প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন
‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে/মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই’- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘প্রাণ’ কবিতায় এভাবেই পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বাঁচতে চেয়েছেন। এ বাঁচতে চাওয়া শুধু কবির একার নয়, আমরা সবাই চাই পৃথিবীতে আরো কিছুদিন থাকতে। আর সে থাকার ব্যবস্থাও হয়েছে জ্ঞান বিজ্ঞানের কল্যাণে ও সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি মেনে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে যে ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। দার্শনিক লেইগ হান্ট বলেছেন ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের ভিত্তি’। আর্থার বলেছেন আমাদের ‘সুখের দশ ভাগের নয় ভাগই স্বাস্থ্যের উপর নির্ভরশীল। দালাই লামার মতে ‘স্বাস্থ্যই সুখের সর্বোচ্চ ধাপ’।
পৃথিবীতে বেশিদিনের থাকাটা তখনই উপভোগ্য হয়- যখন আমরা সূস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু স্বাস্থ্য নামক এ অমূল্য সম্পদ রক্ষায় কেউ সচেতন না হলে এমন একটি জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয় যেখানে এক বা একাধিক রোগের সমন্বিত চিকিৎসা ও যত্ন প্রয়োজন হয়। কখনো মাল্টিমরবিডিটি বা বহুরোগ গ্রস্থতা সৃষ্টির মাধ্যমে জীবন হয়ে ওঠে অসহ্য যন্ত্রণাময়। ফলেজীবন রেখা সংক্ষিপ্ত হয়ে অকালেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়।
আয়ু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু জিনের ভিন্নতা বা ভেরিয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়। এই জিন গুলো কোষের মৌলিক রক্ষণা বেক্ষণ, বিপাক ক্রিয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ঋঙঢঙ৩ (ঋড়ৎশযবধফ নড়ী ঙ৩) নামক জিন বহু জনসংখ্যার মানুষের মধ্যে দীর্ঘায়ুর সাথে যুক্ত । এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ চক্র নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ মানুষের কোষে শক্তি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এটি স্থিতিশীল ও কার্যকর ভাবে কাজ করে, কোষের ক্ষয় কম হয়, বার্ধক্য ধীরে আসে, ফলে মানুষ দীর্ঘজীবী হতে পারে। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ কেবল জিনগত নয়; বরং জীবনযাপন ধরণেও প্রভাবিত হয়। তা হলো পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, স্ট্রেস কমানো ইত্যাদি। এগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং মাইটোকড্রিয়াল ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন- যারা দীর্ঘজীবী বিশেষ করে ৯০-১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন, তাদের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএতে কিছু বিশেষ মিউটেশন বা পরিবর্তন থাকে; যা কোষকে সুস্থ রাখে। মাইটোকড্রিয়াল ডিএনএ কোষে কম অক্সিডেটিভ ক্ষতি সাধান করে তাই কোষ দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকে। শক্তি উৎপাদনে কোষ কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বৃদ্ধির গতি ধীরে হয়। অটোফ্যাজি ও মাইটোফ্যাজি সঠিকভাবে কাজ করায় পুরোনো বা ক্ষতিগ্রস্ত মাইটোকন্ড্রিয়া সারিয়ে নতুনভাবে কাজ করে। কোষ বিভাজন ও টিস্যুর ক্ষয় ধীরে হওয়ায় জেনেটিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
জাপান ও ইতালির কিছু শতবর্ষী মানুষ- যাদের বয়স ১০০ বছরের বেশি তাদের মাইটোকড্রিয়াল ডিএনএ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তাদের মাইটোকড্রিয়াল ডিএনএতে এমন মিউটেশন রয়েছে যা শক্তি উৎপাদনে ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ফ্রি রেডিক্যাল কম উৎপন্ন করে যার ফলে মানুষের আয়ু বাড়ে। উল্লেখ্য যে কিছু নির্দিষ্ট মাইটোকড্রিয়াল ডিএনএ হ্যাপলোগ্রুপ শুধু মাত্র মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কোষের টেলোমিয়ারের বিভাজনের সাথে দীর্ঘায়ুর সম্পর্ক রয়েছে। কারণ কোষ যতবার বিভক্ত হয়, টেলোমিয়ার তত বার সংক্ষিপ্ত হতে থাকে। টেলোমিয়ার খুব ছোট হয়ে গেলে কোষ আর বিভক্ত হতে পারে না এবং মানুষ বা কোন প্রাণী তখন সেনেসেন্স বা বার্ধক্য দশায় প্রবেশ করে বা মারা যায়, যা বার্ধক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সাধারণত দীর্ঘ টেলোমিয়ার দীর্ঘ জীবনকাল এবং সুস্থ শরীরের একটি চিহ্ন। কারণ এটি কোষকে বেশি সংখ্যক বিভাজনের সুযোগ দেয়।