ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

দুবাই রাজকন্যার ৩০ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার সম্পদ

  • আপডেট সময় : ০৫:০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

পোশাক-পরিচ্ছদে শেখ মাহরার স্বতন্ত্র রুচির পরিচয় পাওয়া যায় -ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রত্যাশা ডেস্ক: পুরো নাম শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তবে গণমাধ্যমে শেখ মাহরা নামেই পরিচিত। দুবাইয়ের রাজকন্যা। বয়স সবে ত্রিশের কোটায়। এরই মধ্যে বিপুল সম্পদ, বিলাসবহুল জীবন, নিজস্ব ফ্যাশন স্টাইল আর বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে রাজকন্যা পরিচয় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র এক নাম। গোটা মধ্যপ্রাচ্যে তো বটেই, বৈশ্বিক অঙ্গনের তরুণীদের কাছেও অনুপ্রেরণার অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মোট সম্পদের পরিমাণ: মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তাঁর পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। রাজপরিবারের সন্তান হিসেবে উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কত হতে পারে, এ থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। বিভিন্ন সূত্রমতে, মাহরার সম্পদের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

সম্পদের উৎস: শেখ মাহরার এই অঢেল সম্পদের বড় অংশ মূলত পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত। সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবসায় উদ্যোগসহ নানামুখী আয়ের উৎস। রিয়েল এস্টেট এবং প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন স্টার্টআপে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের প্রচারণা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাঁর আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও আসে মোটা অঙ্কের আয়।

বিলাসবহুল জীবন: অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন এই দুবাই রাজকন্যা। তাঁর গ্যারেজে রয়েছে রোলস-রয়েস, ল্যাম্বরগিনি ও ফেরারি ব্র্যান্ডের বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির সংগ্রহ। সব সময় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাকে দেখা যায় ফ্যাশনসচেতন মাহরাকে। তবে পোশাক-পরিচ্ছদে তাঁর স্বতন্ত্র রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি পোশাকের সঙ্গে আধুনিক ফ্যাশনের মিশ্রণ তাঁর স্টাইলের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

মানবিক কার্যক্রম: বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি মাহরার মানবিক দিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক কার্যক্রমে তাঁর নিয়মিত অংশগ্রহণ তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের কাছে অনুকরণীয় করে তুলেছে। বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তার মতো নানা জনহিতকর কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত। সূত্র: ম্যাশেবল

সানা/কেএমএএ/আপ্র/১৮/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দুবাই রাজকন্যার ৩০ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার সম্পদ

আপডেট সময় : ০৫:০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: পুরো নাম শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তবে গণমাধ্যমে শেখ মাহরা নামেই পরিচিত। দুবাইয়ের রাজকন্যা। বয়স সবে ত্রিশের কোটায়। এরই মধ্যে বিপুল সম্পদ, বিলাসবহুল জীবন, নিজস্ব ফ্যাশন স্টাইল আর বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে রাজকন্যা পরিচয় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র এক নাম। গোটা মধ্যপ্রাচ্যে তো বটেই, বৈশ্বিক অঙ্গনের তরুণীদের কাছেও অনুপ্রেরণার অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মোট সম্পদের পরিমাণ: মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তাঁর পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। রাজপরিবারের সন্তান হিসেবে উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কত হতে পারে, এ থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। বিভিন্ন সূত্রমতে, মাহরার সম্পদের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

সম্পদের উৎস: শেখ মাহরার এই অঢেল সম্পদের বড় অংশ মূলত পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত। সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবসায় উদ্যোগসহ নানামুখী আয়ের উৎস। রিয়েল এস্টেট এবং প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন স্টার্টআপে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের প্রচারণা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাঁর আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও আসে মোটা অঙ্কের আয়।

বিলাসবহুল জীবন: অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন এই দুবাই রাজকন্যা। তাঁর গ্যারেজে রয়েছে রোলস-রয়েস, ল্যাম্বরগিনি ও ফেরারি ব্র্যান্ডের বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির সংগ্রহ। সব সময় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাকে দেখা যায় ফ্যাশনসচেতন মাহরাকে। তবে পোশাক-পরিচ্ছদে তাঁর স্বতন্ত্র রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি পোশাকের সঙ্গে আধুনিক ফ্যাশনের মিশ্রণ তাঁর স্টাইলের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

মানবিক কার্যক্রম: বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি মাহরার মানবিক দিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক কার্যক্রমে তাঁর নিয়মিত অংশগ্রহণ তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের কাছে অনুকরণীয় করে তুলেছে। বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তার মতো নানা জনহিতকর কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত। সূত্র: ম্যাশেবল

সানা/কেএমএএ/আপ্র/১৮/১০/২০২৫