ক্রীড়া ডেস্ক: ইতালির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ফাবিও ক্যানাভারো নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তিনি উজবেকিস্তান ফুটবল দলের প্রধান কোচ হওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ইতালির স্বনামধন্য ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ক্যানাভারোর চুক্তি স্বাক্ষরও হয়ে গেছে, বাকি শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। ২০০৬ সালের জার্মান বিশ্বকাপে ইতালির অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন ক্যানাভারো। একই বছর ব্যক্তিগত পুরস্কার ফুটবলের সর্বোচ্চ সম্মান ব্যালন ডি’অর জেতেন তিনি। ডিফেন্ডার হয়েও এত বড় সাফল্য তাঁকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তবে খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিংয়ে এসে পথটা সব সময় মসৃণ ছিল না ক্যানাভারোর। এপ্রিলে ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব দিনামো জাগরেব থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি বেকার ছিলেন।
এশিয়ার ফুটবলে ক্যানাভারো অপরিচিত নন। সাবেক জুভেন্টাস তারকা কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন চাইনিজ সুপার লিগের দল গুয়াংজু এভারগ্রান্দে দিয়ে। দুই দফায় মোট পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানে।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসর এবং চীনের জাতীয় দলও সামলেছেন ক্যানাভারো। তাঁর অভিজ্ঞতা এশিয়ার ফুটবলে একেবারেই নতুন নয়।
২০২২ সালে ইউরোপে ফেরার পর ক্যানাভারো ইতালির বেনেভেন্তো, উদিনেসে ও ক্রোয়েশিয়ার দিনামো জাগরেবের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে ধারাবাহিক সাফল্যের অভাবে চাকরি বেশিদিন টেকেনি।
মধ্য এশিয়ার ফুটবল শক্তি হিসেবে উজবেকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রমাণ করতে চায়। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলার লক্ষ্যেই কানাভারোকে দায়িত্ব দিচ্ছে তারা।
৫২ বছর বয়সী ক্যানাভারোর কোচিং অভিজ্ঞতা, বিশ্বজয়ী মানসিকতা ও এশিয়ার ফুটবলে কাজ করার অভিজ্ঞতা উজবেকিস্তানের জন্য বড় প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়—বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে টিকে থাকতে হলে কানাভারোকে দ্রুতই দলকে সংগঠিত করতে হবে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মাঠে লড়াইয়ের পর কোচ হিসেবে নানা সাফল্য-ব্যর্থতার মুখ দেখেছেন ক্যানাভারো। দেখার অপেক্ষ উজবেকিস্তানের নতুন অধ্যায়ে এই ইতালিয়ান কিংবদন্তি কতটা সফল হতে পারেন।
ওআ/আপ্র/০৩/১০/২০২৫