ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

অবশেষে আলোকিত বেড়িবাঁধ, ভয় কেটেছে লাইজুদের

  • আপডেট সময় : ১০:৩০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন লাইজু আক্তার। বাসা বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড়ে। কর্মস্থল থেকে বাসার দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। লাইজুর কাজ শেষ হয় রাত আটটা নাগাদ। এরপর বাসায় ফিরতে হয় সহকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে। তবে সম্প্রতি সে দুর্ভোগ কেটেছে। অন্ধকার বেড়িবাঁধ সড়কে আলো ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে লাইজুর মনে।
লাইজু জানান, কাজ শেষে বাসায় ফিরতে অন্ধকার বেড়িবাঁধ তার কাছে ছিল বিভীষিকা। তবে বেড়িবাঁধে সড়কবাতি স্থাপন করায় তার ভয় অনেকটা কেটেছে।
লাইজু বলেন, ‘আগে সন্ধ্যার পরই বেড়িবাঁধ অন্ধকার হইয়া যাইত। একা একা যাইতে ভয় লাগত। সব সময় চিন্তা থাকত কার সঙ্গে বাসায় যামু। এখন লাইট লাগানোর পর আর তেমন ভয় লাগে না।’
লাইজুর মতো হাজারো পোশাকশ্রমিক সন্ধ্যার পর কাজ শেষে বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে বাড়ি ফেরে। তাদের ভয় দূর করেছে বেড়িবাঁধের সড়কবাতি। এখন চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়ও কেটেছে অনেকাংশে। হাজারীবাগ বেড়িবাঁধের চায়ের দোকানি সাইফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘লাইট তো অনেক বছর নষ্ট ছিল। প্রায় ১০-১২ বছর। আবার লাইট দিছে। এইটা খুব ভালো কাজ হইছে।’
আগে অন্ধকারের সুযোগে অনেক চুরি-ছিনতাই হতো জানিয়ে সাইফুল বলেন, ‘এলাকার লোকে ছিনতাই করে নাকি বাইরের কেউ করে, অন্ধকারের কারণে বোঝা যেত না। আবার ছিনতাই করে কোন দিকে দৌড় দিত তাও বুঝা যাইত না। এখন আলো থাকার কারণে চুরি-ছিনতাইয়ের ভয় কমছে।’
রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গাবতলি-বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সড়ক। স্থানীয়দের মতে, প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক এক যুগের বেশি সময় ধরে ছিল অন্ধকারে। সড়কের দুই পাড়ে সড়ক বাতি থাকলেও তা ছিল অকেজো। দিনের আলো নিভে যেতেই অন্ধকার নেমে আসত পুরো বেড়িবাঁধ সড়কে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে আবার আলোকিত হয়েছে গাবতলি-বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সড়ক।
রাজধানীর এই সড়কটি দিন-রাত সব সময়ই থাকে তুমুল ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টায় ব্যস্ত এই সড়ক ব্যবহার করেন বেড়িবাঁধ পাড়ের কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ১৯৯০ সালে তৈরি এই শহর রক্ষা বাঁধ।
বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাশে আবাসিক স্থাপনার পাশাপাশি রয়েছে হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বেড়িবাঁধের লেক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শত শত পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় নিয়োজিত কর্মীদের একটি বড় অংশই নারী। আর তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কবাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
২০০৯ সালের দিকে বেড়িবাঁধে সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সে বাতি কিছুদিন পরই অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বারবার লাইট মেরামত করা হলেও মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার অকেজো হয়ে যেত বাতিগুলো।
স্থানীয় সূত্রমতে, বেড়িবাঁধ সড়ককে কেন্দ্র করে চুরি ও ছিনতাইকারীদের বেশ কিছু চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারাই চুরি ও ছিনতাইয়ের সুবিধার জন্য ঢিল ছুড়ে সড়কবাতি ভেঙে ফেলে। সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বারবার তা মেরামত করা হলেও আবার একই কাজ করছে চোর ও ছিনতাইকারীরা। একপর্যায়ে সড়কবাতি মেরামত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ দিন অন্ধাকারেই ছিল বেড়িবাঁধ সড়ক। চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজধানী জুড়ে এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। চলতি বছরের মাঝামাঝি এসে সেই এলইডি সড়কবাতি পেয়েছে বেড়িবাঁধ। এখন পুরো বেড়িবাঁধ আলোকিত।
