প্রত্যাশা ডেস্ক: ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের ২৩তম প্রয়াণ দিবস আজ সোমবার ১৩ অক্টোবর। ২০০২ সালের এই দিনে প্রয়াত হন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামী এই নারী।
ইলা মিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায়। আগামী ৩১ অক্টোবর ঝিনাইদহে পালিত হবে তার জন্মশতবর্ষ।
জন্মের সময় তার নাম রাখা হয় ইলা সেন। রমেন মিত্রের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি ইলা মিত্র নামে পরিচিতি লাভ করেন। ইলার বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীন বাংলার অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। কলকাতার বেথুন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করেন ইলা। এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ইলা মিত্র ছিলেন রাজ্য জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়ন এবং ১৯৪০ সালে জাপানে অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত একমাত্র বাঙালি নারী অ্যাথলেট।
নারী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ইলা মিত্র ১৯৪৩ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে বিয়ে হয় বিপ্লবী রমেন মিত্রের সঙ্গে। পরে দুজন মিলে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের চাঁপানবাবগঞ্জের নাচোল অঞ্চলের তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল, উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ নয়, এক ভাগ পাবেন জমিদার-জোতদার, দুই ভাগ নেবেন কৃষক। ভূমিহীন কৃষক ও সাঁওতালদের সংগঠিত করে এই অকুতোভয় নারী গড়ে তোলেন প্রতিরোধ বাহিনী। প্রতিরোধ আন্দোলন চলাকালে পুলিশের অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
নাচোলের কৃষকদের আপনজন ইলা মিত্র শুধু নারী আন্দোলন নয়, প্রগতিশীল আন্দোলনেরও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে পরিচিত।
‘কমরেড ইলা মিত্র জন্মশতবর্ষ উদযাপন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক সবুজ বিপ্লব জানান, ঝিনাইদহের ভূমিকন্যা কমরেড ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ (১৮ অক্টোবর ১৯২৫) উপলক্ষে আগামী ৩১ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জন্মশতবর্ষে কমরেড ইলা মিত্র স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এসি/আপ্র/১৩/১০/২০২৫