগ্ন সড়কের পাশে মঞ্চ করে সমাবেশ শেষে তারা ইসিতে স্মারকলিপি দেয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরে গণভোট করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সংসদ নির্বাচনের সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। তা না হলে বিগত ইসির পরিণতি ভোগ করতে হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
সবশেষ ১৯ অক্টোবর জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ‘আদেশ’ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের চতুর্থ পর্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল।
এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেয় দলের নেতারা।
মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে মার্কেট সংলগ্ন সড়কের পাশে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে বেলা ১১টায় জামায়াত নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এসময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম, নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শ’খানেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সমাবেশে নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা ৮ দল মিলে ইসির কাছে স্মারকলিপি দেবো।
একই দিনে গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দাবির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াত নেতারা।
নির্বাচন ভবনের সামনে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে। এ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। গণভোটসহ আমাদের দাবি না মানলে ইসির পরিণতি আগের মতোই হবে।
নেতাদের ৫ দফা দাবি
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এসি/আপ্র/৩০/১০/২০২৫




















