ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

মাদরাসায় শিশুকে পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত

  • আপডেট সময় : ১০:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুর সংবাদদাতা: কওমী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ৬ বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গেছে। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে চলছিল পাঠদান। এতে শিশুটির পায়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। ওই অবস্থাতেই শিকলে পা বেঁধে পাঠদান করছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটি শিকলমুক্ত হয়।

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভূক্তভূগী শিশুর বাড়ি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে। সে ওই মাদরাসার নাজেরা শাখার আবাসিক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ইউএনও রেহেনা আক্তার ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, পুলিশ ও স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করেন।

মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যাওয়ায় পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবারই শিশুটির পায়ে শিকল পরানো হয়। পায়ে ব্যথা অনুভব করলেও শিকল খুলে দেওয়া হয়নি। এভাবেই চলছিল পাঠদান। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সত্যতা পান।

মাদরাসাটির নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর বড় ভাই শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামতো শিশুটির একপায়ে শিকল পড়াতে হয়েছিল। তবে শিশুটিকে শিকলমুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তেভোগী শিশুর বড় ভাই বলেন, মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না। দুইবার মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। এ কারণে পায়ে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছিলাম। পরে শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে।

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসি/আপ্র/২৯/১০/২০২৫

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মাদরাসায় শিশুকে পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত

আপডেট সময় : ১০:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

পিরোজপুর সংবাদদাতা: কওমী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ৬ বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গেছে। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে চলছিল পাঠদান। এতে শিশুটির পায়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। ওই অবস্থাতেই শিকলে পা বেঁধে পাঠদান করছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটি শিকলমুক্ত হয়।

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভূক্তভূগী শিশুর বাড়ি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে। সে ওই মাদরাসার নাজেরা শাখার আবাসিক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ইউএনও রেহেনা আক্তার ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, পুলিশ ও স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করেন।

মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যাওয়ায় পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবারই শিশুটির পায়ে শিকল পরানো হয়। পায়ে ব্যথা অনুভব করলেও শিকল খুলে দেওয়া হয়নি। এভাবেই চলছিল পাঠদান। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সত্যতা পান।

মাদরাসাটির নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর বড় ভাই শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামতো শিশুটির একপায়ে শিকল পড়াতে হয়েছিল। তবে শিশুটিকে শিকলমুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তেভোগী শিশুর বড় ভাই বলেন, মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না। দুইবার মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। এ কারণে পায়ে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছিলাম। পরে শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে।

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসি/আপ্র/২৯/১০/২০২৫