নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘এগুলো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের অংশ।’
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন। তিনি লেখেন, স্বৈরাচারের দোসরদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে না পারা, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা। যার ফল বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করতে হবে। তিনি আরো লেখেন, বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখি না। এগুলো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের অংশ। তথাকথিত তদন্ত কমিটির নাটক বাদ দিয়ে এর পিছনের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হোক।
রক্ত দিতে হলে আমরা আগে থাকি, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যায় না: হাসনাত: রক্ত দিতে হলে আমরা সবার আগে থাকি, কিন্তু ক্ষমতার প্রশ্ন এলে, আমাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পুনরাবৃত্তি!, সামাাজিক যোগাযোগ এভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকার গঠনের দায়িত্ব নিতে দেশে ফিরলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সেদিনের একটি ছবি এবং শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার একটি ছবি পাশাপাশি যুক্ত করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, এই দেশে এখন পর্যন্ত চোখে দেখা যায় এমন একমাত্র সংস্কার হলো এই ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে ছবি শেয়ার করে লেখেন এনসিপির এই নেতা। ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরে অবতরণের পর ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান সে সময়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ছবিতে নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, উমামা ফাতেমাসহ অনেককে দেখা যাচ্ছে। আর তার নিচের ছবিটি শুক্রবারের। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার পাশে রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা যাচ্ছে। জুলাই সনদ স্বাক্ষর হলেও এনসিপি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এবং স্বাক্ষর করেনি।
সানা/আপ্র/১৮/১০/২০২৫