ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কলিজা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি সারজিসের

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

পঞ্চগড় সংবাদদাতা: বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বেজায় চটেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, ‘এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো তাদের কলিজা কত বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’

চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত শনিবার (১১ অক্টোবর) লংমার্চ শুরু হয়। সেই লংমার্চ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বক্তব্য রাখেন সারজিস। পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই আয়োজনে বক্তব্য দেওয়ার সময় সারজিস আলম এসব কথা বলেন।

বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সারজিস বলেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে।নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো তাদের কলিজা কত বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’

সারজিস আলম নাম উল্লেখ করে ঘোষণা দেন, ‘এরপর থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, ওই প্রতিষ্ঠান এই পঞ্চগড়ে থাকবে না, এটা আমার নিজের কমিটমেন্ট। আপনাদের মতো দেউলিয়ারা নিজের আখের গোছাতে শুরু করেন। এটা পঞ্চগড়, আপনার এই দেউলিয়াপনা দেখানোর মতো জায়গা নয়। খুনি হাসিনার মতো স্বৈরাচারকে গোনায় ধরি নাই, তোর মতো জেলার-বিভাগের নেসকোর দায়িত্বশীলদের গোনায় ধরার টাইম নাই।’

সারজিস আলম আরো বলেন, ‘যখনই আপনি চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেট, মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তখনই কারও গায়ে জ্বালা ধরে যায়। তখনই এভাবে আপনাকে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলি, পঞ্চগড়ের মাটিতে এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার করা, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী, দখলদার, মাদক ব্যবসায়ীদের আমরা যত দিন বেঁচে আছি, তাদের আর শান্তির ঘুম হবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাদের আমরা আপাদমস্তক দেখে নিব, তাদের কলিজা কত বড় হয়ে গেছে।’

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা ইউনিয়ন হয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান ইউনিয়ন হয়ে বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে পৌঁছায়। সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরে অংশ নেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টায় তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভায় বক্তব্য রাখেন সারজিস আলম।

এসি/আপ্র/১২/১০/২০২৫

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কলিজা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি সারজিসের

আপডেট সময় : ১২:০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

পঞ্চগড় সংবাদদাতা: বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বেজায় চটেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, ‘এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো তাদের কলিজা কত বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’

চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত শনিবার (১১ অক্টোবর) লংমার্চ শুরু হয়। সেই লংমার্চ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বক্তব্য রাখেন সারজিস। পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই আয়োজনে বক্তব্য দেওয়ার সময় সারজিস আলম এসব কথা বলেন।

বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সারজিস বলেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে।নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো তাদের কলিজা কত বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’

সারজিস আলম নাম উল্লেখ করে ঘোষণা দেন, ‘এরপর থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, ওই প্রতিষ্ঠান এই পঞ্চগড়ে থাকবে না, এটা আমার নিজের কমিটমেন্ট। আপনাদের মতো দেউলিয়ারা নিজের আখের গোছাতে শুরু করেন। এটা পঞ্চগড়, আপনার এই দেউলিয়াপনা দেখানোর মতো জায়গা নয়। খুনি হাসিনার মতো স্বৈরাচারকে গোনায় ধরি নাই, তোর মতো জেলার-বিভাগের নেসকোর দায়িত্বশীলদের গোনায় ধরার টাইম নাই।’

সারজিস আলম আরো বলেন, ‘যখনই আপনি চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেট, মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তখনই কারও গায়ে জ্বালা ধরে যায়। তখনই এভাবে আপনাকে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলি, পঞ্চগড়ের মাটিতে এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার করা, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী, দখলদার, মাদক ব্যবসায়ীদের আমরা যত দিন বেঁচে আছি, তাদের আর শান্তির ঘুম হবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাদের আমরা আপাদমস্তক দেখে নিব, তাদের কলিজা কত বড় হয়ে গেছে।’

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে থেকে শুরু হওয়া লংমার্চটি সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা ইউনিয়ন হয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান ইউনিয়ন হয়ে বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে পৌঁছায়। সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরে অংশ নেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টায় তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভায় বক্তব্য রাখেন সারজিস আলম।

এসি/আপ্র/১২/১০/২০২৫