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, দীর্ঘায়ুর সঙ্গে শরীরের হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, বিশেষ করে যেগুলো স্ট্রেস, ঘুম, মনোভাব, ও কোষ পুনর্গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। যদি শরীরে সেরোটোনিন, ডোপামিন, গামা-অ্যামিনোবিউপ্রিক অ্যাসিড, মেলাটোনিন, অ্যাসিটাইলকোলিন ও এন্ডোরফিনের ভারসাম্য ঠিক থাকে, তাহলে মানুষ সাধারণত: মানসিকভাবে শান্ত থাকে, ঘুম ভালো হয়, স্ট্রেস কমে যায়, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় এবং এ সবমিলেই দীর্ঘায়ু লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেরোটোনিনের প্রভাবে মানসিক প্রশান্তি বাড়ে ও ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে এবং ডোপামিনের সঠিক ভারসাম্য মানুষকে সক্রিয় ও মানসিকভাবে তরুণ রাখে; যা বার্ধক্য বিলম্বিত করে। মেলাটোনিন কোষের ডিএনএ ক্ষতি কমিয়ে শরীরের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে।
বার্ধক্যজনিত স্মৃতি ভ্রংশ (যেমন আলঝেইমার) প্রতিরোধে সাহায্য করে। এন্ডোরফিন ব্যথা কমায়, সুখের অনুভূতি দেয়, ইহা ব্যায়ামের সময় নিঃসৃত হয়।এন্ডোরফিন জৈব ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে যা শরীরে ইতিবাচক শক্তি ও মানসিক প্রশান্তি যোগায়। উল্লেখিত নিউরোট্রান্স মিটারগুলো লাল মাংস ছাড়া কিছু আদর্শ খাবার তথা কলা, দুধ, ডিম, মাছ, গ্রিন টি এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে বেশি পাওয়া যায়।
জাপানে ১০০ বছর বা এর ও বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা এখন রেকর্ড সর্বোচ্চ, প্রায় এক লাখ। অধিক আয়ুষ্কালের পেছনে মূলত হৃদরোগসহ সাধারণ ধরনের ক্যানসার, বিশেষ করে স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারে মৃত্যু কম হওয়ার মতো কারণ থাকে। জাপানে স্থূলতার হার ও কম; যা এসব রোগের একটি প্রধান কারণ। খাদ্যাভ্যাসে লাল মাংস কম থাকা এবং মাছ ও শাকসবজি বেশি থাকা ও মানুষকে দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করেছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্য তালিকায় যখন চিনি ও লবণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে, জাপান তখন বিপরীত দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দিয়ে মানুষের খাবারে লবণের ব্যবহার কমাতে সফল হয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি হাঁটা চলা এবং গণপরিবহনের ব্যবহার ও বেশি করে জাপানিরা। জাপানের সরকার ১৯৬৩ সালে যখন শতবর্ষী মানুষের জরিপ শুরু করে, তখন সেখানে ১০০ বাতার বেশি বয়সির সংখ্যা ছিল ১৫৩ জন। খাবারের ক্ষেত্রে তারা হারা হাচি বু নামে এক ধরণের দর্শন মেনে চলে। হারাহাচিবু- এমন এক জীবন দর্শন; যা শরীর সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাসের কথা বলে। বেশির ভাগ জাপানিরা পেট ৮০ শতাংশ ভরে গেলেই খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে- এই পদ্ধতি মেনে চলেন। অনেকে ইমনে করেন, জাপানিদের সুস্থ এবং সুন্দর জীবনের রহস্য লুকিয়ে আছে তাদের খাদ্যাভ্যাসে। হজমশক্তি বৃদ্ধিতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে হারাহাচিবু।
দীর্ঘায়ু লাভকারী কয়েকটি দেশের মানুষ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকে। সুইজারল্যান্ড মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর জোর দিয়ে থাকে। সুইডেনের অধিবাসীরা সুষম কাজের মাধ্যমে জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে থাকে। সিঙ্গাপুরের জনসাধারণ পরিচ্ছন্নতা, ব্যয়াম ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণে অধিক সচেতনতা অবলম্বন করে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ানরা এক ধরনের গাঁজন জাত খাবার তথা কিমচিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে; যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানুষকে দীর্ঘায়ু করে।
