নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্বামী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন স্ত্রী ও দুই ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর ১১ ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীরও।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্ত্রী রাশিদা বেগম (৫৪) মারা যান। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই দম্পতির দুই ছেলে। তাদের মধ্যে বড় ছেলের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
এই দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারজনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো দুজন।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বনপাড়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গুনাইহাটি এলাকায় যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত ভ্যান সড়ক পার হওয়ার সময় চাপা দেয় দ্রুতগামী একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর মহল্লার মৃত অফেস উদ্দিনের ছেলে আনছার আলী (৬০), লালপুরের ধলা গ্রামের নফেল ইসলামের ছেলে নয়ন ইসলাম (২৮) ও একই গ্রামের ইদু প্রামাণিকের ছেলে ভ্যান চালক মুনছের প্রামাণিক (৬৫)। গুরুতর আহত হয় আনছারের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৫৪), তার দুই ছেলে রানা (৩৬) ও রাসেল (২৬)। পরে রাতেই মারা যায় রাশিদা বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ জন যাত্রী নিয়ে ভ্যানচালক গুনাইহাটি মোড়ে সড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় রংপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী কল্পনা এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান একজন।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মোরশেদ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এসি/আপ্র/০৭/১০/২০২৫