ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

এখনো রূপনগরের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ১১ ইউনিট

  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ২২ মিনিটে আগুনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ার ইসলাম দোলন বলেন,‌ আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে এলেও প্রচণ্ড ধোঁয়া রয়েছে। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন মূলত দুটি গোডাউনে লেগেছে। একটি কাপড়ের গোডাউন, আরেকটি কেমিক্যাল গোডাউন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ওই সময় তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের বেশ কয়েকটি ইউনিট গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রূপনগরে পোশাক ও কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। এই দুই স্থাপনার আশপাশে আরো অনেক কারখানা আছে, ওইসব কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কারখানায় আগুন লাগার কারণে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং আগুনের কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তারা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে এবং যতটুকু পারা যায় কাছে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে রূপনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়ন করা হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করছেন, আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে, যাতে আগুন নেভানোর সময় এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়।

এসি/আপ্র/১৪/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এখনো রূপনগরের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ১১ ইউনিট

আপডেট সময় : ০৩:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ২২ মিনিটে আগুনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ার ইসলাম দোলন বলেন,‌ আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে এলেও প্রচণ্ড ধোঁয়া রয়েছে। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন মূলত দুটি গোডাউনে লেগেছে। একটি কাপড়ের গোডাউন, আরেকটি কেমিক্যাল গোডাউন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ওই সময় তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের বেশ কয়েকটি ইউনিট গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রূপনগরে পোশাক ও কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। এই দুই স্থাপনার আশপাশে আরো অনেক কারখানা আছে, ওইসব কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কারখানায় আগুন লাগার কারণে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং আগুনের কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তারা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে এবং যতটুকু পারা যায় কাছে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে রূপনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়ন করা হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করছেন, আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে, যাতে আগুন নেভানোর সময় এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়।

এসি/আপ্র/১৪/১০/২০২৫