ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষার্থীদের মারধরের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি ড্যাফোডিলের উপাচার্যের

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আশুলিয়া সংবাদদাতা: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবির।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আমিনুল ইসলাম হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবির বলেন, এ ঘটনায় মামলা কে করবে এটা নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না। আমরা আইনটা মেনে চলার সব সময় চেষ্টা করছি। আমরা যদি রিপোর্ট করি তাহলে যে করেছে, সে এর জবাব দেবে। এখানে বহিরাগতদের কাণ্ড কিনা, আমাদের কাণ্ড বা ওদের কাণ্ড কিনা এটাতো কনফিউজিং। এই ধাপে এসে আমরা এখনো নির্ধারণ করতে পারিনি কে কাজটা করেছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। আমরা নিজস্বভাবে তদন্ত করছি। এতে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটি আগামী ৭ দিনের ভেতরে প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়াও ইউজিসি স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ইউজিসি ও সরকারের যে নির্দেশনা সেটা হলো- এমন কিছু আমরা না করি যাতে অন্য ইউনিভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা কোনো রকমের অশান্ত পরিস্থিতি ঘটে। আমরা সকালেও ডিন স্যারদের সঙ্গে বসেছি, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উপাচার্য বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর শরীরে থুথু নিক্ষেপ করলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের হলে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। রোববার রাত ৯টার পরে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের যেখানেই পেয়েছে সেখান থেকে জিম্মি করেছে। পরে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধুদের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের নামে জিম্মি করে রাখা হয়। এ সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায়সহ মিথ্যা মিডিয়া কাভারেজ করানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আহত ও সংকটাপূর্ণ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় বিলম্ব জীবননাশের প্রচেষ্টার শামিল। একই সঙ্গে সারাদিন আটক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার নাটকের কথা উল্লেখ করলেও মঞ্জুরি কমিশনের হস্তান্তরের সময় সেই অভিযোগ অনুপস্থিত ছিল। এর অর্থ হলো এরা নিজেরাই অস্ত্রের কথা মিথ্যা বলেছিল। না হয় অস্ত্রগুলো তাদেরই ছিল এবং তারাই রেখে দিয়েছে। এছাড়া রোববার রাতে ইউনিভার্সিটিতে দেড় কোটি টাকা ক্যাশ নাকি জমা ছিল। পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়ে টাকা চুরিসহ অন্যান্য দায়ভার নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, শুধু ভাঙচুর নয়, ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বর্তমানে ছয়জন শিক্ষার্থী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর মাসুম ইকবাল প্রমুখ।
সানা/আপ্র/২৮/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষার্থীদের মারধরের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি ড্যাফোডিলের উপাচার্যের

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

আশুলিয়া সংবাদদাতা: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবির।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আমিনুল ইসলাম হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবির বলেন, এ ঘটনায় মামলা কে করবে এটা নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না। আমরা আইনটা মেনে চলার সব সময় চেষ্টা করছি। আমরা যদি রিপোর্ট করি তাহলে যে করেছে, সে এর জবাব দেবে। এখানে বহিরাগতদের কাণ্ড কিনা, আমাদের কাণ্ড বা ওদের কাণ্ড কিনা এটাতো কনফিউজিং। এই ধাপে এসে আমরা এখনো নির্ধারণ করতে পারিনি কে কাজটা করেছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। আমরা নিজস্বভাবে তদন্ত করছি। এতে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটি আগামী ৭ দিনের ভেতরে প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়াও ইউজিসি স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ইউজিসি ও সরকারের যে নির্দেশনা সেটা হলো- এমন কিছু আমরা না করি যাতে অন্য ইউনিভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা কোনো রকমের অশান্ত পরিস্থিতি ঘটে। আমরা সকালেও ডিন স্যারদের সঙ্গে বসেছি, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উপাচার্য বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর শরীরে থুথু নিক্ষেপ করলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের হলে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। রোববার রাত ৯টার পরে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের যেখানেই পেয়েছে সেখান থেকে জিম্মি করেছে। পরে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধুদের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের নামে জিম্মি করে রাখা হয়। এ সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায়সহ মিথ্যা মিডিয়া কাভারেজ করানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আহত ও সংকটাপূর্ণ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় বিলম্ব জীবননাশের প্রচেষ্টার শামিল। একই সঙ্গে সারাদিন আটক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার নাটকের কথা উল্লেখ করলেও মঞ্জুরি কমিশনের হস্তান্তরের সময় সেই অভিযোগ অনুপস্থিত ছিল। এর অর্থ হলো এরা নিজেরাই অস্ত্রের কথা মিথ্যা বলেছিল। না হয় অস্ত্রগুলো তাদেরই ছিল এবং তারাই রেখে দিয়েছে। এছাড়া রোববার রাতে ইউনিভার্সিটিতে দেড় কোটি টাকা ক্যাশ নাকি জমা ছিল। পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়ে টাকা চুরিসহ অন্যান্য দায়ভার নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, শুধু ভাঙচুর নয়, ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বর্তমানে ছয়জন শিক্ষার্থী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর মাসুম ইকবাল প্রমুখ।
সানা/আপ্র/২৮/১০/২০২৫