ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

আর্কটিকের তলদেশে চীনের প্রথম মানব-অভিযান

  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: আর্কটিক মহাসাগরের প্রতিকূল পরিবেশে মানুষ পাঠিয়েছে বেইজিং। চিয়াওলং সাবমার্সিবল যানে করে বরফের নিচে প্রথমবারের মতো সফলভাবে ডাইভ সম্পন্ন করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। ঐতিহাসিক এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে মাদারশিপ শেনহাই-১ এবং আইসব্রেকার শুয়েলং-২-এর সহযোগিতায়।

অভিযানের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আর্কটিকের গভীর সমুদ্রের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে থাকা জীববৈচিত্র্য। ঘনত্ব ও আকারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যও দেখেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এই তথ্যগুলো মেরু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়নে কাজে আসবে।

অভিযান দলের সদস্যরা বলেছেন, বরফাচ্ছন্ন আর্কটিক মহাসাগরের গভীরে ডুব দেওয়া সহজ কাজ নয়। সেখানকার বাতাস, ঢেউ, স্রোত, বরফ, কুয়াশা ও প্রবল শীত-সবকিছুই অভিযানকে বেশ জটিল করে তোলে।

চীনের জাতীয় গভীর সমুদ্র কেন্দ্রের ডুবুরি ছি হাইবিন জানান, আর্কটিকে ডুব দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক ডাইভিং পয়েন্ট নির্বাচন। কারণ চারপাশে বরফ ভাসতে থাকে, তাই প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয় হিসাব কষে। গত জুলাইয়ে চীন প্রথমবারের মতো মেরু অঞ্চলে মানববাহী সাবমার্সিবল অভিযান শুরু করে। আগস্টের শুরুতে আর্কটিক মহাসাগরে মিলিত হয় শুয়েলং-২ ও শেনহাই-১। এর পর শেনহাই-১ থেকে চিয়াওলং বরফাচ্ছন্ন জলে ডুব দেয়। কেন্দ্রের উপপরিচালক শু শুয়েই জানালেন, চিয়াওলংয়ের অভিযানের ফলে চীন এখন সমুদ্রের সব অঞ্চলে অভিযান চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে। তথ্যসূত্র: সিএমজি

সানা/ওআ/আপ্র/০৩/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আর্কটিকের তলদেশে চীনের প্রথম মানব-অভিযান

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: আর্কটিক মহাসাগরের প্রতিকূল পরিবেশে মানুষ পাঠিয়েছে বেইজিং। চিয়াওলং সাবমার্সিবল যানে করে বরফের নিচে প্রথমবারের মতো সফলভাবে ডাইভ সম্পন্ন করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। ঐতিহাসিক এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে মাদারশিপ শেনহাই-১ এবং আইসব্রেকার শুয়েলং-২-এর সহযোগিতায়।

অভিযানের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আর্কটিকের গভীর সমুদ্রের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে থাকা জীববৈচিত্র্য। ঘনত্ব ও আকারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যও দেখেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এই তথ্যগুলো মেরু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়নে কাজে আসবে।

অভিযান দলের সদস্যরা বলেছেন, বরফাচ্ছন্ন আর্কটিক মহাসাগরের গভীরে ডুব দেওয়া সহজ কাজ নয়। সেখানকার বাতাস, ঢেউ, স্রোত, বরফ, কুয়াশা ও প্রবল শীত-সবকিছুই অভিযানকে বেশ জটিল করে তোলে।

চীনের জাতীয় গভীর সমুদ্র কেন্দ্রের ডুবুরি ছি হাইবিন জানান, আর্কটিকে ডুব দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক ডাইভিং পয়েন্ট নির্বাচন। কারণ চারপাশে বরফ ভাসতে থাকে, তাই প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয় হিসাব কষে। গত জুলাইয়ে চীন প্রথমবারের মতো মেরু অঞ্চলে মানববাহী সাবমার্সিবল অভিযান শুরু করে। আগস্টের শুরুতে আর্কটিক মহাসাগরে মিলিত হয় শুয়েলং-২ ও শেনহাই-১। এর পর শেনহাই-১ থেকে চিয়াওলং বরফাচ্ছন্ন জলে ডুব দেয়। কেন্দ্রের উপপরিচালক শু শুয়েই জানালেন, চিয়াওলংয়ের অভিযানের ফলে চীন এখন সমুদ্রের সব অঞ্চলে অভিযান চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে। তথ্যসূত্র: সিএমজি

সানা/ওআ/আপ্র/০৩/১০/২০২৫