স্বভাবতই একটি প্রশ্ন জাগে যে আদিম যুগে বা আগে মানুষের আয়ু কিরকম ছিল। আজ থেকে প্রায় ২৫ লাখ ১০ হাজার বছর আগে অর্থাৎ প্রস্তর যুগে মানুষের গড় আয়ু ছিল ২০-৩০ বছর এবং সর্বোচ্চ আয়ু প্রায় ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত কেউ কেউ বাঁচত। আয়ু কমে যাওয়ার কারণ হলো, নিয়মিত খাদ্যপ্রাপ্তির কোনো সুযোগ ছিল না। মানুষের খাদ্যের প্রধান উৎস ছিল শিকার করা প্রাণী। সবসময় যে শিকার জুটত এমনটাও নয়। এখনকার জিওগ্রাফি বা অ্যানিমেল প্লান্টে চ্যানেলে শিকারি প্রাণীরা খাদ্য কীভাবে সংগ্রহ করে, তা দেখলে কিছুটা ধারণা করা যায়। রোগ সংক্রমণ, দুর্ঘটনা, পশুর আক্রমণ, অপুষ্টি এবং চিকিৎসার অভাব ছিল।
প্রায় ১০০০০-৪০০০ খ্রিস্টপূর্ব বছর আগে অর্থাৎ নব্য প্রস্তর যুগে গড়আয়ু ৩০-৪০ বছর এবং সর্বোচ্চ আয়ু ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত কেউ কেউ বাঁচত। কারণ কৃষি পশুপালনের শুরুতে খাদ্যের স্থায়িত্ব বাড়ায় গড় আয়ুও কিছতা বেড়েছে। তবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানুষের গড় আয়ু ভবিষ্যতে ৯০-১০০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। আর সর্বোচ্চ আয়ু পৌঁছাতে পারে ১৪০ বছর পর্যন্ত- যেহেতু বিজ্ঞান তার পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছার যাত্রাপথে রয়েছে। মানুষের জীববৈজ্ঞানিক সীমা প্রায় ১২০-১২৫ বছর। জীবপ্রযুক্তি ও জিন সম্পাদন ব্যবহারে এই সীমা ১৪০ বছর বা তার বেশি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানীরা সিনোলাইটিক ড্রাগস নামে এক ধরনের ওষুধ আবিষ্কার করেছেন; যা বার্ধক্যকে আটকাতে পারে।
সিনোলাইটিক ড্রাগস হলো এমন এক ধরনের ওষুধ; যা দেহের বৃদ্ধ কোষ ধ্বংস করে নতুন কোষের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনে, ফলে বার্ধক্য বিলম্বিত হয় এবং দীর্ঘায়ুর সম্ভাবনা বাড়ে। টেলোমিয়ার থেরাপির মাধ্যমে ও বার্ধক্যকে প্রতিহত করা যেতে পারে। প্রতিটি কোষের ডিএনএর শেষে একটি সুরক্ষা মূলক অংশ থাকে — একে বলা হয় টেলোমিয়ার। এটি অনেকটা জুতার ফিতার আগার প্লাস্টিক কভারের মতো; যা ফিতাকে ছিঁড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। প্রতিবার কোষ বিভাজনের সময় এই টেলোমিয়ার একটু করে ছোট হয়ে যায়।
টেলোমিয়ার একদম ছোট হয়ে গেলে কোষ আর বিভাজিত হতে পারে না। তখন সেটি বৃদ্ধ বা মৃত হয়ে যায়। অর্থাৎ টেলোমিয়ার ছোট হওয়াই বার্ধক্যের একটি মূল কারণ। টেলোমিয়ার থেরাপি হলো এমন এক ভবিষ্যৎ চিকিৎসা পদ্ধতি; যা মানুষের জীবনকাল বাড়ানো ও বার্ধক্য বিলম্বিত করার সম্ভাবনা রাখে — কিন্তু এখনো তা গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। জিন থেরাপির মাধ্যমে জন্মগত রোগ প্রতিরোধ করা যাবে। স্টেম সেল প্রযুক্তির মাধ্যমে নষ্ট অঙ্গ পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে। ন্যানো মেডিসিন দেহের কোষে সরাসরি ওষুধ পৌঁছে দেবে ফলে রোগ কমবে, দেহের ক্ষয় বিলম্বিত হবে। সামগ্রিকভাবে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করবে।
আদি পৃথিবী থেকে অদ্যাবধি কৃষি, শিক্ষা, বিজ্ঞান, পরিবেশ এবং সর্বোপরি চিকিৎসা শাস্ত্রে নিত্য নতুন আবিস্কার ও পন্থা আবিস্কৃত হওয়ার সাথে মানুষের আযু যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে আমাদের কামনা রোগবিহীন সুস্থ জীবন।
পরিশেষে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ডা. ডেভিড সিনক্লেয়ারের নেতৃত্বে গবেষকরা জানান, যারা স্বল্প আহার গ্রহণ করছেন এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করছেন, তাদের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নেওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না এবং তারা দীর্ঘায়ু লাভ করবে। তাই আসুন, সবাই মিলে রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবন লাভের প্রয়োজনে যত্ন, প্রচেষ্টা ও অনুশীলন অব্যাহত রাখি।
লেখক: অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ
(মতামত লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব)
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ


























