ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

দুবে-জয়সওয়ালের ঝড়ে মুস্তাফিজদের দুর্দান্ত জয়

  • আপডেট সময় : ১১:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান তাড়ায় পাল্টা জবাব দিলেন যাশাসবি জয়সওয়াল ও শিবাম দুবে। রাজস্থান রয়্যালসের এই দুইজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্রেফ উড়ে গেল চেন্নাই সুপার কিংস।
আবু ধাবিতে শনিবার চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে রাজস্থান। ১৯০ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলেছে ১৫ বল বাকি থাকতেই। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫ ছক্কা ও ৯ চারে ৬০ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন রুতুরাজ। দল হারলেও দারুণ ইনিংসটির জন্য এই ওপেনার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। রাজস্থানের জয়ের নায়ক জয়সাওয়াল ও দুবে। ইনিংস শুরু করতে নেমে ২১ বলে ৫০ রান করেন জয়সাওয়াল। ৪২ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন দুবে। রান তাড়ায় রাজস্থানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জয়সওয়াল ও এভিন লুইস। শুরু থেকেই বোলারদের শাসন করেন তারা। জশ হেইজেলউডকে ওভারে তিন চার মারেন জয়সওয়াল। ওই ওভারে তার কঠিন ক্যাচ ধরতে পারেননি আম্বাতি রায়ডু। পরের ওভারে কারানকে একটি করে ছক্কা-চার মারেন লুইস, জয়সওয়াল মারেন এক বাউন্ডারি। শার্দুল ঠাকুরকে একটি করে ছক্কা-চার হাঁকান ক্যারিবিয়ান বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। বড় ঝড় বয়ে যায় হেইজেলউডের ওপর দিয়ে। পঞ্চম ওভারে ফেরা এই অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে টানা চার বলে ৩ ছক্কা ও এক চার মারেন জয়সওয়াল। ১৯ বলে তুলে নেন তিনি ফিফটি। লুইসকে এরপর থামিয়ে দেন শার্দুল। তার বাউন্সার পুল করে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ২৭ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লের শেষ বলে সাঞ্জু স্যামসনের চারে রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে রান হয় ৮১। তাদের জয়ের ভিত গড়া হয়ে যায় তখনই। পরের ওভারেই কট বিহাইন্ড হয়ে যান জয়সওয়াল। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫০ রান করেন তিনি। দুই ওপেনারকে হারানো রাজস্থানের রানের গতি সচল রাখেন দুবে ও স্যামসন। রবীন্দ্র জাদেজাকে একটি ও মইন আলিকে দুটি ছক্কায় ওড়ান দুবে। কারানকে মারেন একটি করে চার ও ছক্কা। ৩১ বলে আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। স্যামসন ফিরে গেলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি রাজস্থানের। গ্লেন ফিলিপস নেমে ৮ বলে করেন ১৪। দুবে চারটি করে ছক্কা-চারে ৬৪ রানে থাকেন অপরাজিত। এর আগে জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাইয়ের শুরুটা খারাপ হয়নি। ফাফ দু প্লেসি ও রুতুরাজের উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৪৭ রান। ২৫ রান করা দু প্লেসির বিদায়ের পর সুরেশ রায়নাও টিকেননি বেশিক্ষণ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রান বাড়াতে থাকেন রুতুরাজ। ৪৩ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রুতুরাজ। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে লাগে তার ১৭ বল। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশাল ছক্কায় তিন অঙ্কে পা রাখেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বিবর্ণ একটি দিন পার করেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসার পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার করে দেন ১৫ রান। তার পরের দুই ওভার থেকে আসে ৩৬। ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা মুস্তাফিজ রাজস্থানের ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলার। ৪ ছক্কার সঙ্গে ৩ চার হজম করেছেন বাংলাদেশের এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৮৯/৪ (রুতুরাজ ১০১, দু প্লেসি ২৫, রায়না ৩, মইন ২১, রায়ডু ২, জাদেজা ৩২; আকাশ ৪-০-৩৯-০, সাকারিয়া ৪-০-৩১-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৫১-০, তেওয়াতিয়া ৪-০-৩৯-৩, মারকান্দে ৩-০-২৬-০, ফিলিপস ১-০-৩-০)।
রাজস্থান রয়্যালস: ১৭.৩ ওভারে ১৯০/৩ (লুইস ২৭, জয়সওয়াল ৫০, স্যামসন ২৮, দুবে ৬৪*, ফিলিপস ১৪; কারান ৪-০-৫৫-০, হেইজেলউড ৪-০-৫৪-০, শার্দুল ৪-০-৩০-২, আসিফ ২.১-০-১৮-১, মইন ২.২-০-২৩-০, জাদেজা ১-০-৯-০)।
ফল: রাজস্থান রয়্যালস ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: রুতুরাজ গায়কোয়াড়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুবে-জয়সওয়ালের ঝড়ে মুস্তাফিজদের দুর্দান্ত জয়

