ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

পুলিশের ওপর হামলা প্রতিহত করতে জনগণই যথেষ্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

ডিএমপির নতুন গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে গত কয়েক মাস ধরে পুলিশের ওপর কমবেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হামলা প্রতিহত করতে জনগণই যথেষ্ট বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দফতরে ডিএমপির বিভিন্ন থানাকে ২০টি পিকআপ ভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সম্প্রতি নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

সারাদেশে পুলিশের ওপর হামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের ওপর জনগণের হামলার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। তবে সম্প্রতি নরসিংদীতে একটি ঘটনা ঘটেছে। আপনারা যেভাবে প্রচার করছেন, যদি এভাবেই প্রচার চালান তবে আমাদের জন্য ভালো হবে। জনগণ যখন দেখবে কাজগুলো ভালো হচ্ছে না, তখন তারাই এসব ঘটনা প্রতিহত করতে যথেষ্ট।

পুলিশের গাড়ি ও আবাসন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আপাতত ২০টি পিকআপ ভ্যান দিয়েছি। পরে হয়তো আরও গাড়ি ক্রয় করা হবে। আমাদের যে পরিমাণ গাড়ির প্রয়োজন, সেই পরিমাণ নেই। তারপরও প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে সরকারি উদ্যোগে এসব গাড়ি কেনা সম্ভব হয়েছে। আপনারা জানেন, পুলিশের জন্য গাড়ি খুবই জরুরি। যানবাহনের তীব্র সংকট রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের শুধু যানবাহনের সংকট নয়, থাকার জায়গারও সমস্যা আছে। ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২৫টি ভাড়ায় চলছে। এর মধ্যে ৫টি থানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। দুটি থানা দ্রুত করা সম্ভব হবে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য থানাও করা হবে।

ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, একই সময়ে ২৪৪ জনকে গ্রেফতারের পর এই ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ সহযোগিতা করলে এই সংখ্যা আরও কমে আসবে। একসময় আস্তে আস্তে এই মিছিল একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অপরাধীর সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এ ধরনের অপরাধ আরও কমে আসবে বলে মনে করি। তখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রসেশনে ব্যস্ত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সহযোগিতাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। দেশে সবচেয়ে বড় অংশীদার হলো জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে তখন কেউ আর কিছু আটকাতে পারবে না। জনগণই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। আমাদের দেশের জনগণ কিন্তু নির্বাচন সম্পর্কে খুব সচেতন। এখনই চায়ের দোকানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। দিন যত ঘনাবে, আলোচনা তত বাড়বে।

ওআ/আপ্র/০৮/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শুধু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রাথমিক নিবন্ধন চায় ২২ দল

পুলিশের ওপর হামলা প্রতিহত করতে জনগণই যথেষ্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে গত কয়েক মাস ধরে পুলিশের ওপর কমবেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হামলা প্রতিহত করতে জনগণই যথেষ্ট বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দফতরে ডিএমপির বিভিন্ন থানাকে ২০টি পিকআপ ভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সম্প্রতি নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

সারাদেশে পুলিশের ওপর হামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের ওপর জনগণের হামলার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। তবে সম্প্রতি নরসিংদীতে একটি ঘটনা ঘটেছে। আপনারা যেভাবে প্রচার করছেন, যদি এভাবেই প্রচার চালান তবে আমাদের জন্য ভালো হবে। জনগণ যখন দেখবে কাজগুলো ভালো হচ্ছে না, তখন তারাই এসব ঘটনা প্রতিহত করতে যথেষ্ট।

পুলিশের গাড়ি ও আবাসন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আপাতত ২০টি পিকআপ ভ্যান দিয়েছি। পরে হয়তো আরও গাড়ি ক্রয় করা হবে। আমাদের যে পরিমাণ গাড়ির প্রয়োজন, সেই পরিমাণ নেই। তারপরও প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে সরকারি উদ্যোগে এসব গাড়ি কেনা সম্ভব হয়েছে। আপনারা জানেন, পুলিশের জন্য গাড়ি খুবই জরুরি। যানবাহনের তীব্র সংকট রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের শুধু যানবাহনের সংকট নয়, থাকার জায়গারও সমস্যা আছে। ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২৫টি ভাড়ায় চলছে। এর মধ্যে ৫টি থানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। দুটি থানা দ্রুত করা সম্ভব হবে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য থানাও করা হবে।

ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, একই সময়ে ২৪৪ জনকে গ্রেফতারের পর এই ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ সহযোগিতা করলে এই সংখ্যা আরও কমে আসবে। একসময় আস্তে আস্তে এই মিছিল একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অপরাধীর সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এ ধরনের অপরাধ আরও কমে আসবে বলে মনে করি। তখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রসেশনে ব্যস্ত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সহযোগিতাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। দেশে সবচেয়ে বড় অংশীদার হলো জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে তখন কেউ আর কিছু আটকাতে পারবে না। জনগণই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। আমাদের দেশের জনগণ কিন্তু নির্বাচন সম্পর্কে খুব সচেতন। এখনই চায়ের দোকানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। দিন যত ঘনাবে, আলোচনা তত বাড়বে।

ওআ/আপ্র/০৮/১০/২০২৫