ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ফেসবুকে শহিদুল আলম

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে

  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি শহিদুল আলমের ফেসবুকের ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজা অভিমুখে থাকা কনশানস নৌযানে রয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, সামনে থাকা অন্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে নৌযানটি। কনশানস নৌযানের গতি বেশি হওয়ায় সেটি আগে রওনা হওয়া নৌযানগুলোর কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। এখন কনশানসের গতি কমিয়ে চলছে এবং ৯টি নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান শহিদুল আলম।

কনশানস জাহাজটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ হিসেবে গাজা অভিমুখে ৩০ সেপ্টেম্বর যাত্রা করে। ফেসবুক পোস্টে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অসাধারণ ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের মানুষ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজারো জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী। তবে নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর এটি।’

শহিদুল আলম কনশানস নামের যে নৌযানটিতে অবস্থান করছেন, সেটিকে তিনি ওই বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা করেছিল।
কিন্তু ২ অক্টোবরের মধ্যেই সুমুদ ফ্লোটিলার আগের জাহাজগুলোকে আইডিএফ আটক করে। একটি জাহাজ যেটি প্রথমে ধরা পড়েনি, সেটিকেও পরে আটক করা হয়।
আর কনশানসের আগে ওই আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এ ছাড়া আরো দুটি নৌকাও আগে ছিল। তবে ওই দুটি নৌকার অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস সবার শেষে রওনা করলেও এটির গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা করা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং সব নৌযান একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।

শহিদুল আলম লিখেছেন, কনশানস-এর ঠিক আগে আরো ৮টি নৌকা যাত্রা করেছিল। আরো দুটি ফ্লোটিং ফ্রিডম কোয়ালিশন নৌকাও ছিল, যদিও সেগুলোর অবস্থা সম্পর্কে এখন তারা নিশ্চিত নন।

গাজার অবরোধ ভাঙার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি লিখেছেন, আমরা কনশানস-এ থাকা সবাই অবরোধ ভাঙতে বদ্ধপরিকর। তারা (ইসরায়েলিরা) যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। কোনো অত্যাচারীই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে কখনো জয়ী হতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘কনশানস’ নামের জাহাজটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। এফএফসির সর্বশেষ এই মিশন গত বুধবার যাত্রা শুরু করে। ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসকবাহী এই জাহাজ।

দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, অনেকে আটক ও কারাগারে বন্দী আছেন।

সানা/আপ্র/০৪/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেসবুকে শহিদুল আলম

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে

আপডেট সময় : ০৯:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজা অভিমুখে থাকা কনশানস নৌযানে রয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, সামনে থাকা অন্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে নৌযানটি। কনশানস নৌযানের গতি বেশি হওয়ায় সেটি আগে রওনা হওয়া নৌযানগুলোর কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। এখন কনশানসের গতি কমিয়ে চলছে এবং ৯টি নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান শহিদুল আলম।

কনশানস জাহাজটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ হিসেবে গাজা অভিমুখে ৩০ সেপ্টেম্বর যাত্রা করে। ফেসবুক পোস্টে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অসাধারণ ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের মানুষ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজারো জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী। তবে নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর এটি।’

শহিদুল আলম কনশানস নামের যে নৌযানটিতে অবস্থান করছেন, সেটিকে তিনি ওই বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা করেছিল।
কিন্তু ২ অক্টোবরের মধ্যেই সুমুদ ফ্লোটিলার আগের জাহাজগুলোকে আইডিএফ আটক করে। একটি জাহাজ যেটি প্রথমে ধরা পড়েনি, সেটিকেও পরে আটক করা হয়।
আর কনশানসের আগে ওই আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এ ছাড়া আরো দুটি নৌকাও আগে ছিল। তবে ওই দুটি নৌকার অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস সবার শেষে রওনা করলেও এটির গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা করা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং সব নৌযান একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।

শহিদুল আলম লিখেছেন, কনশানস-এর ঠিক আগে আরো ৮টি নৌকা যাত্রা করেছিল। আরো দুটি ফ্লোটিং ফ্রিডম কোয়ালিশন নৌকাও ছিল, যদিও সেগুলোর অবস্থা সম্পর্কে এখন তারা নিশ্চিত নন।

গাজার অবরোধ ভাঙার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি লিখেছেন, আমরা কনশানস-এ থাকা সবাই অবরোধ ভাঙতে বদ্ধপরিকর। তারা (ইসরায়েলিরা) যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। কোনো অত্যাচারীই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে কখনো জয়ী হতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘কনশানস’ নামের জাহাজটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। এফএফসির সর্বশেষ এই মিশন গত বুধবার যাত্রা শুরু করে। ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসকবাহী এই জাহাজ।

দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, অনেকে আটক ও কারাগারে বন্দী আছেন।

সানা/আপ্র/০৪/১০/২০২৫