আপডেট সময় : ১১:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান তাড়ায় পাল্টা জবাব দিলেন যাশাসবি জয়সওয়াল ও শিবাম দুবে। রাজস্থান রয়্যালসের এই দুইজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্রেফ উড়ে গেল চেন্নাই সুপার কিংস।
আবু ধাবিতে শনিবার চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে রাজস্থান। ১৯০ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলেছে ১৫ বল বাকি থাকতেই। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫ ছক্কা ও ৯ চারে ৬০ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন রুতুরাজ। দল হারলেও দারুণ ইনিংসটির জন্য এই ওপেনার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। রাজস্থানের জয়ের নায়ক জয়সাওয়াল ও দুবে। ইনিংস শুরু করতে নেমে ২১ বলে ৫০ রান করেন জয়সাওয়াল। ৪২ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন দুবে। রান তাড়ায় রাজস্থানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জয়সওয়াল ও এভিন লুইস। শুরু থেকেই বোলারদের শাসন করেন তারা। জশ হেইজেলউডকে ওভারে তিন চার মারেন জয়সওয়াল। ওই ওভারে তার কঠিন ক্যাচ ধরতে পারেননি আম্বাতি রায়ডু। পরের ওভারে কারানকে একটি করে ছক্কা-চার মারেন লুইস, জয়সওয়াল মারেন এক বাউন্ডারি। শার্দুল ঠাকুরকে একটি করে ছক্কা-চার হাঁকান ক্যারিবিয়ান বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। বড় ঝড় বয়ে যায় হেইজেলউডের ওপর দিয়ে। পঞ্চম ওভারে ফেরা এই অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে টানা চার বলে ৩ ছক্কা ও এক চার মারেন জয়সওয়াল। ১৯ বলে তুলে নেন তিনি ফিফটি। লুইসকে এরপর থামিয়ে দেন শার্দুল। তার বাউন্সার পুল করে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ২৭ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লের শেষ বলে সাঞ্জু স্যামসনের চারে রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে রান হয় ৮১। তাদের জয়ের ভিত গড়া হয়ে যায় তখনই। পরের ওভারেই কট বিহাইন্ড হয়ে যান জয়সওয়াল। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫০ রান করেন তিনি। দুই ওপেনারকে হারানো রাজস্থানের রানের গতি সচল রাখেন দুবে ও স্যামসন। রবীন্দ্র জাদেজাকে একটি ও মইন আলিকে দুটি ছক্কায় ওড়ান দুবে। কারানকে মারেন একটি করে চার ও ছক্কা। ৩১ বলে আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। স্যামসন ফিরে গেলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি রাজস্থানের। গ্লেন ফিলিপস নেমে ৮ বলে করেন ১৪। দুবে চারটি করে ছক্কা-চারে ৬৪ রানে থাকেন অপরাজিত। এর আগে জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাইয়ের শুরুটা খারাপ হয়নি। ফাফ দু প্লেসি ও রুতুরাজের উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৪৭ রান। ২৫ রান করা দু প্লেসির বিদায়ের পর সুরেশ রায়নাও টিকেননি বেশিক্ষণ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রান বাড়াতে থাকেন রুতুরাজ। ৪৩ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রুতুরাজ। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে লাগে তার ১৭ বল। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশাল ছক্কায় তিন অঙ্কে পা রাখেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বিবর্ণ একটি দিন পার করেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসার পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার করে দেন ১৫ রান। তার পরের দুই ওভার থেকে আসে ৩৬। ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা মুস্তাফিজ রাজস্থানের ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলার। ৪ ছক্কার সঙ্গে ৩ চার হজম করেছেন বাংলাদেশের এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৮৯/৪ (রুতুরাজ ১০১, দু প্লেসি ২৫, রায়না ৩, মইন ২১, রায়ডু ২, জাদেজা ৩২; আকাশ ৪-০-৩৯-০, সাকারিয়া ৪-০-৩১-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৫১-০, তেওয়াতিয়া ৪-০-৩৯-৩, মারকান্দে ৩-০-২৬-০, ফিলিপস ১-০-৩-০)।
রাজস্থান রয়্যালস: ১৭.৩ ওভারে ১৯০/৩ (লুইস ২৭, জয়সওয়াল ৫০, স্যামসন ২৮, দুবে ৬৪*, ফিলিপস ১৪; কারান ৪-০-৫৫-০, হেইজেলউড ৪-০-৫৪-০, শার্দুল ৪-০-৩০-২, আসিফ ২.১-০-১৮-১, মইন ২.২-০-২৩-০, জাদেজা ১-০-৯-০)।
ফল: রাজস্থান রয়্যালস ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: রুতুরাজ গায়কোয়াড়।