নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার বাজারে শুধু মাত্র পেঁপে ছাড়া সব সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ এর ঘরে। চার পদের সবজি কিনতে তার মোট খরচ হয় ৩২০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিক্রেতারা লাগামহীন দাম ধরে রেখেছেন। কোনো এক পণ্যের দাম কিছুটা কমলেই, সঙ্গে সঙ্গেই বেড়ে যায় অন্যটির। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছ-মুরগির বাজার হয়ে ওঠে একেবারে লাগামহীন। এই অস্থির বাজারে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর হাতিরপুল, কাওরান বাজার ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা এবং গোল বেগুন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ৮০–১০০ টাকা, গাজর ৮০–১২০ টাকা এবং শিম ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, পটোল ও কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা, কচুমুখী ৫০ টাকা এবং পেপে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমের এই সময়ে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কম থাকে। তবে এক-দেড় মাসের মধ্যে শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করবে। তখন দাম কমে আসবে।
মাংসের বাজারে দামের তেমন পরিবর্তন নেই। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা এবং পাকিস্তানি সোনালি কক মুরগি ৩০০–৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে পাঙ্গাস ১৮০–২০০ টাকা, রুই ও কাতল ৪০০–৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০–২৮০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০–৫৬০ টাকা এবং পাবদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে; ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
মসলার বাজারে মিশ্র চিত্র দেখা গেছে। কিসমিস কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা, আলুবোখারা ৭০০ টাকা, এলাচ ৪৮০০–৫২০০ টাকা, লবঙ্গ ১৭০০–১৮০০ টাকা, জিরা ৭০০ টাকা এবং গোলমরিচ ১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৩০ টাকা ও চায়না আদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৭০ টাকা। দেশি রসুনের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় অপরিবর্তিত থাকলেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, আর হাইব্রিড পেঁয়াজ ৭৫ টাকায়।
চালের বাজারে সামান্য পরিবর্তন দেখা গেলেও তা এখনও স্থিতিশীল। মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৮–৮০ টাকা এবং পোলাও চাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, খেসারি ১০০ টাকা এবং বুটের ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের মধ্যে প্রতি কেজি ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা, রশিদ ৭২ টাকা ও মোজাম্মেল মিনিকেট ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ও দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। আর সাধারণ মানের সরু চালের দাম সামান্য কমেছে। টিসিবির হিসাবে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২ টাকা বেড়ে ১৭২-১৮০ টাকা হয়েছে। আর পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া রসুন ও আদার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
ওআ/আপ্র/১০/১০/২০২৫