ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

বিসিবিতে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ শঙ্কায় সরে গেলেন আরো এক প্রার্থী

  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কায় সরে দাঁড়ালেন আরেক প্রার্থী হাসিবুল আলম -ছবি সংগৃহীত

ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থীতা প্রত্যাহার বা দাঁড়ানোর ঘোষণা। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল। নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কায় এবার সরে দাঁড়ালেন আরেক প্রার্থী হাসিবুল আলম।

রাজশাহী বিভাগ থেকে পরিচালক পদের লড়াইয়ে ছিলেন তিনি। তবে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিসিবিতে এসে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এই কাউন্সিলর।

আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ অবশ্য গত বুধবারই (১ অক্টোবর) পেরিয়ে গেছে। ব্যালট পেপারে তাই হাসিবুলের নাম থাকবেই। তবে তার অংশগ্রহণ আর থাকছে না।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাসিবুল জানান, তিনি মূলত আজ বিসিবি ভবনে এসেছিলেন জানতে, রাজশাহীর বিভাগীয় কোটায় কতজন কাউন্সিলর ই-ভোটে ভোট দেবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাননি।
তার অভিযোগ, শুরু থেকেই তাকে ভোটারদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু ভোটের কোনো পরিবেশ নেই বলে মনে করছেন তিনি।

‘গত ২ অক্টোবর আমি নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। আমার ভোটারদের খুঁজে পাচ্ছি না, ভোট চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। আমি মনে করি মুখলেছুর রহমানের (এই ক্যাটেগরির আরেক প্রার্থী) মনোনয়নপত্র বাতিল করা উচিত। তিনি যেভাবে ভোট করছেন, তা পুরোপুরি অবৈধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কাউন্সিলর প্রলোভনে পা দিয়েছেন, তাদের কাউন্সিলরশিপও বাতিল করতে হবে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে বিসিবি নির্বাচনের মান আরো খারাপ হবে। আগের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি এখন চোখে পড়ছে। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না। ফলে আমি স্বেচ্ছায় নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালাম। আর অংশগ্রহণ করব না।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ক্যাটাগরি–১ থেকে ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মোট ভোট দেবেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ১৯ জন ই-ভোট পদ্ধতিতে এবং ১৬ জন সরাসরি এসে ভোট দেবেন।

হাসিবুল আলম সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাপাইনবাবগঞ্জের মুহাম্মদ মুখলেছুর রহমান (শামীম) রাজশাহীর ভোটারদের ঢাকায় একটি হোটেলে গোপনে রেখেছেন। আমাকে একটি বিদেশি নাম্বার থেকে ফোন দেওয়া হলো, জানানো হলো রাজশাহীর কাউন্সিলররা ঢাকার ইউনিক রিজেন্সি হোটেলে আছেন। বলা হলো, তারা ৮টি রুমে আছেন। এমনকি প্রার্থীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ৬০৩ নম্বর রুমে আছেন বলেও জানানো হয়। আমি নিজে যাইনি, একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলাম। যাওয়া মাত্রই ওখানকার কাউন্টারে নিশ্চিত করা হলো যে ওই প্রার্থী সেখানেই উঠেছেন। এরপর আমি বনানী থানার ডিসির কাছে গিয়েছিলাম অভিযোগ করতে। আমার জেলার কাউন্সিলরদের এভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থার চেয়ে ওই হোটেলে তাদের উপস্থিতি আছে কি না তা নিশ্চিত করে জানানোর কথা জানিয়েছেন। আমি একটু পর হয়তো তার সঙ্গে যোগাযোগ করব সবশেষ খবর জানতে।

গত বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেন নির্বাচন থেকে। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় দুই ক্যাটাগরি থেকে দুই প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোয় বিসিবি নির্বাচনের পরিবেশকে ঘিরে প্রশ্নগুলোকেই আরো উচ্চকিত করছে।

সানা/আপ্র/০৪/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিবিতে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ শঙ্কায় সরে গেলেন আরো এক প্রার্থী

আপডেট সময় : ০৫:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থীতা প্রত্যাহার বা দাঁড়ানোর ঘোষণা। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল। নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কায় এবার সরে দাঁড়ালেন আরেক প্রার্থী হাসিবুল আলম।

রাজশাহী বিভাগ থেকে পরিচালক পদের লড়াইয়ে ছিলেন তিনি। তবে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিসিবিতে এসে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এই কাউন্সিলর।

আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ অবশ্য গত বুধবারই (১ অক্টোবর) পেরিয়ে গেছে। ব্যালট পেপারে তাই হাসিবুলের নাম থাকবেই। তবে তার অংশগ্রহণ আর থাকছে না।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাসিবুল জানান, তিনি মূলত আজ বিসিবি ভবনে এসেছিলেন জানতে, রাজশাহীর বিভাগীয় কোটায় কতজন কাউন্সিলর ই-ভোটে ভোট দেবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাননি।
তার অভিযোগ, শুরু থেকেই তাকে ভোটারদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু ভোটের কোনো পরিবেশ নেই বলে মনে করছেন তিনি।

‘গত ২ অক্টোবর আমি নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। আমার ভোটারদের খুঁজে পাচ্ছি না, ভোট চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। আমি মনে করি মুখলেছুর রহমানের (এই ক্যাটেগরির আরেক প্রার্থী) মনোনয়নপত্র বাতিল করা উচিত। তিনি যেভাবে ভোট করছেন, তা পুরোপুরি অবৈধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কাউন্সিলর প্রলোভনে পা দিয়েছেন, তাদের কাউন্সিলরশিপও বাতিল করতে হবে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে বিসিবি নির্বাচনের মান আরো খারাপ হবে। আগের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি এখন চোখে পড়ছে। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না। ফলে আমি স্বেচ্ছায় নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালাম। আর অংশগ্রহণ করব না।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ক্যাটাগরি–১ থেকে ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মোট ভোট দেবেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ১৯ জন ই-ভোট পদ্ধতিতে এবং ১৬ জন সরাসরি এসে ভোট দেবেন।

হাসিবুল আলম সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাপাইনবাবগঞ্জের মুহাম্মদ মুখলেছুর রহমান (শামীম) রাজশাহীর ভোটারদের ঢাকায় একটি হোটেলে গোপনে রেখেছেন। আমাকে একটি বিদেশি নাম্বার থেকে ফোন দেওয়া হলো, জানানো হলো রাজশাহীর কাউন্সিলররা ঢাকার ইউনিক রিজেন্সি হোটেলে আছেন। বলা হলো, তারা ৮টি রুমে আছেন। এমনকি প্রার্থীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ৬০৩ নম্বর রুমে আছেন বলেও জানানো হয়। আমি নিজে যাইনি, একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলাম। যাওয়া মাত্রই ওখানকার কাউন্টারে নিশ্চিত করা হলো যে ওই প্রার্থী সেখানেই উঠেছেন। এরপর আমি বনানী থানার ডিসির কাছে গিয়েছিলাম অভিযোগ করতে। আমার জেলার কাউন্সিলরদের এভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থার চেয়ে ওই হোটেলে তাদের উপস্থিতি আছে কি না তা নিশ্চিত করে জানানোর কথা জানিয়েছেন। আমি একটু পর হয়তো তার সঙ্গে যোগাযোগ করব সবশেষ খবর জানতে।

গত বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেন নির্বাচন থেকে। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় দুই ক্যাটাগরি থেকে দুই প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোয় বিসিবি নির্বাচনের পরিবেশকে ঘিরে প্রশ্নগুলোকেই আরো উচ্চকিত করছে।

সানা/আপ্র/০৪/১০/২০২৫