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা গোটা ঢাকা মহানগরিতে ৪৬ হাজার এলইডি লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ৩০ হাজার লাইট লাগিয়ে ফেলেছি। পর্যায়ক্রমে সব লাইট লাগানো হবে।’
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এই লাইট লাগানোর মধ্য দিয়ে ঢাকা যেমন আলোকিত হয়েছে, তেমনি সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই কমবে। পাশাপাশি নগরী একটি আরেঅকিত শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। জনগণও রাত অবধি চলাচল করবে।’
বেড়িবাঁধ সড়কের লাইট স্থানীয় চোর ও ছিনতাইকারীরা নিজেদের কাজের সুবিধার্থে ঢিল ছুড়ে ফেলে। এতে করে ফের অন্ধকার নেমে আসে বেড়িবাঁধ সড়কে, চুরি-ছিনতাইয়ের সুযোগ পায় অপরাধীরা। পাশাপাশি সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো নজর আছে কি-না জানতে চাইলে সেলিম রেজা বলেন, ‘সে সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের খুঁজে বের করব।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, জনগণের সুবিধার্থে সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। এখন সেগুলোর দিকে দৃষ্টির রাখার দায়িত্বও জনগণের। দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘যদি লাইট চুরি হয় বা রাষ্ট্রীয় সম্পদের যদি অপচয় হয়, তাহলে এটা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা লাইটের কোনো পাহারাদার নিয়োগ করি না। এটা যাদের জন্য লাগানো হয়েছে, অর্থাৎ জনগণ, তারা এটির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর থাকবে এগুলোর প্রতি।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে আলোকিত বেড়িবাঁধ, ভয় কেটেছে লাইজুদের

আপডেট সময় : ১০:৩০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন লাইজু আক্তার। বাসা বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড়ে। কর্মস্থল থেকে বাসার দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। লাইজুর কাজ শেষ হয় রাত আটটা নাগাদ। এরপর বাসায় ফিরতে হয় সহকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে। তবে সম্প্রতি সে দুর্ভোগ কেটেছে। অন্ধকার বেড়িবাঁধ সড়কে আলো ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে লাইজুর মনে।
লাইজু জানান, কাজ শেষে বাসায় ফিরতে অন্ধকার বেড়িবাঁধ তার কাছে ছিল বিভীষিকা। তবে বেড়িবাঁধে সড়কবাতি স্থাপন করায় তার ভয় অনেকটা কেটেছে।
লাইজু বলেন, ‘আগে সন্ধ্যার পরই বেড়িবাঁধ অন্ধকার হইয়া যাইত। একা একা যাইতে ভয় লাগত। সব সময় চিন্তা থাকত কার সঙ্গে বাসায় যামু। এখন লাইট লাগানোর পর আর তেমন ভয় লাগে না।’
লাইজুর মতো হাজারো পোশাকশ্রমিক সন্ধ্যার পর কাজ শেষে বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে বাড়ি ফেরে। তাদের ভয় দূর করেছে বেড়িবাঁধের সড়কবাতি। এখন চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়ও কেটেছে অনেকাংশে। হাজারীবাগ বেড়িবাঁধের চায়ের দোকানি সাইফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘লাইট তো অনেক বছর নষ্ট ছিল। প্রায় ১০-১২ বছর। আবার লাইট দিছে। এইটা খুব ভালো কাজ হইছে।’
আগে অন্ধকারের সুযোগে অনেক চুরি-ছিনতাই হতো জানিয়ে সাইফুল বলেন, ‘এলাকার লোকে ছিনতাই করে নাকি বাইরের কেউ করে, অন্ধকারের কারণে বোঝা যেত না। আবার ছিনতাই করে কোন দিকে দৌড় দিত তাও বুঝা যাইত না। এখন আলো থাকার কারণে চুরি-ছিনতাইয়ের ভয় কমছে।’
রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গাবতলি-বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সড়ক। স্থানীয়দের মতে, প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক এক যুগের বেশি সময় ধরে ছিল অন্ধকারে। সড়কের দুই পাড়ে সড়ক বাতি থাকলেও তা ছিল অকেজো। দিনের আলো নিভে যেতেই অন্ধকার নেমে আসত পুরো বেড়িবাঁধ সড়কে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে আবার আলোকিত হয়েছে গাবতলি-বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সড়ক।
রাজধানীর এই সড়কটি দিন-রাত সব সময়ই থাকে তুমুল ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টায় ব্যস্ত এই সড়ক ব্যবহার করেন বেড়িবাঁধ পাড়ের কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ১৯৯০ সালে তৈরি এই শহর রক্ষা বাঁধ।
বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাশে আবাসিক স্থাপনার পাশাপাশি রয়েছে হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বেড়িবাঁধের লেক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শত শত পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় নিয়োজিত কর্মীদের একটি বড় অংশই নারী। আর তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কবাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
২০০৯ সালের দিকে বেড়িবাঁধে সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সে বাতি কিছুদিন পরই অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বারবার লাইট মেরামত করা হলেও মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার অকেজো হয়ে যেত বাতিগুলো।
স্থানীয় সূত্রমতে, বেড়িবাঁধ সড়ককে কেন্দ্র করে চুরি ও ছিনতাইকারীদের বেশ কিছু চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারাই চুরি ও ছিনতাইয়ের সুবিধার জন্য ঢিল ছুড়ে সড়কবাতি ভেঙে ফেলে। সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বারবার তা মেরামত করা হলেও আবার একই কাজ করছে চোর ও ছিনতাইকারীরা। একপর্যায়ে সড়কবাতি মেরামত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ দিন অন্ধাকারেই ছিল বেড়িবাঁধ সড়ক। চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজধানী জুড়ে এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। চলতি বছরের মাঝামাঝি এসে সেই এলইডি সড়কবাতি পেয়েছে বেড়িবাঁধ। এখন পুরো বেড়িবাঁধ আলোকিত।
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা গোটা ঢাকা মহানগরিতে ৪৬ হাজার এলইডি লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ৩০ হাজার লাইট লাগিয়ে ফেলেছি। পর্যায়ক্রমে সব লাইট লাগানো হবে।’
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এই লাইট লাগানোর মধ্য দিয়ে ঢাকা যেমন আলোকিত হয়েছে, তেমনি সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই কমবে। পাশাপাশি নগরী একটি আরেঅকিত শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। জনগণও রাত অবধি চলাচল করবে।’
বেড়িবাঁধ সড়কের লাইট স্থানীয় চোর ও ছিনতাইকারীরা নিজেদের কাজের সুবিধার্থে ঢিল ছুড়ে ফেলে। এতে করে ফের অন্ধকার নেমে আসে বেড়িবাঁধ সড়কে, চুরি-ছিনতাইয়ের সুযোগ পায় অপরাধীরা। পাশাপাশি সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো নজর আছে কি-না জানতে চাইলে সেলিম রেজা বলেন, ‘সে সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের খুঁজে বের করব।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, জনগণের সুবিধার্থে সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। এখন সেগুলোর দিকে দৃষ্টির রাখার দায়িত্বও জনগণের। দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘যদি লাইট চুরি হয় বা রাষ্ট্রীয় সম্পদের যদি অপচয় হয়, তাহলে এটা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা লাইটের কোনো পাহারাদার নিয়োগ করি না। এটা যাদের জন্য লাগানো হয়েছে, অর্থাৎ জনগণ, তারা এটির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর থাকবে এগুলোর প্রতি।’