ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ইউজিসি চেয়ারম্যান

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান হওয়া উচিত

  • আপডেট সময় : ০১:১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতোই হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমান হওয়া উচিত। যেন মেধাবীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আকর্ষণবোধ করেন। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আনতে না পারলে শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা এগিয়ে নিতে পারবো না, শিক্ষার্থীদেরও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করা সম্ভব হবে না।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ মহান শিক্ষক দিবস। আজকের আলোচনায় শিক্ষকদের কেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত, সেটাই মূখ্য বিষয়। আমরা তাদের কী ধরনের বেতন-ভাতা দিচ্ছি এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কেমন দেওয়া উচিত; তা বিচার-বিশ্লেষণ করা জরুরি। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আমরা গ্লোবাল (বৈশ্বিক) হিসাব না হয় ভুলে গেলাম। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমাদের শিক্ষকদের অবস্থান কোথায়? সম্প্রতি আমরা পাকিস্তান গিয়েছিলাম। পাকিস্তানের উদাহরণ এজন্য দিচ্ছি যে, তারা সব দিক দিয়ে আমাদের তুলনায় পিছিয়ে। সেখানে অন্য পেশাজীবীদের চেয়ে শিক্ষকরা দুই-তিনগুণ বেশি বেতন পান। অন্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের শিক্ষকরা যা পান, তা শুনলে অবাক হওয়ার মতো। তাদের ল্যাবরেটরি, গবেষণাগারও সমৃদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, অনেক দেশ আছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যে বেতন-ভাতা পান, প্রাথমিকের শিক্ষকরাও তেমনই বেতন-ভাতা পান। এটা আমাদেরও করা উচিত। যেন মেধাবীদের আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আকর্ষণ করতে পারি। মেধাবীদের যদি আমরা শিক্ষকতায়; সেটা হোক প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে না পারি; তাহলে শিক্ষার্থীদেরও আমরা এগিয়ে নিতে পারবো না। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাবীদের জন্য আকর্ষণ রাখতে হবে।

এসি/আপ্র/০৫/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইউজিসি চেয়ারম্যান

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান হওয়া উচিত

আপডেট সময় : ০১:১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতোই হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমান হওয়া উচিত। যেন মেধাবীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আকর্ষণবোধ করেন। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আনতে না পারলে শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা এগিয়ে নিতে পারবো না, শিক্ষার্থীদেরও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করা সম্ভব হবে না।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ মহান শিক্ষক দিবস। আজকের আলোচনায় শিক্ষকদের কেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত, সেটাই মূখ্য বিষয়। আমরা তাদের কী ধরনের বেতন-ভাতা দিচ্ছি এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কেমন দেওয়া উচিত; তা বিচার-বিশ্লেষণ করা জরুরি। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আমরা গ্লোবাল (বৈশ্বিক) হিসাব না হয় ভুলে গেলাম। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমাদের শিক্ষকদের অবস্থান কোথায়? সম্প্রতি আমরা পাকিস্তান গিয়েছিলাম। পাকিস্তানের উদাহরণ এজন্য দিচ্ছি যে, তারা সব দিক দিয়ে আমাদের তুলনায় পিছিয়ে। সেখানে অন্য পেশাজীবীদের চেয়ে শিক্ষকরা দুই-তিনগুণ বেশি বেতন পান। অন্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের শিক্ষকরা যা পান, তা শুনলে অবাক হওয়ার মতো। তাদের ল্যাবরেটরি, গবেষণাগারও সমৃদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, অনেক দেশ আছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যে বেতন-ভাতা পান, প্রাথমিকের শিক্ষকরাও তেমনই বেতন-ভাতা পান। এটা আমাদেরও করা উচিত। যেন মেধাবীদের আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আকর্ষণ করতে পারি। মেধাবীদের যদি আমরা শিক্ষকতায়; সেটা হোক প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে না পারি; তাহলে শিক্ষার্থীদেরও আমরা এগিয়ে নিতে পারবো না। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাবীদের জন্য আকর্ষণ রাখতে হবে।

এসি/আপ্র/০৫/১০/২০২৫