নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির জরুরি প্রেসিডিয়াম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৌশল নির্ধারণে করনীয় ও সারাদেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি বিস্তার নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এড. কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান এড. মুজিবুল হক চুন্নু, কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বেগম নাসরিন জাহান রতনা, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, আরিফুর রহমান খান, এড জিয়া উল হক মৃধা, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাহজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোঃ বেলাল হোসেন ও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।
সন্ধ্যা ৭ থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা বৈঠকের প্রস্তাবে বলা হয়ে, জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় যাতে সব রাজনৈতিক দল যাতে সমান সুযোগ পাই এবং ভয়ভীতি ও আতঙ্কহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজের আশা করে। একই সঙ্গে প্রশাসনে দলীয় সমর্থক কোনো কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকলে তাকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের ওই পদেব সানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় পার্টি মনে করে, বর্তমান সরকার আন্তরিক হলে অবশ্যই সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামীতে একটি ভোট উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা শুরু হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সংবিধান প্রদত্ত তাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষতার সাথে পালন করে একটি সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য ভোট উৎসব যাতে উপহার দিতে পারে।
সভায় বলা হয়, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। ওই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে, জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, সেটি আরো কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। এর আগে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় প্রেসিডিয়াম সভা থেকে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ




















